আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর কতদিন পুলিশি রাস্ট্র?আর কতকাল এইসব গনতান্ত্রিক স্বৈরাচার?

বাঙ্গালী জাতি হিসাবে স্বাধীন হয়েছে আজ ৪১ বছর... ৪০-৪১ বছর একজন ব্যক্তি মানুষের জন্য দীর্ঘ সময় হলেও একটি সামগ্রীক ভাবে একটি জাতির জন্য খুব বেশি একটা সময় না। তবে একটা জাতিরাস্ট্রের ভিত গঠনে জন্য মোটামুটি একটা সময়কাল। এই দীর্ঘ ৪১ বছরে আমাদের ভাষা ভিত্তিক জাতিরাস্ট্রে অনেক রাজনৈতিক উত্থান পতন হয়েছে,সময়ের পরিক্রমায় আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে..জীবন মান বেড়েছে,আমরা আজকে অনেক প্রগতীবাদি আধুনিক মানুষ,চিন্তা চেতনায় বেশীর ভাগ সময়ই ২১ শতকে বাস করার দাবি করি অথচ এতো সব কিছুর পরেও আমাদের এই রাস্ট্রের ঔপনিবেশিক মানসিকতায় কোন পরিবর্তন আসেনি । ঘুর্নিঝড় বন্যা খরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহনশীল জাতি হিসাবে খ্যাত আমরা গর্বিত বাঙ্গালি জাতি তথাকথিত গর্বের সাথে বেশ নির্লিপ্ত ভাবে রাস্ট্রের এই ঔপনিবেশিক চরিত্র আর নির্বাচিত গনতান্ত্রিক স্বৈরাচারদের হজম করে যাচ্ছি। আসলেও আমরা এতো যুগ পড়েও শুধু প্রজা হতে পেরেই খুশি।

নাগরিক হওয়ার তাগিদ অনুভব করি না। এখনো আমরা গনতন্ত্র বলতে বুঝি ভোটের মাধ্যমে শুধুই রাস্ট্র ক্ষমতা পরিবর্তন। বাংলা একাডেমী প্রকাশিত বাংলা অভিধানে প্রজা শব্দের অর্থ করা হয়েছে জমিদারের রায়ত, ভাড়াটে বা রাস্ট্রের অধিবাসী। .. আর ইংরাজি ভাষায় “প্রজা” শব্দের অর্থ সাবজেক্ট। এক সময় আমরা বৃটিশ কলোনীর সাবজেক্ট বা প্রজা ছিলাম..এর পড় পাকি সামরিক সামন্ততন্ত্রের প্রজা...সবচেয়ে আশ্চর্য ব্যাপার হলেও সত্য যে ১৯৭২-থেকে ২০১১ ... স্বাধীন বাংলাদেশ রাস্ট্রের মানুষ হয়েও আজ পর্যন্ত আমরা সিটিজেন হতে পারলাম না প্রজাই থেকে গেলাম।

এই দেশ "জনগনতান্ত্রিক বাংলাদেশ" হতে পারলাম না..হয়ে রইলাম গনপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশ..। একসময় ব্রিটিশ আমলে একটা চুটকি চালু ছিলো...এক গরীব মহিলা একবার আদালতে বিচারকের বিচারে সন্তুস্ট হয়ে দোয়া করে বলেছিলেন "আল্লাহ যেন আপনারে একদিন দারোগা বানান" ... সেই ব্রিটিশ রাজ নাই ..রাস্ট্রের প্রতীক গ্রামের লাল পাগড়ীওয়ালা হাফপ্যান্ট পরা চৌকিদাররা বিদায় নিয়েছে ৬৫ বছর.. খাকি পোষাকের পাকিস্তানেরও ইতি ঘটেছে তাও ৪১ বছর হয়ে গেল..এমনকি বাকশাল,সামরিক শাষক,গনতান্ত্রিক স্বৈরাচারদের ভারে ভারাক্রান্ত শতক অতিক্রম করে একবিংশ শতাব্দীতে পড়লাম তাও দশ বছর পাড় হয়ে গেলো... কিন্তু এখনো রাস্ট্রের সেই একই কলোনিয়াল চরিত্র.. ! ..যেখানে ন্যায্য দাবির অপরাধে লাঠিপেটা করা হয় আর সত্য বলার বাক স্বাধীনতা প্রকাশের জন্য গুম করার হুমকি দেয়া হয়। দুই তৃ্তীয়াংশ সংখ্যাগরিস্টতা পাওয়া সরকারগুলি এখনো জনগনকে প্রতিপক্ষ মনে করে..। এখনো রাস্টের প্রতীক বাহিনীর সদস্যরা নিরীহ কিশোরের পায়ে গুলি করে .. নির্দোষ ছাত্রদের পিটিয়ে মারতে উৎসাহ দেয়,লেখার জন্য এখনো এই দেশে লেখার অপরাধে লেখক নির্বাসিত হয় আর ব্লগারারা সত্যের পক্ষে কি বোর্ড চাপার জন্য জেল খাটে ...। উৎসর্গঃআসিফ মহিউদ্দিন ও শুক্রবার শাহাবাগে পুলিশের হাতে নির্যাতিতরা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।