আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি কেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চাইনা (2/2 - শেষ)।

Miles to go before I sleep..... (আগের পর্ব। ) কিন্তু ধরে যদি নেই-ও যে কোন একসময় গাজা এবং পশ্চিম তীর নিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ঠ্র হবে। কিন্তু সেই রাষ্ঠ্রের নাম ছাড়া কি আসলে সার্বভৌম কোন অস্তিত্ব থাকবে? সে রাষ্ঠ্র জন্মের আগেই এমনভাবে পঙ্গু সে কখনই মাথা তুলে দাড়াতে পারবেনা। প্রথমত গাজা এবং পশ্চিমতীর দুটা লাগানো (contiguous) কোন স্থান না। এদের মধ্যে ৫০ মাইল দূরত্ব আছে।

মাঝখানে ইজরায়েলের সার্বভৌম জায়গা। অজলো চুক্তি অনুসারে ফিলিস্তিনি রাষ্ঠ্র হলে এ দুটাকে একটা "সেইফ প্যাসেইজ" দিয়ে কানেক্ট করা হবে। আবার সেই সেইফ প্যাসেজের কর্তৃত্ব সম্পূর্ণভাবে ইজরায়েলের হাতে থাকবে। আদতে তারা যখন ইচ্ছে সেটা বন্ধ করতে পারবে, যখন ইচ্ছে চেকপোস্ট বসাতে পারবে, যখন ইচ্ছে বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে পারবে, যখন ইচ্ছে মালামাল পরিবহন বন্ধ করে দিতে পারবে। বাংলাদেশ আর পাকিস্তান একরাষ্ঠ্র থাকাকালীন যেরকম হত তার থেকেও বেশি বিদঘুটে ব্যাপারটা।

এমনকি গাজা এবং পশ্চিমতীরের মাঝখানের আকাশপথও ফিলিস্তিনিরা সরাসরি ব্যবহার করতে পারবেনা। কিন্তু পশ্চিম তীর এবং গাজার দুরত্ব শুধু ফিজিক্যাল না, তাদের দুই জনসংখ্যার মধ্যে মানসিকতায় ব্যাপক পার্থক্য তৈরী হয়েছে। অনেকবছর আলাদা থাকলে এরকম পার্থক্য তৈরী হয়। বাংলাদেশীদের এবং পশ্চিমবঙ্গবাসীদের মধ্যে যেমন এখন ব্যাপক মানসিকতায় পার্থক্য দেখা যায় সেরকমই। গাজার জনগন ইসলামী ভাবধারার অনুসারী, তবে মৌলবাদী না।

তারা বেশ অবজার্ভেন্ট মুসলিম এবং ইসলামই যে তাদেরকে মুক্তি দিতে পারে এ ব্যাপারে কনভিন্সড। পশ্চিমতীরের জনগন মুলত ধর্মনিরপেক্ষ। তারা দূর্নীতিমুক্ত ইসলামী ভাবধারার হামাস থেকে আপাদমস্তক দূর্নীতিগ্রস্থ পিএলও-ফাতাহকে পছন্দ করে ধর্মনিরপেক্ষ বামপন্থী ভাবধারার হওয়ার কারনে। উল্লেখ্য একসময় গাজাও ধর্মনিরপেক্ষ ছিল, পরবর্তীতে তুরস্কের মত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের চরম দূর্নীতিগ্রস্থতার জন্যই এরা ক্রমান্বয়ে হামাসের দিকে মুখ ফেরায়। ২০০৬-এর নির্বাচনে হামাস নিরংকুস সংখ্যাগরিষ্টতা পেলেও এটা এখনও পরিষ্কার না পশ্চিমতীরের জনগন হামাসের সাংঘটনিক দক্ষতা এবং দূর্নীতিমুক্ত থাকার প্রবণতাকেই শুধু গ্রহন করেছে নাকি তাদের ইসলামী ভাবধারার আর আদর্শকেও পূরোপুরি গ্রহন করেছে।

