অনেকদিন আমার সাথে রোদের দেখা হয় না, সূর্যের সাথেও আমার ঠিক বন্ধুত্ব নেই। আগে মাঝরাতে চাঁদের সাথে কথা বলতাম, এখন সে কখন আসে কখন যায়, বুঝেই উঠতে পারি না। মধ্যরাতে রোদ দেখতে আমার বেশ লাগতো। সেই নদীটার নাম ছিল ভালোবাসা...
একদিন হৃদয়ের খুব কাছে ছিল গোলাপী ধূসর মেঘ ;
এক বর্ষায় আকাশ সমান বৃষ্টি নিয়ে
পৃথিবীর সব রোদ চুরি করে সে ছুঁয়েছিল শুভ্র বিষাদ ।
এভাবেই দুজনের দেখা মাঝরাতে,
সমস্ত অন্তরঙ্গ কথার ভিড়ে ঘুম হারিয়ে যেত সকালের রোদে ।
রাতের নির্জনতাকে চিড়ে ফেলে আমার আগুন
হাত বাড়িয়ে ছুঁতো চাঁপার ঘ্রাণ মাখা কাশফুল ।
তখন ভালোবাসা ছিল একটা নদীর নাম ;
অন্ধ প্রেম নদীর ভেতরে শ্রাবনের স্রোত হয়ে
রৌদ্র বৃষ্টিতে ভেসে যেত জোছনাপ্লাবনে ।
মেঘরঙা প্রহর...
নদী, তুমি কোন কথা কও ?
কি কথা বলতে গিয়ে সে থেমে গেল ফিক করে হেসে ।
অভিসারী সত্য মনের জানালায় এসে টোকা দিয়ে গেল নিঃশব্দে,
আমি চেয়ে দেখি মেঘরঙা রহস্যে অপরুপ জোছনাময় আমার চারপাশ ।
মায়াময় এক অদ্ভুত ইশারায় সেই রাতে জেগে উঠে স্পর্শের পিপাসা !
হৃদয়ে আকাঙ্খার নদী বুঝে ফেলে একা শালিকের কষ্ট।
বিহ্বল মুহূর্তগুলো যে কোন অর্ঘ্য দিতে চায় চাঁদটার শরীরে,
সাতরঙা প্রজাপতি দুষ্ট ডানা মেলে ছুঁয়ে চলে তোমার আদর ।
বিষাদ পর্ব...
এক একটা দিন কাটে নিঃসঙ্গ হাওয়া হয়ে জনশূন্য পথে একলা একলা ।
সিগারেট ছাই হয়, বিষাদ উড়ে উড়ে বিবাগী বন্ধুর মত দূরদেশে ভেসে যায় ।
বুকের ভেতর জড়ো হয় কঠিন সব অসুখ;
অব্যক্ত কথা গুলো নৌকার ভাঙা দাঁড়-
এমনকি মৌসুমী জ্বরে মেঘের কোমল স্পর্শে এলোমেলো ঝর্না হয়ে আকাশ ছুঁতে চায়না ।
সে ছিল এক কষ্ট নদী-অফুরন্ত কালো জল,
অনেকে দেখেছে তাকে পালাতে ক্ষতবিক্ষত অন্ধকারে !
তার গোপন নামের মতই সে নিজেকে ঢেকে রাখে মলিন চাদরে ।
তারপরে...
তবু কেন তোমাকেই খুঁজে ফিরি !
কিছুটা মায়াময় জানিনা ভ্রান্তি কিনা,
ভুলে থাকা স্মৃতিরা এসে টোকা দেয় স্বপ্নের প্রহরে,
নিগুঢ় দ্বিধার ভেঙ্গে পড়া কাঁচের আড়ালে
এলোমেলো মেঘের চাদর ঘুরে ফিরে ছায়াহীন ।
বুকের ভেতরে মৃত ভায়োলিন বৃষ্টি গেয়ে চলে না ফেরার গান । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।