আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মতিয়া, সাহারা, হানিফ, কামরুল, নাসিমসহ আরো অনেককে কি তাহলে ডান্ডা বেড়ি হাতছানি দিয়ে ডাকছে

love to singing দেশের রাজনীতিতে একটি বড় ধরনের অনৈতিক পরিবর্তন ঘটে গেছে। তাহল জাতীয় নেতৃবৃন্দকে অপমানিত করা এবং রাজপথে প্রহার করা। এই সংস্কৃতির উদ্ভাবক আওয়ামী লীগ। তারা যখনই ক্ষমতায় আসে তখন নতুন কিছু আবিষ্কার করে। কিছুদিন আগে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুককে যেভাবে হরতালের দিন রাজপথে প্রহার করা হল তা দেখে সারা পৃথিবীর মানুষ ছি!ছি! করেছে।

আমেরিকার পুলিশরে ভ্রু তো একেবারে কপালে উঠেছে বাংলাদেশের পুলিশের এই ধরনের কাণ্ড দেখে। গতকাল জামায়াতের দুই নেতাকে যেভাবে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে কোর্টে হাজির করা হল তা বিশ্বে নজির বিহীন। আজহার এবং তাসনীম আলম বয়ষ্ক লোক। তাদের দুই জনেরই বয়স ৬০ এর কাছাকাছি। তারা তো দৌড়ে পালানোর মত লোক না।

তাহলে তাদের পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরানো কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়। রাজনীতিতে যে নতুন সংস্কৃতি চালু করল আওয়ামী তার ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই মনে হচ্ছে। কারণ যদি সরকার পরিবর্তন হয় আর আওয়ামী লীগের নেতারা বিরোধী দলে থাকেন তাহলে ডান্ডাবেড়ি তাদের জন্য যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তা আর ব্যাখ্যা করে বুঝাতে হবে না। সুতরাং আজকে যারা সরকারে আছে আগামীতে তারা বিরোধী দলে যাবে এটা একেবারেই স্বাভাবিক। আর সেই সময় তাদেরকে পরম আনন্দের সাথেই এই ডান্ডাবেড়ি পড়ে কোর্টের বারান্দায় যেতে হবে সেটা এখন ৬ বছরের নাবালক শিশুও উপলব্ধি করছে।

তাই আওয়ামী লীগ নেতাদের এখন অপেক্ষার পালা কবে তারা অত্যন্ত আরামদায়ক বস্তু এই ডান্ডাবেড়ি পরবেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের যে ডান্ডাবেড়ি পরতে হবে তাতে কোন বিবেকবান লোকের সন্দেহ থাকার কথা না। শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.