আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক অদ্ভুত সৃষ্টির রহস্যে ঘেরা মানুষ!!

এ জগতে তাই যত কিছু পায় তৃপ্তি আমার নাই অন্যের ধন দেখে কেন আমি করি শুধু হায়হায়! আল্লাহ রব্বুল আলামীন মানুষকে সৃষ্ট করেছেন তার অসংখ্য সৃষ্টির মধ্যে সর্ব শ্রেষ্ঠতম জীব হিসাবে। আর সমগ্র সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র মানুষের কল্যাণের জন্য। এত সম্মান, এত মর্যাদা আর অসংখ্য নিয়ামত আল্লাহ মানুষকে দিয়েছেন যার শুকরিয়া করে শেষ করা যাবে না। দুনিয়ার বুকে মানুষকে অসংখ্য বুদ্ধিমত্তা দিয়েছেন যার মাধ্যমে মানুষ অন্য সকল সৃষ্টির উপরে খুব সহজেই তার ক্ষমতা প্রনয়ন করতে পারে। মানুষের এত সৌখিনতা আর এত কৌতুহল যে বনের হিংস্র প্রাণীকে ও খাঁচায় বন্ধী করে রাখ, শুধু কি তায়! কি আছে চাঁদে, কি আছে মঙ্গলগ্রহে! সৃষ্টির এত সব রহস্য খুঁজতে মানুষের এই অক্লান্ত শ্রম, সাধনা ও মেধা দিয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছে বিশ্বজয়ের নেশায়।

নতুন কিছু সৃষ্টি, নতুন কোন তথ্য মানুষকে ভীষণ ভাবে আন্দোলিত করে। তবু ও মানুষের রয়েছে সাধ্যের সীমানা কিম্বা দেয়াল, যা মানুষ কখনোই অতিক্রম করতে পারে না। মানুষ পারে না মানুষের জীবনকে ধরে রাখতে অথবা নতুন জীবন দান করতে। মহান রব্বুল আলামীনের সৃষ্টির মধ্যে এক অদ্ভুত রহস্য, যেখানে একটা ফিঙ্গার প্রিন্টের সাথে আরেকটির কোন মিল নেই সেখানে অন্য কথা না হয় বাদই থাক। আজ আমরা বাতাস থেকে যে অক্সিজেন নিতে পারছি, সূর্য থেকে আলো পাচ্ছি তা নিয়ে কোন ভাবনা নেই যদি একটা দিন অসুস্থ অবস্থায় আপনাকে অথবা আমাকে হাসপাতালে থাকতে হয়, বন্ধ হয়ে যায় শরীরের যে অঙ্গ প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যেমন- প্রশ্রাব, পায়খানা-ই যদি স্বাভাবিক ভাবে না করতে পারেন অথবা নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অক্সিজেন নিতে হচ্ছে হাসপাতালে গিয়ে।

আমাদের শারীরিক কষ্টের কথা বাদই দিলাম, অর্থমূল্যে নির্ধারণ করলে বুঝতে পারবেন কি পরিমাণ নিয়ামত দিয়ে আল্লাহ-তায়ালা তার প্রিয় সৃষ্টকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। মাঝে মাঝে ভাবতে খুবই অবাক লাগে সামান্য একটা মশার কামড় সহ্য করতে পারেনা যে মানুষ তার এত আত্ম অহমিকা, হিংসা, খুন, রাহাজানি, লড়াই কিসের জন্য!! সত্যিকার অর্থে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে অদ্ভুত এক রহস্যের মাঝে সৃষ্টি করেছেন- তা না হলে পৃথিবীর কোন মানুষই তার গর্ভধারিণী মা, প্রিয়তম পিতা কিম্বা ভাললাগা ভালবাসার সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে সমাধিস্থ করে জীবনে আর কোন কাজই করতে পারতেন না। আমরা শুনে আসছি দেখে আসছি আমাদের পূর্ব পুরুষের কেউ বেঁচে নেই চিরন্তন সত্য সকলেই জানি আমি নিজেও থাকব না, আরো সহজ করে নিজেই চিন্তা করে দেখতে পারেন ছোট্ট অবুঝ শিশু থেকে আজ এই পর্যন্ত প্রতিনিয়ত আপনার আমার শরীরের পরিবর্তন যেমন- চুল পেকে যাচ্ছ, দাঁত পরে যাচ্ছে দিনদিন নিজে কেমন কর্মক্ষম হয়ে যাচ্ছি, যে বাবার কাঁধে ঘুরেছেন কতো মজা করে, আজ সেই বাবা চেখের সামনে বৃদ্ধ হয়ে গেছেন অথবা চিরবিদায় নিয়ে চলে গেছেন। অথাৎ প্রতিদিনই আমরা মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছি। তারপর ও ভাবতে পারছিনা নিজের স্বার্থের বিন্দুমাত্র কমতি!! ভুল ও গুনাহ করবার ক্ষমতা দিয়ে একমাত্র মানুষকেই সৃষ্টি করা হয়েছে সেজন্যই মহান রব্বুল আলামীন মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন ক্ষমার দুয়ার।

শুধু অন্য মানুষের অধিকার নষ্ট করলে তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে, নতুবা আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। মানুষ যেমন কোন যন্ত্র আবিষ্কার করলে তার ব্যাবহার বিধি বা ক্যাটালগ তৈরি করে থাকে তেমনি আল্লাহ সুবহানুতায়ালা ও মানুষের জন্য পরিপূর্ণ জীবন বিধান বা ক্যাটালগ হিসাবে দিয়েছেন মহা মূল্যবান আল-কোরআন। যার মধ্যেই রয়েছে মানব জাতীর সমস্থ কল্যাণ নিহিত। তায় আল্লাহর আমাদের প্রার্থনা তিনি যেন ক্ষমা করে দুনিয়া থেকে আমাদের বিদায় করেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।