আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

''Just because I have 'HIV', doesn't mean I can't have a normal life''

I like to hear complain from my readers about my lacks.............................................আমি এক পরী যার ডানাও নেই, আকর্ষনও নেই ''অনুগ্রহ করে পড়ুন। '' ''Please read me.'' সবাই অবাক হল, এত তাড়াতাড়ি কিভাবে হেলথ ক্লাসের নতুন শিক্ষক লিসা সবার নাম মুখস্ত করে ফেলল। লিসা ওদের অবাক হওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল। কিন্তু পরক্ষনেই গম্ভীর দৃষ্টিতে সবার দিকে তাকিয়ে সবার মনযোগ আনার চেষ্টা করল। সবার পূর্ন মনযোগ পেয়ে লিসা ওর আজকের বক্তব্য শুরু করল।

''আজকে তোমাদের এইডস নিয়ে পড়ানো শুরু করব'', লিসা বলল। ক্লাসের দিকে তাকিয়ে লিসা বলল, ''মনে কর স্যামের এইডস/এইচ.আই.ভি তে আক্রান্ত হয়েছে। '' ক্লাসের পেছন থেকে শিষ দিল কেউ। লিসা কারো দিকে না তাকিয়ে বলতে থাকল, ''আজকের যুগে বিশেষত বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা প্রেম করে অনেক, অনেকে সেক্সও করে। মনে কর এই বছরে স্যাম এর সাথে হ্যালির সম্পর্ক হল।

তার পরের বছর ওরা আলাদা হল। এর ওরা আরও দুজনের সাথে সম্পর্ক তৈরি করল'', দুজনকে ইশারায় দাড়াতে বলল। ''এর পরের গ্রীষ্মে ওরা চার জন আরও চারজন, তারপরের বছর আট জন আরও আট জনের সাথে সম্পর্ক করল। তার পরের বছর ওরা ষোল জন অন্য ষোল জনের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে। তাহলে দেখা গেলো আমি ছাড়া ক্লাসের সবাইকেই এইডসএ আক্রান্ত মনে হচ্ছে।

'' ''তোমরা জান বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রায় প্রতি বছর সম্পর্ক করে। এর কিছু কারন আছে, বিদ্যালয়ে পড়াকালিন সময়ের সম্পর্কগুলো খুব সহজেই তৈরি হয়, আবার খুব সহজেই ভেঙ্গে যায়। তাহলে আমার উধারন এর উপসংহার এর অর্থ কে বলতে পারবে?'' সবার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারল লিসা, ওদের কারোই উত্তরটা জানা নেই। ''এই উধাহরন দ্বারা আমি বুঝাতে চাচ্ছি এই ক্লাসের শুধু একজনের এইডস/ এইচ.আই.ভি হলে বাকি সবার হতে পারে, কেনোনা বিয়ের আগে সেক্সুাল একটিভিটি করার প্রবনতা অনেক বড়ে গেছে সবার মাঝে। '' ''আর এর ফলে প্রতি বছর সাতাশ লক্ষ মানুষ এইডস/এইচ.আই.ভি তে আক্রান্ত হচ্ছে।

আর এর অনকে গুলো কারনের একটি হল অনিরাপদ সেক্স। অন্যান্য কারন গুলো হল এইডস/এইচ.আই.ভি তে আক্রান্ত ব্যাক্তির ব্যবহৃত সুচ ব্যবহার, এইডস আক্রান্ত ব্যাক্তির রক্ত/দেহের অংশ প্রতিস্থাপন, এইডস আক্রান্ত মায়ের দুধ পান করা। '' ক্লাসের ঘন্টা পড়লে সে ক্লাস থেকে বেড়িয়েই জনকে দেখতে পেল। জন ফিলোসফির শিক্ষক, এর পরের হলেই তার ক্লাস। ওর দিকে তাকিয়ে হেলো বলল লিসা।

