আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১০ টি হাদিস

চেষ্টা করি ভাল থাকতে... এই চেষ্টা থাকবে... ১:আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাঁর ছায়াতলে আশ্রয় দেবেন যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়াই অবশিষ্ট থাকবে না। (তারা হলঃ) (১) ন্যায়পরায়ন শাসক, (২) যে যুবক আল্লাহর ইবাদাতের মধ্যে বড় হয়েছে, (৩) যে ব্যক্তি মসজিদ থেকে বেরিয়ে গেলেও তার অন্তর এর সাথে সম্পৃক্ত থাকে, (৪) এমন দু’জন লোক যারা আল্লাহর জন্য পরস্পর ভালবাসা স্থাপন করেছে; এই সম্পর্কেই একত্র থাকে এবং বিচ্ছিন্ন হয়, (৫) এমন ব্যক্তি যাকে কোন অভিজাত পরিবারের রূপসী নারী (অসৎ কাজে) আহ্বান করেছে কিন্তু সে তাকে এই বলে প্রত্যাখ্যান করেছে; আমি আল্লাহকে ভয় করি, (৬) এমন ব্যক্তি যে এত গোপনে দান-সদকা করেছে যে, তার ডান হাত যা দান করেছে তার বাম হাতও তা জানতে পারেনি যে, ডান হাত কি দান করেছে, (৭) যে ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করেছে এবং তার দু’চোখ বেয়ে পানি পড়েছে। ” -বুখারী: ২য় খন্ড, কিতাব/অধ্যায় ২৪,হাদীস ৫০৪ ২:নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,আল্লাহ তাআলা রাতে তাঁর রহমতের হাত প্রসারিত করেন (বান্দার তাওবা কবুল করার জন্য উন্মুক্ত থাকেন) যাতে দিনের অপরাধী তওবা করে (কৃতকর্মের ব্যাপারে অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করে) এবং আল্লাহ তাআলা দিনে তাঁর রহমতের হাত প্রসারিত করেন যাতে রাতের অপরাধী তওবা করে। যত দিন না সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হয় (কেয়ামতের আগ পর্যন্ত এ সুযোগ অবারিত)। [সহীহ মুসলিম ২/৩৫৮] ৩:হযরত আবু মুসা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে তার প্রতিপালককে স্মরণ করে আর যে করে না তাদের দৃষ্টান্ত হল জীবিত ও মৃতের মতো।

(অর্থাৎ যে আল্লাহকে স্মরণ করে সে জীবিত। আর যে স্মরণ করে না সে মৃত)। [বুখারী, হাদীস : ৬৪০৭; মুসলিম, হাদীস : ৭৭৯] ৪:আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ্ বলেন:কিয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির প্রতিপক্ষ হব; (১)যে ব্যক্তি আমার নামে ওয়াদা ও চুক্তি করে তা ভঙ্গ করেছে, (২)যে ব্যাক্তি মুক্ত-স্বাধীন মানুষ বিক্রি করে তার মূল্য ভক্ষণ করেছে এবং (৩)যে ব্যক্তি কাউকে মজুর নিয়োগ করে পুরোপুরি কাজ আদায় করে নিয়েছে কিন্তু তাকে মজুরী প্রদান করেনি। ” [বুখারী,৩য় খন্ড, ৩৪ অধ্যায়, হাদীস ৪৩০] ৫:আব্দুল্লাহ্ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন: “ঐ ব্যক্তি মুসলিম, যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলমানগণ নিরাপদ থাকে। আর মুহাজির হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে আল্লাহ্ যা নিষেধ করেছেন তা ত্যাগ করে।

”(বুখারী: ১ম খন্ড,২য় অধ্যায়, হাদিস ০৯ ) ৬:আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন: যে ব্যক্তি দিনে এক শতবার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি (আমি প্রশংসার সাথে আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি)’ পড়ে, তার গুনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির সমান হলেও মাফ করে দেয়া হয়। (সহীহ আল-বুখারী, ৮ম খন্ড, ৭৫ অধ্যায়, হাদীস নং-৪১৪ ) ৭:হযরত মুস্তাওরিদ ইবন শাদ্দাদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ পরকালের তুলনায় ইহকালের দৃষ্টান্ত হলো এরুপ যে, তোমাদের কেউ তার কোনো একটি আঙ্গুল সমুদ্রে ডুবিয়ে রেখে যতটুকু সাথে নিয়ে ফিরে। (আঙ্গুলের অগ্রভাগে সমুদ্রের পানির যে অংশ লেগে থাকে, সমুদ্রের তুলনায় এটা যেরুপ কিছুই নয়, তেমনি আখিরাতের তুলনায় দুনিয়াটা কিছুই নয়)।

[মুসলিম] ৮:হযরত আবু দারদা রদিয়াল্লহু আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, (কিয়ামাতের দিন) মুমিনের পাল্লায় সচ্চরিত্রের চেয়ে বেশি ভারী কোন জিনিস হবে না। [আবু দাউদ] ৯:আবূ বাকারাহ্ নুফাই’ বিন হারেস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় ও মারাত্মক গোনাহ্ সম্পর্কে বলবো না? এ কথাটা তিনি তিনবার বললেন। আমরা বললাম: অবশ্যই বলুন, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন: আল্লাহর সাথে শিরক করা, পিতামাতার অবাধ্যতা; তিনি হেলান দিয়ে ছিলেন, অতঃপর (সোজা হয়ে) বসে বললেন: সাবধান! মিথ্যা কথা বলা এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া। এ কথাটি তিনি বার বার বলছিলেন, এমনকি আমরা বলতে লাগলাম- আহা! যদি তিনি থেমে যেতেন। ” - ( বুখারী ও মুসলিম) ১০:আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু 'আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি আল্লাহকে ও আখেরাতকে বিশ্বাস করে, তার হয় উত্তম কথা বলা উচিত অথবা চুপ থাকা উচিত।

আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে ও আখেরাতকে বিশ্বাস করে, আপন প্রতিবেশীর প্রতি তার সদয় হওয়া উচিত। আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে ও আখেরাতকে বিশ্বাস করে, আপন অতিথিকে তার সম্মান করা উচিত। " [বুখারীঃ ৬০১৮, মুসলিমঃ ৪৭] ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।