আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মমতাজ আপা চঞ্চলের সঙ্গে বিয়ে অস্বীকার করে বললেন কেউ কবুল বললে বিয়ে হয়ে যায় না

ডা. মঈন হাসান চঞ্চলের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সংসদ সদস্য ও সংগীত শিল্পী মমতাজ বেগম। তিনি বলেছেন, আমি এখনও রমজান আলীর বৈধ স্ত্রী। ডা. মঈন হাসান চঞ্চলের স্ত্রী নই। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন- বাস্তবে যে বিয়েই হয়নি, তা কেউ কবুল বললেই কি বিয়ে হয়ে যায়? মমতাজ ও ডা. চঞ্চলের বিয়ের বিষয়ে মানবজমিন-এ প্রকাশিত খবরের বিষয়ে এক প্রতিবাদপত্রে মমতাজ এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদের প্যাডে পাঠানো ওই প্রতিবাদে তিনি বলেন, খবরে বলা হয়েছে- বর্তমান স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়ে চঞ্চলকে বিয়ে করায় আমার সংসদ সদস্য পদও হুমকির মুখে।

যেহেতু আমি আমার বর্তমান স্বামীকে ডিভোর্স দিইনি এবং তা মানবজমিন পত্রিকার আগের রিপোর্টগুলোতেই ছাপা হয়েছে- অতএব, আমার সংসদ সদস্য পদ নিয়ে কোনরূপ হুমকির আশঙ্কা আমি করি না। গত ১৭ই সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘সেই ডাক্তারকেই বিয়ে করলেন মমতাজ’ শিরোনামের খবরের আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকাশিত এ খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত, কুরুচিপূর্ণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। খবরে প্রকাশিত আমার প্রতিষ্ঠিত মমতাজ চক্ষু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মঈন হাসান চঞ্চলের সঙ্গে তার বাবা-মায়ের সম্মতিতে আয়োজন করে আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে- এ প্রসঙ্গে আমার জিজ্ঞাসা, কবে কোথায় আয়োজন করে আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হলো? এ বিয়ের কাজী কে? কাবিননামা কোথায়? বিয়ের দেনমোহর কত টাকা ধার্য করা হয়েছে এবং বিয়ের উকিল পিতা ও সাক্ষী কারা? আমি জানি এ প্রশ্নগুলোর কোন উত্তরই মানবজমিন পত্রিকার জানা নেই। তিনি বলেন, সংবাদটি শুধুমাত্র পত্রিকার কাটতি বাড়াতে এবং আমার সুনাম নষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে ছাপানো হয়েছে।

একই সঙ্গে ১৮ই সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘মমতাজের বিয়ে এবং রমজান আলী’, ১৯শে সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘কবুল করলেন চঞ্চল’, ২০শে সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘বাবাকে চঞ্চল: স্ত্রীকে নিয়ে আমার মত থাকবো’, ২২শে সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘রমজানকে মমতাজ: চঞ্চল আমাকে ব্ল্যাকমেইল করেছে’, ২৪শে সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘গান শুনেই মমতাজের প্রেমে পড়েছিলাম’ শিরোনামের প্রতিবেদনেরও প্রতিবাদ জানান মমতাজ বেগম। তিনি বলেন, ১৭ই সেপ্টেম্বর প্রকাশিত খবরে কলকাতা প্রতিনিধির বরাতে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরের আদালতে আমার বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের মামলার খবরও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে। এ মিথ্যা মামলাটি আমার নিয়োগকৃত আইনজীবীর মাধ্যমে মামলার নির্দিষ্ট গতিতেই চলছে এবং আমি চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। মমতাজ বলেন, খবরে প্রকাশিত ‘সমপ্রতি কলকাতা হাইকোর্ট থেকে এক নির্দেশে মমতাজের নামে ভারতে আসার মাল্টিপল ভিসা ইস্যু করে তা বাতিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রককে। একমাত্র মামলায় হাজিরা দেয়ার শর্তেই তার নতুন করে ভিসা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