জনের সাথে সেদিন কথা হয়েছিল। লিসার বন্ধুত্বপুর্ন আচরনে ওকে অনেক ভালো লাগে জনের। জনের সাথে কথা বলতে বলতে হাটতে লাগল লিসা। বাসায় পৌছে দিতে চায় জন, কিন্তু লিসা অন্য কাজ আছে বলে রিন্সের সাথে চলে গেল। আসলে লিসা চাচ্ছিলনা জন জানুক সে ক্লিনিকে যাচ্ছে।

লিসা ক্লিনিকে গিয়ে দেখল ওরও এক শিক্ষার্থি সিডনি বসে আছে। মেয়েটা এখানে কি করছে, বিশেষতভাবে একটা এইডস/এইচ.আই.ভি তে আক্রান্ত রোগীদের ক্লিনক এটা। এখানে সিডনিকে আশা করে নি লিসা। লিসা যখন সিডনির কাছে পৌছাল তখন সে সিডনির অশ্রুভরা চোখ দেখতে পেল। ''কি হয়েছে সিডনি, এখানে তুমি?'' সিডনি তাকাল লিসার দিকে, আতঙ্কিত গলায় বলল, ''মিস লিসা, আপনি কি করছেন এখানে?'' এইচ ''আমি এখানে প্রায়ই আসি, কিন্তু তুমি কি করছ?'' লিসা বলল।

''মিস আপনি বলুন কাউকে বলবেন না, এমন কি আমার মাকেও নয়'' সিডনি ধরা গলায় বলল। ''ঠিক আছে, কিন্তু আমরা চল অন্য কোথাও বসি'' লিসা বলল। লিসা ওকে একটা খালি রুমে নিয়ে গেল। বলতে শুরু করল সিডনি ''আমার একটা ছেলের সাথে শারীরিক সম্পর্ক ছিল, অনেক আগে। তখন আমি ফ্রেশমেন ছিলাম।

আমার জীবনের প্রথম প্রেম। এর পর একদিন পার্টিতে.....'' লিসার চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগল। ''তার দুই মাস পর ছেলেটি মারা গেল। ও এইচ.আই.ভি. তে আক্রান্ত ছিল। '' ''কিন্তু আমি কিছুই জানতাম না, গতকাল ওর রেখে যাওয়া একটি ভিডিও পাই ওর ভাইয়ের কাছ থেকে।

ভিডিতে ও ওর মৃত্যুর কারন জানিয়ে যায়। '' ''কিন্তু শুধু তাতেই প্রমান হয়না তুমিও এইচ.আই.ভি তে আক্রান্ত'', লিসা শান্ত কন্ঠে জানাল। ''তোমার কথা ঠিক আছে লিসা, কিন্তু আমার বেলায় তা চলেনা। আমার এখনো মনে আছে আমি কোনো কনডম ব্যবহার করি নি। আর তাই আজ এই ক্লিনিকএ এসেছি।

'' সব শুনার পর লিসার শুধু মনে হল, এ যেনো সিডনি নয়, সে তার নিজের দশ বছর আগের রুপ দেখতে পাচ্ছে, শুধু একটা পার্থক্য, সেদিন লিসার সাথে সঙ্গ দেবার, কথা শোনার কেউ ছিল না। লিসা সিডনিকে সান্তনা দেবার কোনো ভাষা খুজে পেল না। তারপর অনেক ভেবে বলল, ''তুমি আমার সাথে চল, আমি তোমার একটা প্রাথমিক পরীক্ষা করে দেখতে চাই। এর পর তোমার রক্ত পরীক্ষা করা যাবে। '' লিসা সিডনিকে ডঃ রিজভির অফিসে নিয়ে গেল।

এরপর লিসার মুখের ন্বিষেষিত রস দিয়ে পরীক্ষা করল। পরীক্ষায় সিডনি কে এইচ.আই.ভি. পসিটিভ নির্ণয় করল যন্ত্রটি। সিডনি আবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল, কিন্তু লিসা বলল, ''সিডনি, এখনো তোমার রক্ত পরীক্ষা হয়নি, তাই এখনি তোমার দুর্বল হলে চলবে না। এই পরীক্ষা ভুল হতে পারে। '' সিডনিকে বাসায় পৌছে দিতে দেরি হয়ে যায়, অসুস্থ বোধ করতে শুরু করছে লিসা।

