আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর কবে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে ? সবাই খুন হয়ে যাওয়ার পর ?

ব্লগার আরিফ জেবতিকের নামে ভুয়া ব্লগ আরিফ জেবতিকের ফেসবুক স্ট্যাটাস : "তারা আমাকে মারার সব আয়োজন সেরে ফেলছে মনে হচ্ছে। আমার নামে ভূয়া ফেসবুক একাউন্ট খোলা হয় আর আমাদের চোখে পড়লে রিপোর্ট করে মুছতে থাকি। কিন্তু এখন এই ব্লগটি আমার নজরে এনেছেন আমার এক শুভাকাংখী। ওয়ার্ডপ্রেসে আমার নামে ব্লগ করে সেখানে ব্যাকডেটে ধর্মবিদ্বেষী লেখা আপলোড করা হয়েছে। আজ যদি খুন হয়ে যাই, আমার রক্ত রাস্তা থেকে গড়িয়ে ফুটপাত স্পর্শ করার আগেই আমাকেও ধর্মবিদ্বেষী আখ্যা দিয়ে জামায়াত শিবির এই ব্লগকে প্রমোট করতে থাকবে।

মাহমুদুর রহমান দাঁত কেলিয়ে প্রথম পাতায় এই স্ক্রিনশট ছাপবে। এই বেলা জীবিত থাকতে থাকতে জানিয়ে যাই, সচলায়তন-আমারব্লগ-সামহোয়্যারের কমিউনিটি ব্লগ ছাড়া আমার কোনো ব্যক্তিগত ব্লগ নেই। অন্য কোনো ব্লগের কোনো লেখার দায় আমার নয়। ফেসবুকের এই একাউন্ট ছাড়া অন্য কোনো সামাজিক সাইট যথা টুইটার, লিংকডইনে আমার নিয়ন্ত্রনাধীন কোনো একাউন্ট নেই। আমার মৃত্যুর পরে জানাজায় আসার দাওয়াত থাকল, আমি আপনাদেরই একজন, আপনাদের ভিড়ে দাঁড়িয়েই নিজের সাধ্যমতো লড়েছিলাম মাত্র।

" এই লিংকে ক্লিক করে চলে যান : Click This Link শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের ৬টি দাবী : ১) ঘাতক জামাত শিবিরের হামলায় রাজীব হায়দার, জাফর মুন্সী, বাহাদুর মিয়া, কিশোর রাসেল মাহমুদ হত্যাকান্ডে জড়িতদের আগামী ৭দিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। ২) ২৬ শে মার্চের পূর্বে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক সন্ত্রাসী জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যায় নেতৃত্বদানকারী জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সুশোধনী আইনের অধীনে অভিযোগ গঠন এবং নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ৩) অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধী সংগঠনগুলোর আর্থিক উৎস, যেসব উৎস থেকে সকল প্রকার জঙ্গিবাদী, এবং দেশবিরোধী তৎপরতার আর্থিক জোগান দেয়া হয়, সেগুলো চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। ৪) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া গতিশীল ও অব্যহত রাখতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালকে স্থায়ী রূপ দিতে হবে। ৫) গণমানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস ও তান্ডব বন্ধে অবিলম্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সকল সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ গোপন আস্তানা সমূহ উৎখাত করতে হবে।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এদের ভয়ংকর রূপ প্রকাশ করে দিতে হবে। ৬) যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষক এবং হত্যা ও সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতা গণমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই দাবীগুলোর মধ্যে ৫ নম্বর দাবীটা হল ----- ৫) গণমানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস ও তান্ডব বন্ধে অবিলম্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সকল সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ গোপন আস্তানা সমূহ উৎখাত করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এদের ভয়ংকর রূপ প্রকাশ করে দিতে হবে। এই ছয় দাবির মধ্যে রাজীব হত্যার দায়ে ৫ জন গ্রেফতার আছে।

জামায়াত নিষিদ্ধের জন্য একটা রিট ঝুলে আছে। কিন্তু ৫ নম্বর দাবিটার কোন সুরাহা হয় নি আজও। সরকারের পক্ষে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা তো কোন ব্যাপারই না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’ নামে একটা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছিল। সেই আদলে জামাত শিবির নির্মূলে একটা অভিযান পরিচালনা করা যেতে পারে।

দরকার শুধু সরকারের সদিচ্ছা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করাটা এই মহাজোট সরকারের নির্বাচনী ওয়াদা ছিল। সেই ওয়াদার পক্ষে তরুণ প্রজন্ম এই সরকারকে ভোট দিয়েছে। তরুণ প্রজন্ম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চ বানিয়েছে। কিন্তু জামাত শিবিরও থেমে নেই।

তারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মিথ্যাচার শুরু করেছে। তারা গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের নাস্তিক প্রমাণে মিথ্যাচার শুরু করেছে। তারা গণজাগরণ কর্মীদের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি তৈরি করছে। তৈরি করতে ভুয়া ব্লগ। তার সেই সব ফেসবুক আইডি এবং ব্লগ থেকে আল্লাহ ও রসুলের নামে আপত্তিকর পোস্ট দেয়া হচ্ছে।

পরবর্তী সময়ে এই সব গণজাগরণ কর্মীকে নাস্তিক প্রমাণের জন্য ভুয়া ফেসবুক আইডি ও ভুয়া ব্লগের স্ক্রিন শট ব্যবহার করা হবে। এই ভুয়া স্ক্রিন শট দেখিযে কোন উগ্র আত্মঘাতী জঙ্গীকে সেই গণজাগরণ কর্মীকে খুন করার জন্য লেলিয়ে দেয়া হবে। যেমনভাবে শিবিরের নানা ভাই ব্লগার রাজীবকে খুন করিয়েছে। শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম কান্ডারি অমি রহমান পিয়াল এবং আরিফ জেবতিকের নামে একের পর এক ভুয়া ফেসবুক আইডি এবং ভুয়া ব্লগ তৈরি করা হচ্ছে। এই সব আইডি থেকে আল্লাহ এবং রসুলের নামে কুৎসা রটনা করা হচ্ছে।

তারা অমি রহমান পিয়াল এবং আরিফ জেবতিককে নাস্তিক প্রমাণের জন্য এই জঘন্য পন্থা অবলম্বন করছে। পৃথিবীর কোন ধর্ম বা আইন এই ধরনের প্রতারণাকে বৈধ বলে মনে করে না। ইসলামের নামে যারা প্রতারণা করে বেড়াচ্ছে, তাদের চেয়ে বড় প্রতারক আর কে হতে পারে ? তাই সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই, জামাত শিবিরের ধর্মান্ধ ধর্ম ব্যবসায়ীদের হাতে আর কোন নিরীহ মানুষ খুন হওয়ার আগে বিশেষ অভিযান শুরু করুন। জামাত শিবির নির্মূলে বিশেষ অভিযান এখন সময়ের দাবী। নইলে এক সময় সরকারে থাকা লোকজনও তাদের শিকারে পরিণত হতে পারেন।

পাগলা কুত্তাকে বাচিয়ে রাখাটা বুদ্ধিমানের কাজ না।  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।