আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দোষ আসলে ওনাদের না দোষ বয়সের

বয়সের সাথে সাথে বুদ্ধি বাড়ে- একথা সত্য হলেও একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর বুদ্ধি সম্পৃক্ত হয়ে পরে এবং এর পর বয়স বাড়ার সাথে সাথে বুদ্ধি কমতে থাকে। একটা কাথা আছে 'বুড়া আর গুরা (বাচ্চা) একই কথা'। অর্থাৎ বয়সের ভারে আক্রান্ত বুড়ো এবং অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের আচার-আচরণ, বুদ্ধি-বিবেচনা, কর্মদক্ষতা একই রকমের। পার্থক্য এই- বুড়ারা হাঁটে তিন পায়ে আর গুরারা হাঁটে চার পায়ে। বুড়োদের দ্বারা কোন দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করা সম্ভব নয়।

আমাদের দেশ পরিচালনায় ব্যার্থতা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় দোষটা দায়িত্ব প্রাপ্ত মানুষটির নয়, বরং বয়সের। একটি খোকার জন্য চাঁদের দেশ ভ্রমণ করা যেমন অপরিপক্ক বাসনা, অশিতপর মন্ত্রিপরিষদ দ্বারা দেশ পরিচালনা করাও তেমন ব্যার্থ চেষ্টা। পরিকল্পনা মন্ত্রী এ কে খন্দকার এর দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনার কোন বুদ্ধি অতীতে থাকলেও বর্তমানে অবশিষ্ট নাই। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেশের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে যদি ২৫শে মার্চ এর পরিবর্তে তিনি ২৫শে বৈশাখ ব্যবহার করেন তবে বুঝতে হবে এটা বয়সের দোষ। ভূমি মন্ত্রী রেজাউল করিম হীরার ক্ষেত্রে ভূমি দস্যু দমন করা আর ছোট বেলায় দস্যু খুর্ রামের গল্প বলা একই কথা।

কারণ তিনিও যে বয়সের ভারে ন্যূজ। তাইতো তিনি হোটেল রূপসি বাংলায় ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের ভাষণে ইন্দোনেশিয়ার পরিবর্তে ইন্ডিয়া বলে সম্বধোন করেন। এখানেও তার চেয়ে বয়সের দোষটা বেশি। সব জায়গাকেই হোম মনে করেন হোম মিনিস্টার সাহারা খাতুন। তাইতো বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী উপবিষ্ট মঞ্চে বসে ঘুমাতে পারেন।

এ যেন মায়ের কোলে- খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে, আইন শৃঙ্খলা নষ্ট হলে রক্ষা করবে কিসে? এরকম বয়সের ভারে নূজ্য মন্ত্রীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। এদের হাতে যদি দেশ পরিচালনার ভার থাকে তবে দেশর ব্যার্থতার জন্য বয়সের ভার টাকে আমার উপেক্ষা করতে পারি না। তাই তো বলতে হয় - "দেশ কেউ চালায় না, দেশ চলে"। তবে কোন পদ্ধতিতে দেশ চলে তা নিরূপণের সুযোগ এখনও হয়নি। স্বৈরশাসকের আমলে কবি শামসুর রাহমান লিখেছিলেন- "উদ্ভট এক উটের পিঠে চলছে স্বদেশ।

" বর্তমান দেশটি কিসের পিঠে চলছে তা বড় জানতে ইচ্ছা করে... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।