বাসায় গিয়ে সমস্ত ঘর তন্ন তন্ন করে ঔষধ খুজতে লাগল। হটাৎ করে যেনো সব ভুলে গেছে সে। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল ঔষধ খাবার পর লিসা। হটাৎ করে খুব বিষন্ন হয়ে গেলো সে। হটাৎ করেই ভাবনাটা আসল, আপন মনেই জিজ্ঞাসা করল সে নিজেকে, ''আচ্ছা সিডনি, জন ওরা যদি জানত আমি এইচ.আই.ভি.তে আক্রান্ত, থলে ওরা কেমন আচরন করত?'' উত্তরটা পেতেও বেশি দেরি হল না, কিন্তু তাতে বিষন্ন মন আরও বিষন্ন হয়ে গেলো।

মাঝে মাঝে মনে হয় ঔষধ খাওয়া ছেড়ে দেয়, কিন্তু সহ্য হয়না। মরন নিয়ে ওর ভয় নেই, কিন্তু খুব ইচ্ছা করে আর দশটা মানুষের মত নিজের সংসার নিয়ে থাকতে, নিজের সন্তান আর ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে সুখি জীবন কাটাতে। কিন্তু কে ভালোবাসবে তাকে? ও এইচ.আই.ভি.তে আক্রান্ত বলে সবাই দুরে সরে যায়, আর ভালোবাসা? নাহ, এতো এই জীবনের অপ্রাপ্য চাওয়া তার জন্য, এ পূরন হবার নয়। কিন্তু কষ্ট হল, এই স্বপ্ন পূরন না হলে অন্য আর কোনো স্বপ্ন দেখা হবে না। তাই এ শুধুই দুঃস্বপ্ন! এর পরদিন সিডনি অসুস্থ হয়ে যায় কাজে থাকা অবস্থায়।

এম্বুলেন্স এসে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। জনের দিকে তাকিয়ে ওর মনে অপরাধবোধ জন্মাল। জন ওকে যে মনে মনে ভালবেসেছে সেটা জেনেও ওকে কিছু বলতে পারেনি লিসা। সিডনি এসেছিল তার পরদিন লিসাকে দেখতে, সিডনির রক্ত পরীক্ষা করানো হয়ে গিয়েছিল। লিসা ওকে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে নাকি জানতে চাইল।

লিসা বলল, ''আমার জীবনের সবচেয়ে বড় দূষঃহ সময় কাটাচ্ছিলাম রিপোর্ট আসার আগে, কিন্তু এখন আমার কোনো ভয় নেই। হ্যা, আমি জানি সবাই এখন সবাই আমাকে ভয় করবে, আমার কোনো বন্ধু থাকবেনা। কিন্তু আমি আর ভয় পাই না, ডাঃ রিজভি এখন আমার সব সময়ের ডাক্তার। ওনার অবজারবেসনে থেকে আমি আমার জীবনটাকে নতুন করে গড়ব। '' সিডনি চলে যাবার পর বাড়ির সামনের ফুল গুলোতে পানি দিচ্ছিল লিসা, জন এসে দাড়াল ওর পাশে।

''কেমন আছ'' জন বলল। ''যেমন দেখেছিলে, তেমন'' লিসা আবেগপূর্ণ উত্তর। লিসা জনকে বলতে লাগল, ''জন, তোমাকে আমি একটা প্রশ্ন করব, সত্যটা গোপন কোরো না। তুমি কি আমাকে ভালোবাস জন?'' ''আজ তোমাকে লুকালে আমার ক্ষতি। হ্যা, লিসা অনেক অনেক ভালোবাসি তোমাকে! ''তুমি কি জান আমরা বিয়ে করতে পারি, যদি আমরা সতর্ক হই তাহলে তোমার কোনো সমস্যা হবেনা।

