আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গেম খেলে এইচআইভি সূত্র! সফলতা

মজা কিন্তু আসলেই মজা কম্পিউটার গেইম যারা বানান, তারা কিন্তু জানেন না ঠিক কোন কৌশলে খেললে সহজে জিতবেন গেমার। তারা শুধু কোডিং আর ডিজাইনটা করে দেন। বুদ্ধি খাটাতে হয় মানুষকেই। বিভিন্ন গবেষণার কাজ সহজ করারও কিছু সিম্যুলেশন গেমস আছে। ওটার কাজ হলো খেলতে খেলতে সমাধান বের করা।

২০০৮ সালে ‘ফোল্ডিট’ নামের এমন একটি গেম বানিয়েছিল ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। ওই গেমের শত্র“ ছিল একটা ভাইরাস। ওটাকে ধ্বংস করতে গেমসে অস্ত্র হিসেবে দেওয়া আছে দরকারি কেমিক্যাল। কিন্তু সমস্যা হল কেমিক্যালগুলোকে ঠিক কোন বিন্যাসে একত্র করলে তা অ্যান্টি-ভাইরাসের কাজ করবে তা ওই গেম নির্মাতারা জানতেন না। আর তাই সমাধান খুঁজতে ঝাঁপিয়ে পড়ে চিকিৎসায় জ্ঞান আছে এমন একদল গেমার।

গতকালই হয়ে গেল ‘মিশন অ্যাকমপ্লিশড’। এইচআইভি যে গ্র“পের সদস্য, ওই গ্র“পেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাইরাসের গোপন রহস্য ভেঙে দিয়েছেন অনলাইন গেমাররা। ভাইরাসটির থ্রিডি মানচিত্র নিয়ে এতদিন ‘খেলা’র পর গতকাল হাতে পেলে ওটার একটি এনজাইমের গঠনচিত্র। এরপর ভাইরাসের চোখ ফাঁকি দিয়ে তার দুর্গে আঘাত হানতে গেমারদের বানাতে হয়েছে বিশেষ ধরনের প্রোটিন। তাতেই মিলেছে সফলতা।

সমাধানের ব্যাখ্যাটা খানিকটা জটিল হলেও যারা ভাইরাসের চিচিং ফাঁক করতে দিনরাত খাটছেন, তাদের কাছে এটা ‘ইউরেকা!’ বলার মতো আবিষ্কার। অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ড্রাগ তৈরির কাজও এগিয়ে গেল অনেকদূর। আর হাতে পাওয়া গেল প্রাণঘাতী এইচআইভি ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির সূত্র। বি¯-ারিত পাওয়া যাবে নেচার স্ট্রাকচারাল অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি জার্নালে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।