কিন্তু দু এলাকার মানুষের মধ্যে বড় আকারে পার্থক্য তৈরী হয়েছে সে ব্যাপারে সন্দেহ নাই। তাই এই দু-এলাকার লোকের জন্য একটা জাতিরাষ্ঠ্র গঠন করলে সেটা কোনদিনই ফলপ্রসু হবেনা। তাছাড়া ফিলিস্তনিদের কোন একক কর্তৃপক্ষ নাই। গাজায় হামাস এবং পচিমতীরে পিএলও (জবরদখল করে) ক্ষমতায় আছে। যদিও ২০০৬ সালের নির্বাচনে হামাস বড় ব্যবধানেই জিতেছে এবং নিজেই সরকার গঠন করার মত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল, কিন্তু পিএলও, ইজরায়েল, যুক্তরাষ্ঠ্র কেউ এই নির্বাচনের ফলাফল মানতে রাজি না।

তাই প্রকৃতপক্ষে যেহেতু হামাসই ফিলিস্তিনিদের প্রতিনিধত্বকারী হওয়ার কথা, তারাই ইজরায়েলের সাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিয়ে কথা বলার আইনগত দাবিদার, কিন্তু ইজরায়েল-এমেরিকা-ইইউ কেউ হামাসকে মেনে নিবেনা। ফাতাহ মনে করছে যে এভাবে চলতে থাকলে, হামাস জনপ্রিয় হতে থাকলে, পিএলও ফিলিস্তিনিদের কর্তৃপক্ষ এ ধারনাটা বিশ্বের মানুষ আর বিশ্বাস করবেনা, তারা হয়ত একসময় ফাতাহকে বাদ দিয়ে হামাসকেই বেশি গণ্য করবে। এজন্যই পিএলও সাম্প্রতিককালে জাতিসংঘে একতরফাভাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ঠ্রের পূর্ণ মেম্বারশিপের আবেদন তুলছে যাতে নিজেরাই ফিলিস্তিনিদের এখনও একচ্ছত্র কর্তৃপক্ষ সেটা প্রমান করা যায় আর দেরী করলে এই অধিকার হারাবে তারা। অথচ ফিলিস্তনি রাষ্ঠ্র হলে সে রাষ্ঠ্রের কোন সশস্ত্রবাহিনী ইজরায়েল মেনে নিবেনা। তাদের কোন প্রতিষ্ঠিত এবং বাস্তবায়নযোগ্য অর্থনৈতিক সিস্টেম এবং কাঠামোও নেই।

তাই কোনভাবেই বর্তমান অবস্থায় ফিলিস্তিনি রাষ্ঠ্র কায়েম হলে সেটা শক্ত কোন রাষ্ঠ্রকাঠামো হিসেবে দাড়াতে পারবেনা, এটা ইজরায়েলের উপগ্রহ-রাষ্ঠ্র হিসেবে এবং অনুগ্রহের উপর বেঁচে থাকবে। জন্মের আগেই যেটা ব্যর্থরাষ্ঠ্র হিসেবে জন্ম হবে এবং কোনদিনই প্রকৃত স্বাধীনতা ভোগ করবেনা। তাহলে সমাধান কি? সমাধান হচ্ছে একরাষ্ঠ্র হিসেবে থাকা। ফিলিস্তিনের বর্তমান জনসংখ্যা চার মিলিয়ন। ইজরায়েলে আরব জনসংখ্যা ২ মিলিয়নের কাছাকাছি।

