আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আফ্রিদি-বিষেই শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

৫ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৫ বলে ৭৬ রান—ব্যাট হাতে গত রাতে স্বরূপে ফিরেছিলেন শহীদ আফ্রিদি। তবে নিজের এর চেয়েও ভয়ংকর মূর্তিটা তিনি তুলে ধরলেন বল হাতে। মাত্র ১২ রান খরচায় ৭ উইকেট—ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুটিয়ে দেন মাত্র ৯৮ রানে। আফ্রিদির ঈর্ষণীয় নৈপুণ্যে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানের জয়টাও এসেছে বেশ বড় ব্যবধানে, ১২৬ রানে।
আফ্রিদির দুর্দান্ত বোলিং বিশ্লেষণটা এবার দেখুন।

৯-৩-১২-৭! ইকোনমি রেট ১.৩৩। সুযোগ এসেছিল হ্যাটট্রিকেরও। ২৩তম ওভারের প্রথম বলে আফ্রিদি সাজঘরমুখী করেন লেন্ডল সিমন্সকে। পরের বলেই তুলে নেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক ডোয়াইন ব্রাভোর উইকেট। তবে তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে আফ্রিদিকে হ্যাটট্রিক থেকে বঞ্চিত করেন কাইরন পোলার্ড।


২৩ রানে ৪ উইকেট নেই। স্কোরবোর্ডে ৪৭ রান তুলতে না তুলতেই সাজঘরমুখী শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যান। গত রাতে পাকিস্তান দলের শুরুটা কী বাজেই না হয়েছিল! তাই তো আফ্রিদির ঝোড়ো ইনিংস, অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের ৫২ রানের পরও দলীয় সংগ্রহটা ৯ উইকেটে ২২৪-এর বেশি এগোয়নি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে এটা আহামরি কোনো রান নয়। তবে এই অল্প পুঁজি নিয়েই ক্যারিবীয়দের একেবারে পিষে ফেলল পাকিস্তান।

কৃতিত্বটা অবশ্যই এককভাবে সাবেক অধিনায়ক আফ্রিদির। ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ ইরফান ১৭ রান খরচায় নেন দুটি উইকেট।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৭ রানের মধ্যে নেই তিনটি উইকেট। ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের উইকেট বিসর্জনের খেলাটা আর থামেনি।

দলীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন মারলন স্যামুয়েলস। ড্যারেন স্যামি ২১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। সুনীল নারাইন ও লেন্ডল সিমন্সের সংগ্রহ যথাক্রমে ১৪ ও ১০ রান। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউ দুই অঙ্কের সংগ্রহ গড়তে পারেননি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২২৪/৯ (৫০ ওভার)
আফ্রিদি ৭৬, মিসবাহ ৫২, উমর আকমল ১৯, আজমল ১৫*
হোল্ডার ১৩/৪, রোচ ২/৩৮, ডুয়াইন ২/৫২
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৯৮/১০ (৪১ ওভার)
স্যামুয়েলস ২৫, স্যামি ২১*, নারাইন ১৪, সিমন্স ১০
আফ্রিদি ৭/১২, ইরফান ২/১৭
ফল: পাকিস্তান ১২৬ রানে জয়ী।


ম্যাচসেরা: শহীদ আফ্রিদি।
সূত্র: ক্রিকইনফো। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।