আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"দুই বছরের চুক্তিতে বিয়ে, তারপর নবায়ন" - হায়রে দুনিয়া

জানিনা পৌছাতে পারব কিনা! হয়ত না, কিংবা হ্যা...... বাঁচব একসাথে, মরব একসাথে। আমৃত্যু জীবনসঙ্গী হওয়ার এমন আকাঙ্ক্ষায় সাত পাকে বাঁধা পড়েন যেকোনো দম্পতি। তাঁদের কেউ কেউ পরম আনন্দে জীবন কাটান। আবার কারও কারও জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। দাম্পত্য জীবন কাটে রোজকার খিটিমিটি আর ঝগড়াবিবাদে।

মনে হতে থাকে জীবনের সবকিছুই ভুল। এ রকম অবস্থা থেকেই দম্পতিদের বাঁচাতে চান মেক্সিকো সিটির এক আইনপ্রণেতা। বামপন্থী দল ডেমোক্রেটিক রেভ্যুলেশনের নেতা লিওনেল লুনা বিবাহ বিচ্ছেদের পথটিকে সহজ করতে চান। গত সপ্তাহে মেক্সিকো সিটির আইনসভায় এ জন্য একটি বিল উত্থাপন করেছেন লুনা। ‘দুই বছরের বিবাহ চুক্তি’ নামে ওই আইনে বলা হয়েছে, বিয়ে হবে দুই বছরের জন্য।

এরপর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চুক্তি নবায়ন হবে, অন্যথায় নয়। লুনার যুক্তি, মেক্সিকো সিটিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া দম্পতিদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরই বিচ্ছেদ হয়। আর বিচ্ছেদের জন্য আইনি ঝামেলায় জেরবার হতে হয় দম্পতিদের। লুনা বলেছেন, এ বাস্তবতায় তিনি এ রকম একটি বিল উত্থাপন করেছেন। তাঁর যুক্তি হলো, যেহেতু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দম্পতিদের বিচ্ছেদ হচ্ছে তাই দরকার হলো সেই বিচ্ছেদ হওয়ার আইনি পথটাকে সহজ করে তোলা।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনপ্রণেতা লুনা মনে করেন ‘দুই বছরের বিবাহ চুক্তি বিল’ পাস হলে দম্পতিদের আইনি ঝামেলা অনেক কম পোহাতে হবে। তিনি বলেন, গত দুই বছরে মেক্সিকো সিটিতে ৩৩ হাজার দম্পতি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। আর তাঁদের মধ্যে ১৬ হাজার দম্পতি বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছেন। এ জন্য এসব দম্পতির খরচ হয়েছে সাড়ে তিন হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে আইনি লড়াইয়ের জন্য দম্পতিদের এক থেকে দেড় হাজার ডলার করে ফি দিতে হয়েছে।

বাকিটা অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়ায় খরচ হয়েছে। লুনার উত্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, কোনো দম্পতি প্রথমে দুই বছরের চুক্তিতে বিয়ে করবেন। একবার দুই বছরের মেয়াদ শেষ হলে তাঁরা সেই চুক্তি আবার নবায়ন করতে পারবেন। চুক্তিতে এটাও উল্লেখ থাকবে, সম্পত্তি ও অর্থ তাঁরা কীভাবে ভাগ করে নেবেন। এমনকি সন্তান থাকলে কার হেফাজতে থাকবে, সেটাও ঠিক করা হবে ওই বিলে।

তিন সপ্তাহ পরে আইনসভায় বিলটি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদি বিলটি পাস হয় তাহলে মেক্সিকো সিটিতে যাঁরা বিয়ে করেছেন শুধু তাঁদের ক্ষেত্রেই এই আইন প্রযোজ্য হবে। নতুন এই বিল সম্পর্কে মেক্সিকো সিটির বাসিন্দা জর্জ পেরেজ বলেন, এই বিলটি অনেক দম্পতির কাজে আসবে। পেরেজ বলেন, এতে করে দুই বছর পরে দম্পতিরা একবার ভাবার সুযোগ পাবেন। চাইলে তাঁরা এ সময় ভুল শুধরে নেওয়ারও চেষ্টা করতে পারেন।

তবে অপর এক বাসিন্দা এনজেলিকা সিসার বিলটির বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, বিয়েটা দুই বছর নয়, হতে হবে সারা জীবনের জন্য। ব্রাজিলের পরে মেক্সিকোতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ক্যাথলিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে। অনেকে ভাবছে, বিলটি মেক্সিকোর মানুষের ধর্মীয় অনুভূতির বিরুদ্ধে যেতে পারে। তবে মেক্সিকো সিটির চিত্রটা ভিন্ন।

সেখানকার বাসিন্দারা অপেক্ষাকৃত কম রক্ষণশীল। তাঁদের অনেকেই দুই বছরের চুক্তিতে বিয়ের পক্ষে। আইনপ্রণেতা লুনা বলেন, ৬৬ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ৩৪ জনই বামপন্থী। তাঁরা সবাই বিলের পক্ষে ভোট দেবেন। লুনা বলেন, অন্যদের কাছ থেকে তিনি আরও সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন।

সূত্রঃ Click This Link আমার মতামতঃ খবরটি পড়ে অনেকেই এটাকে সাপোর্ট করবেন, কিন্তু সাপোর্ট করার আগে আমরা কিছু কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তা করে তারপর সাপোর্ট করবেন আশা করি । ১। যারা এইরকম চুক্তির মনোভাব নিয়ে বিয়ে করবে, তারা জীবনে একটা সেকেন্ডের জন্যও সুখের মুখ দেখতে পারবেনা । আর হতাশা তাদের সব কাজকে ঘিরে ফেলবে তাইতো পশ্চিমাদের মধ্যে আত্মহণনের ঘটনা এত বেশি । আপনিও কি আত্মহণনের পথ বেছে নিতে চান? ২।

আপনারা কি আপনার বোনদের এইরকম বিয়ে দিতে রাজি? ৩। আপনি বিয়ে করে যে বেবিটা হবে, তার যে মানসিক অবস্থা অনেক খারাপ হবে, তা সম্পর্কে আপনি অবহিত? সে পরবর্তীতে কার পরিচয়ে বড় হবে? ৪। পৃথিবীতে কন্সট্রাক্টিভ কিছু করতে হলে অনেক গুলো জিনিস জোড়া দিয়ে বানাতে হয়, আর তার থেকে আসল কিছু কম্পোনেন্টকে আলাদা করলে সেটার মধ্যে দেখা দেয় বিবাদ আর ওইটা থেকেই শুরু হয় ধ্বংস । আর পরিবার হল এরকম একটা জিনিস যেটাকে অবলম্বন করে মানুষ বেঁচে থাকে, সুতরাং এটা যদি না থাকে মানুষের কি অবস্থা হয় তারা একটু পাশ্চাত্যের সমাজের দিকে ভাল ভাবে দৃষ্টি দিলেই পারেন । এখন বলেন, আপনাদের মতামত কি? ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।