আমি দুরন্ত দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি অনন্ত উর্বর, আমি কালের হস্তে করি উষরকে সবুজ প্রান্তর। আমি মুক্ত, আমি উচ্ছ্বল, আমি তারুণ্য, কারণ- আমি যে দুরন্ত। আমি রক্তিম সরোবরের অন্তিম যাত্রি,
ললাটে দূদ্যোল্যমান শাপ,
নষ্ট অধ্যায়ের সমাপনি গাহি বলে
আজ আমি, সমাজের অভিশাপ।
কলেবর মোর আচঁরে অনড়,
ছিন্ন ভিন্ন কায়া।
আরষ্ট হস্ত মুষ্টিবদ্ধ, 'কারণ' এ যে-
উন্নাসিক তান্ত্রিকের তন্ত্রের মায়া।
অবজ্ঞা কৃপান ধাবিত জেনো, তারুণ্য অন্ধকারে।
বৈরিতা তূর্ণ ছুটছে নিপুন, মানবতা লোকান্তরে।
তকদির মোর কাতর আজিকে, বিদ্রুপে প্রতিবাদ,
সমাজ পতির নষ্টামিতে বিজ্ঞের মহাপ্রয়ান।
প্রজানাথ যখন প্রজা বৎসল নহে, হালে ভদ্র উগ্র,
তাই ভাবিয়া স্বীয় তারুণ্য বিদ্রোহে আজ রুদ্র।
ধ্বংসের দারে ধাবিত আমি ছুটছি আধাঁর পানে।
জড়া, জীর্ণ, সংকির্ণতা আধার, রসাতলে যাক চিরতরে।
সরবরে আজ রক্ত বারি, যাত্রা পথে বৈরী,
যাবার পূর্বে বিগ্রহ যেনে, স্বীয় সজ্জায় আমি তৈরি।
শপথ করছি, তারুণ্য দুর্মর, শোধিব ধরিত্রী প্রাণ,
অতপর আমি ছেদিব মনন,
রচিব নিজ তিরোধান।
আসলে কবিতাটি আমার ব্যক্তিগত মতামত।
প্রতিটি ক্ষেত্রে যা দেখি, সমাজ ব্যবস্থায় আমাদের অসহায়ত্ব তার বিরোদ্ধে আমার পুন্জিভূত ক্ষোব এর বহি প্রকাশ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।