আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিস্তা-গঙ্গার পর এবার ফেনী নদীর পানির কর্তৃত্ব হারাতে বসেছে বাংলাদেশ

আমি বাংলাদেশি, আমি বাঙ্গালী ভারতের সাথে সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বহুল আলোচিত ফেনী নদীর পানির কর্তৃত্ব হারাতে বসেছে বাংলাদেশ। এ পানি নিয়ে সরকারের ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ এমন মনোভাব ও বিজিবির ঢিমেতালে নজরদারির কারণে ফেনী নদীর পানি ছুঁতে গেলেই বাধার শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশের নাগরিকেরা। ‘নো ম্যানস ল্যান্ডের অজুহাত দেখিয়ে ভারতের বিএসএফ পানি ব্যবহারে বাধা দিচ্ছে। অথচ সীমান্তের ওপারের বসবাসকারী ভারতীয়রা অনায়াসেই পানি ব্যবহার করছে। এ ক্ষেত্রে তারা বিজিবির কোনো বাধার সম্মুখীনই হচ্ছে না।

এ অবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে ফেনী নদীর পানি নিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের জটিল পরিস্থিতির শিকার হতে হবে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় অধিবাসীসহ ফেনীর সর্বস্তরের মানুষের মধ্যেও চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলেন, মহাজোট সরকার আবার ক্ষমতায় আসার জন্য ভারতকে কোনোভাবেই চটাতে চায় না। ফেনী নদী বাংলাদেশে হলেও প্রয়োজনে ভারতকে পানির হিস্যা দিতেও কোনো আপত্তি নেই সরকারের। প্রভাবশালী প্রতিবেশী ভারতের আশীর্বাদে আগামীতে আবার ক্ষমতায় আসার জন্য প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও নীরবতা পালন করছে।

আচরণে কোনোভাবেই যেন ভারত রুষ্ট না হয়। ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকা ফেনীর ছাগলনাইয়ার মানুষের অভিযোগ, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এই আসনের এমপি হলেও ফেনী নদীর পানি নিয়ে তিনি ‘টুঁ’ শব্দ পর্যন্ত করছেন না। তা ছাড়া ফেনীর চারটি আসনই বিএনপির। ফলে তারা ফেনী নদীর পানির ন্যায্য প্রাপ্তি নিয়ে সোচ্চার হবেন- এমন প্রত্যাশা তাদের। ফেনী নদীর পানি নিয়ে বড় দুই দলের এমন রাজনীতিতে ত্যক্ত-বিরক্ত জেলাবাসী।

কারণ পানি না এলে এলাকার কৃষি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ধ্বংস হয়ে যাবে ১৮ হাজার মৎস্য চাষ প্রকল্প। কর্মহীন হয়ে পড়বেন কৃষি-শ্রমিকসহ হাজার হাজার মৎস্যজীবী। ফলে ফেনী নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল ফেনীসহ চট্টগ্রামের মিরেরসরাইয়ের লাখ লাখ মানুষের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার মধ্যবর্তীস্থান ভগবান টিলা।

এই টিলা থেকে ছড়া আকারে পানি নেমে এসে ফেনী নদীর সৃষ্টি হয়েছে। সেখান থেকে নদীটি রামগড়, ফেনী, মিরেরসরাই ও সোনাগাজী ছুঁয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলেছে। অথচ এটিকে ভারত আন্তর্জাতিক নদী হিসেবে চিহ্নিত করে নদীর পানির হিস্যা চাইছে ভারত। অর্থাৎ ফেনী নদী বাংলাদেশে উৎপত্তি হলেও ভারত এ নদীর পানির হিস্যা দাবি করে আসছে। ভারতের এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পানির হিস্যা দেয়া হলে এক সময় দেশের ষষ্ঠ বৃহত্তম সেচ প্রকল্প মুহুরী সেচ প্রকল্পকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হবে।

ভারতীয় রাজাকার(আওয়ামীলীগ)-এর শতভাগ সহযোগীতায় দেশের উত্তরাঞ্চলের পর এবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলকেও মরুকরণ প্রক্রিয়ার আওতায় আনার ঘৃন্য থাবা তুলেছে ভারত। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।