যদি লেবানন, জর্ডানে রিফিউজি ক্যাম্পে থাকা ফিলিস্তিনি আরবদের কিয়দংশও ফিরতে পারে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন সময়ে, তাহলে সমস্ত ইজরায়েল এবং গাজা-পশ্চিমতীর মিলে আরবদের সংখ্যা হবে ৭ মিলিয়নের কাছাকাছি। ইজরায়েল ইহুদী জনসংখ্যা সাড়ে পাঁচ মিলিয়ন বা ছয় মিলিয়নের কাছাকাছি। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ইজরায়েলের এক লোক, এক ভোট এবং ইজরায়েলে যে ২ মিলিয়ন আরব জনগন আছে তাদের অনেকক্ষেত্রে বড় রকমের হয়রানি করা হলেও তাদের ভোটাধিকার আছে। তার মানে একরাষ্ঠ্র হয়ে গেলে ইজারেয়েলে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে আরবরাই সংখ্যাগরিষ্ট হয়ে যাবে। এ ছাড়াও আরবদেরকে ইজরায়েলিরা এত বেশি পরিমানে হত্যা করা সত্ত্বে আরবদের জনসংখ্যা বিস্ফোরন রীতিমত এটমবোমার মত।

১৯৯০ সালে ফিলিস্তিনি টেরিটরীতে আরবদের সংখ্যা ছিল ২ মিলিয়ন, মাত্র বিশ বছরে সেটা দ্বিগুন হয়েছে। এটা বিখ্যাত ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্বকেও হার মানিয়েছে! যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে মাত্র ২০ বছরেই সমস্ত ফিলিস্তন-ইজরায়েলে আরবরা ইহুদীদের থেক দ্বিগুন হয়ে যাবে। উল্লেখ্য ফিলিস্তিনে আরব জনসংখ্যার একটা বড় অংশ ক্রিস্টান এবং হাজার বছর ধরে সেখানে আরব মুসলিম, ক্রিস্টান এবং আরব ইহুদীরা (সংখ্যায় খুব কম ছিল) কোনধরনের সমস্যা ছাড়াই সম্প্রীতির মধ্যেই বাস করেছে। জায়নিস্টরা এসেই সব সর্বনাশ করে দিয়েছে। আরো উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আরব ক্রিস্টানদের একটা বড় অংশ হামাসকে সমর্থন করে, যেমন লেবাননের ক্রিস্টানরা হিজবুল্লাকে সমর্থন করে।

ইজরায়েল রাষ্ঠ্র নানাভাবে তাদের জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে, কিন্তু তাদের জনগন বেশিরভাগই ইউরোপ থেকে মাইগ্রেট হয়ে আসার কারনে ১ বা ২ সন্তানের বেশি নিতে চাইনা, অনেকে বিয়েই করেনা বা সন্তানই নেইনা। তাই ইজরায়েল সারাবিশ্বের সব ইহুদীকেই ইজরায়েলে মাইগ্রেইট করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সবচেয়ে বেশি ইহুদী আছে যুক্তরাষ্ঠ্রে, তারা সেখানে খুব ভালভাবে প্রতিষ্টিত, সমাজের এলিট এবং রুলিং ক্লাস, তারা ইজরায়েলে যেতে চায়না, যদিও সবারই ইজরায়েলের এবং যুক্তরাষ্ঠ্রের দু'দেশেরই পাসপোর্ট আছে। একরাষ্ঠ্র সমাধানের সবচেয়ে বড় বাঁধা হচ্ছে ফিলিস্তিনি আর ইজরায়েলের জনগনের সংখ্যাগরিষ্ট এখনো সেটা মেনে নিতে রাজি না। ফিলিস্তিনিরা স্বাধীনতার স্বপ্নে বুঁদ হয়ে আছে, তাদের মনে হচ্ছে স্বাধীনতা পেলেই হয়ত সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তারা নিজেদের ভাগ্য নিজেরা গড়ে নিবে। তাছাড়া ষাটেরও বেশি বছর ধরে অত্যাচারিত হওয়াতে ইহুদীবাদীদের প্রতি তাদের ঘৃণা এতই প্রবল যে তাদের গড়া রাষ্ঠ্রে থাকতে হবে এটা হয়ত তারা অনেকেই মানতে চাইবেনা।

কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা ফাতাহ আর হামাসের নেতৃত্ব। যদি একরাষ্ঠ্রব্যবস্থা থাকে তাহলে এরা ক্ষমতার স্বাদ আর একটা সম্পূর্ণ রাষ্ঠ্র এবং জনগোষ্ঠিকে শাসন-শোসন করার সুযোগ পাবে না, তাই এই সমাধানের বিপক্ষেই থাকবে তারা। ইজরাইলিরা এই সমাধান মানার কোন যুক্তিসংগত কারন নেই। একরাষ্ঠ্রব্যবস্থায় তারা আলিটমেইটলি তাদের ইহুদীবাদি এবং বর্ণবাদী রাষ্ঠ্রের নিয়ন্ত্রণ হারাবে যদি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু থাকে। তাই তারা এটা হতে দিতে চাইবে না কোনমতেই।

তাছাড়া তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ মনে করে ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে জমি কেড়ে নেওয়া এবং ফিলিস্তিনিদের বিতারিত করাই গডের পরিকল্পনার অংশ। কিন্তু আদতে এই সমস্যার একমাত্র গ্রহনযোগ্য সমাধান একটা উদার গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ঠ্র গড়ে তোলা যেখানে আরব মুসলিম, ক্রিস্টান, ইহুদি এবং ইজরাইলের বাসিন্দারা সমতার ভিত্তিতে থাকবে। শাসনব্যবস্থা হয়ত লেবাননের মত তিন গোত্রকে ভাগ করে দেওয়া যায়। ফিলিস্তিনিরা যত তাড়াতাড়ি এটা বুঝবে আর এ দাবি নিয়ে বিশ্ব দরবারে হাজির হবে ততই মংগল। বিশ্ববাসী উদার গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ ইসরাইল-ফিলিস্তিনের জন্য একক দেশের আইডিয়াকে বর্তমান প্রেক্ষিতে সমর্থন না করার কোন কারন নেই।

ফিলিস্তিনিরা তাদের জরাগ্রস্থ, ভঙ্গুর, জন্মের আগেই ব্যর্থ এবং ইজরাইলের উপর সারাজীবন নির্ভরকারী অতি ছোট একটা দেশে দুর্নীতিপরায়ন শাসকদের শোসনে থাকার চেয়ে একক দেশে থাকলে তাদের শেষ পর্যন্ত লাভই হবে। সুখের খবর হচ্ছে একরাষ্ঠ্র ব্যবস্থার জন্য ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সমর্থন বাড়ছে, যদিও তা এখনও সংখ্যাগরিষ্টের সমর্থন আদায় করতে পারেনি। তবে যেহেতু এই ধারনার মানুষ বাড়তেছে তাই ধারণা করা যায় আগামী দশকে বেশি থেকে বেশি ফিলিস্তিনি ক্রমান্বয়ে একরাষ্ঠ্রের অধীনে চলে আসার ব্যাপারে একমত হবে এবং বিশ্ববাসীর কাছে এই আইডিয়া সামনে নিয়ে আসবে। এসব বুঝতে পেরে ইজরায়েলি শাসকরা চরম দুশ্চিন্তায় আছে। তারা গত কয়েকদশক ফিলিস্তনি শিশু এবং কিশোরদের হত্যা করার টার্গেট নিয়েছিল।