ডাক্তার আরও বলেছে আমি চাইলেই মা হতে পারব, যতক্ষন আমার সন্তান আমার দেহের দুধ পান না করবে, ততক্ষন আমার সন্তান সুস্থ থাকবে। ''আত্মপ্রত্যয়ী গলায় বলল লিসা। ''আমার মনে হয় আমাদের আবার নতুন করে পরিচয় পর্ব শুরু করা উচিৎ,কি বল লিসা?''জন খুশি গলায় বলল। হেই, আমি জন। তোমার জন্য কি আমার হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দন ঘটছে? (সমাপ্ত) এতক্ষন যা পড়েছেন কষ্ট করে তা নিতান্তই গল্প, কিন্তু বাস্তবে এমনটা হয়।

এই গল্পে যা লেখা হয়েছে এইচ.আই.ভি./এইডস এর সম্পর্কে তা সবই কঠিন সত্য। এইচ.আই.ভি.=হিউম্যান ইমিউনো ভাইরাস(Human immune virus) এইডস= Acquired immune deficiency syndrome এইডস এর দীর্ঘ দিনের সংক্রামনের ফলে এইচ.আই.ভি. রোগ হয়, এইডস নির্ণয় করা যায় না। এইচ.আই.ভি.এর ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারাতে শুরু করে আক্রান্ত ব্যক্তি। এইচ.আই.ভি. দেহের ইমিউনো সিস্টেম ধংস করে সেল তৈরি করে। যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।

এইচ.আই.ভি./এইডস এর সংক্রামন থেকে দুরে থাকতে হলে: ১.''বিয়ের আগে সেক্স নয়'', এটাই প্রথম পছন্দ। আপনি বিবাহিত অথবা বিয়ের পু্র্বে সেক্স করতে প্রবলভাবে আগ্রহী হলে কনডম ব্যবহার করুন। কনডম শুধু এইচ.আই.ভি./এইডস থেকে আপনাকে রক্ষা করবে না, তছাড়া অন্যান্য সেক্সুাল ট্রান্সমিটেড(যৌনগতভাবে প্রেরিত)রোগ/সংক্রমন থেকেও রক্ষা করবে। ২.যেহেতু এইচ.আই.ভি./এইডস রক্ত প্রদান ও অঙ্গ প্রতিস্থাপন এর ফলে হতে পারে, সেহেতু রক্ত/অঙ্গ প্রতিস্থাপনের পুর্বে পরীক্ষা করুন। ৩.সম্ভব হলে প্রতি ১ বছর পর পর পরীক্ষা করুন আপনার রক্ত, ইউরীন।

বিভিন্ন রোগএর পরীক্ষা করুন। ৪.এইডস রোগে আক্রান্ত মায়ে দুধ শিশুকে খেতে দেয়া যাবেনা, এতে শিশুর এইচ.আই.ভি./এইডসএ আক্রান্ত হবার একশত ভাগ ঝুকি থাকে। ৫.এইচ.আই.ভি./এইডসএ আক্রান্ত ব্যাক্তির ব্যবহৃত সুচ, সিরিন্জ, নল ব্যবহার করা উচিৎ নয়। খুব প্রয়োজন হলে অনেকক্ষন পানিতে ফুটিয়ে ব্যবহার করুন(তবে সময় এর পার্থক্যে ঝুকি থাকতে পারে)। ৬.এইচ.আই.ভি./এইডসএ আক্রান্ত হলে সম্পূর্ন সুস্থ হওয়া যায় না।

কিন্তু ঔষধএর সাহায্যে নিয়ন্ত্রন করা যায় রোগটি। আপনি যদি এইচ.আই.ভি./এইডসএ আক্রান্ত কেউ অথবা কারো পরিবারের সদস্য, বন্ধু, প্রতিবেশী হয়ে থাকেন, তবে তাদেরকে এসব ব্যাপারে জানান। ''আপনার একটি সঠিক সিদ্ধান্তই পারে আপনার জীবনকে বদলে দিতে। '' আরও জানতে নিচের ওয়েবসাইটে যেতে পারেন: Click This Link Click This Link আপনার জানা কোন উল্লেখিত নয় তথ্য থাকলে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি । ভালো থাকুন! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।