’ এ খবরটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমার কূটনৈতিক পাসপোর্টে সার্ক স্টিকার সংযুক্ত রয়েছে। ভিসা বাতিলের প্রশ্নই ওঠে না। ১৮ই সেপ্টেম্বর প্রকাশিত খবরে রমজান আলীকে আমার সাবেক স্বামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর ১৭ই সেপ্টেম্বর প্রকাশিত খবরে তার সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়ে গেছে উল্লেখ করা হয়েছে।

আমি বলতে চাই- না জেনে এক একদিন একরকম মিথ্যা তথ্যই মানবজমিন প্রকাশ করে গেছে। সত্য হচ্ছে এই- তিনি এখনও আমার স্বামী। মমতাজ বলেন- খবরে বলা হয়েছে, ২০০১ সালের ৭ই জানুয়ারি আমার প্রথম সন্তান এবং ২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট দ্বিতীয় সন্তান জন্মগ্রহণ করে। প্রকৃতপক্ষে ২০০২ সালের ৭ই জানুয়ারি আমার প্রথম সন্তান রুহানী এবং ২০০৫ সালের ১৩ই জুলাই দ্বিতীয় সন্তান রোজের জন্ম হয়। মমতাজ বলেন, ২২শে সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘রমজানকে মমতাজ: চঞ্চল আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছে’ খবরটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা।

এ ধরনের কোন কথাই রমজান আলীর সঙ্গে আমার হয়নি। তিনি বলেন, আমি আমার স্বাভাবিক ব্যস্ততা নিয়েই দিনযাপন করছি। শুধু তাই নয়, গত ২২শে সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম ক্লাবে অনুষ্ঠিত একক কনসার্টে অংশগ্রহণ করি। আমি এটাও বলতে চাই, কারও দয়া বা করুণায় আমি শিল্পী কিংবা সংসদ সদস্য মমতাজ হইনি। সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর অশেষ রহমত, মানুষের দোয়া ও ভালবাসা এবং নিজের যোগ্যতা ও মেধায় আজ এতদূর এসেছি।

আর গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছা এবং এবং আহ্বানেই আমি সংসদ সদস্য হতে পেরেছি। গত ২৪শে সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘গান শুনেই মমতাজের প্রেমে পড়েছিলাম’ শিরোনামের খবরে বিষয়ে তিনি বলেন- রমজান আলীর উদ্ধৃতি দিয়ে একজন নারী হিসেবে, একজন মা হিসেবে, একজন শিল্পী হিসেবে, একজন সংসদ সদস্য হিসেবে এবং সর্বোপরি দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমার জীবন্ত কবর রচনা করা হয়েছে। আমার অন্দর মহলের বিষয়কে মানুষের সামনে টেনে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ১৯শে সেপ্টেম্বর এবং ২০শে সেপ্টেম্বর পত্রিকার প্রথম পাতায় আমার এবং ডা. চঞ্চলের ছবি গ্রাফিক্সের মাধ্যমে সংযুক্ত করে ছাপানো হয়েছে। এ ছবিটিও আমাদের কোন যুগল ছবি নয়।

আমার ও ডা. চঞ্চলের কল্পিত বিয়ে প্রমাণ করার হীন উদ্দেশ্যেই এভাবে প্রতিটি তথ্যই মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করেছে। মমতাজ বলেন, মানবসেবার জন্য প্রতিষ্ঠিত আমার দু’টি হাসপাতাল ধ্বংসের নীলনকশা এঁকে এবং আমার রাজনৈতিক কেরিয়ারে কাঁদা লেপন করার জন্য কুচক্রী মহলের ইন্ধনেই এভাবে কল্পিত কাহিনী সাজিয়ে আমার মান-সম্মান ধূলোয় মিশিয়ে দেয়ার অপ্রয়াস চালানো হয়েছে। আমি এ সকল সংবাদ, তথ্য ও যুক্তি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, কল্পনাপ্রসূত, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং কুরুচিপূর্ণ সংবাদ ছাপা হওয়ায় দেশে-বিদেশে আমার অগণিত ভক্ত-শ্রোতার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।