কিন্তু ইন্টারনেট আর ওপেন মিডিয়ার এ যুগে, সারা বিশ্বের সব মানুষের চোখের সামনে তেমন কিছু বড় আকারে গণহত্যা চালানো সম্ভব না, বিশেষ করে ইজরায়েল যেহেতু উন্নত এবং পশ্চিমাধারার রাষ্ঠ্র বলে নিজেদের পরিচয় করিয়ে দেয়। তাই ইজরায়েলের এখন মাথায় হাত, মোসাদের বড়বড় চিন্তাবিদরা এ সমস্যা সমাধান করার উপায় খুঁজে পাচ্ছেনা। এজন্যই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমস্ত ইজরায়েল একরাষ্ঠ্র হলে আরবরা ক্ষমতা দখল করার চেয়ে তাদেরকে গাজা-পশ্চিমতীর নিয়ে একটা রাষ্ঠ্র বানিয়ে দিলে ইজরায়েলেরই আখেরে লাভ। এতে করে সাউথ আফ্রিকার এপার্থেইডের সময়কার বান্তুস্তানের মত পঙ্গু, জরাগ্রস্থ একটা কৃত্রিম রাষ্ঠ্রের জন্ম হবে। কিন্তু ইজরায়েলের রক্ষনশীল জনগনকে সেটা বুঝানো সম্ভব না, তারা এখনও স্বপ্ন দেখে গডের পরিকল্পনা অনুসারে সম্পূর্ণ ফিলস্তিঐ একসময় কব্জা করবে আর ফিলিস্তিনি আরবদের ডিসপ্লেইস করবে।

তাই মোসাদ আর আইডিএফ দালাল আব্বাসের মাধ্যমেই বান্তুস্তান বানানোর কাজটা করতে চাচ্ছে। তারা চায় তাড়াতাড়ি যেনতেনভাবে একটা কালা-লুলা-খোঁড়া ফিলিস্তিনি রাষ্ঠ্র জাতিসংঘে পাশ করিয়ে নিতে যাতে এ ধরণের কোন এককরাষ্ঠ্রের কথা ভবিষ্যতে না উঠে। আর তাদের দালাল মাহমুদ আব্বাস তো আছেই তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য। নাহয় হঠাৎ করে আব্বাসের কোনধরনের ফিলিস্তনিদের মতামত না নিয়ে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি স্বাধীনরাষ্ঠ্র গঠনের তোরজোরের কোন ব্যাখ্যা নেই। ইজারায়েল উপর দিয়ে এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করলেও ভিতরে ভিতরে আব্বাসকে সাহায্য করছে।

তাই তারাই ফিলিস্তনি জনগনের প্রতিবাদ যাতে না হয় সেজন্য আব্বাসকে অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে, যদিও উপরে বলছে তারা একপাক্ষিকভাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ঠ্র গঠনের উদ্যোগের ঘোর বিরোধী। কিন্তু যুক্তরাষ্ঠ্রের ইহুদী লবি কোনদিকে যায় সেটাই এখন দেখার বিষয়। তারা ইজরায়েলের রক্ষনশীল অংশের মতামতকে বেশি প্রাধান্য দেয়। তাই তারাও চায় ফিলিস্তিনিদেরকে সম্পূর্ণভাবে ডিসপ্লেইস করে সারা ফিলিস্তিন দখল করতে, দু-রাষ্ঠ্র সমাধান তারা চায়না। এখন মোসাদ যদি তাদেরকে বুঝাতে পারে তাহলে যুক্তরাষ্ঠ্র ভেটো দিবে না, আর যদি এইপ্যাক, এডিএল বুঝতে না চায়, তাহলে ভেটো দিবে আর দু-রাষ্ঠ্র ব্যবস্থা কায়েম হবে না।

আমি আশ্চর্য্য হবনা যদি যুক্তরাষ্ঠ্র প্রথমবারের মত জাতিসংঘে উত্থাপিত আব্বাসের বিলে ভেটো না দেয়। তবে আশা করব যেন এই বিলটাতেও যুক্তরাষ্ঠ্র ভেটো দেয়, প্রথমবারের মত যুক্তরাষ্ঠ্রের ভেটো ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘকালীন লাভের পক্ষে যাবে। তবে ষড়যন্ত্র করে সবসময় সফল হওয়া যায়না, কারন "And they schemed, and God schemed: and God is the best of schemers." ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।