আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গনি মিয়ার কাঠাল খাওয়ার কাহানি এবং আমাদের দেশ_প্রেম ? ?

অনেকগুলো পোস্ট ড্রাফটে নিলাম বিশেষ কারণে গনি মিয়া এক গরিব কৃষক। তার একখান কাঠাল গাছ ছিলো। আল্লাহপাক একবার সেই গাছের মগডালে একখান বড়সড় কাঠাল হওয়ালেন। গনিমিয়া বিয়াফক খুশি!! আল্লাহর দান বলে কথা। একপর্যায়ে তার পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরনের স্বার্থে কাঠালটি পেড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলেন।

কিন্তু হায় জন্মের চল্লিশ বছর পার হয়ে গেলেও গনি মিয়া কখনো গাছে উঠার চেষ্টা করেনি। তার ছেলেরাও কেউ গাছে উঠতে পারে না। কি করবে এখন গনি মিয়া?? উল্লেখ্য যে ,সে বা তার পরিবারের কেউ গাছে চড়তে গেলে মোড়লের লোকজন আপত্তি করেছে। গনি মিয়ার স্বাস্থ্য খারাপ, বুদ্ধি-বিদ্যা কম। গনিমিয়ার ছেলেরাও পাঠশালাতে গিয়ে খুচাখুচিতে ব্যস্ত থাকে।

তাহলে কী তার কাঠাল খাওয়া হবেনা??? গরীব কৃষক গনি মিয়ার কাঠাল কেনার সামর্থ্য নাই। সহসা আবির্ভুত হলেন মোড়োল বাড়ির চামচা। বলল, ‘ তুমার কাদল তো মিয়া চরম!!!আমি পাইড়া দিমু নাকি?’ গনি মিয়াঃ দেন, আফনের দয়া চামচাঃ হুম কমিশন দেয়া লাগবো , বিধি মোতাবেক,হুম গনিঃ দিমুনে কয়টা কোয়া আপনারেও চামচাঃ তাহলে আস চুক্তি করি। শেষ পর্যন্ত চুক্তিটা দাড়াল এই রকমঃ গাছের মগডালে মোড়লের চামচা উঠবে সেজন্য তাকে দিতে হবে মোট চারকুড়ী কোয়া। এছাড়া এতো উচু গাছ থেকে কাঠালের মত কাটাওয়ালা জিনিস নামাতে কত রকন ঝক্কি, কত রকম রিস্ক,কত রথি –মহারথি অক্কা পেলো ।

গনি মিয়া সেই কথা জানেনা নাকি?( এমনভাবে বলল গনি মিয়া না জানলেও মানল) যদি দেখা যায় কাঠাল পোকায় খাওয়া তাইলেতো পুরাই লস। তবে কাঠাল মাটিতে নামানোতে সমস্যা নাই দড়ি ভাড়া করলেই চলবে। তা দড়ির ভাড়া মিলিয়ে ৯৫ টা কোয়া চলে যাবে। বাকি ৫-১০টা কোয়া গনি মিয়া নিশ্চয়ই পাবে। তবে গনি মিয়া চাইলে ৯৫ টা কোয়া আর্ন্তজাতিক বাজার মূল্যে কিনে রাখতে পারে।

পয়তাল্লিশ(৪৫) ডলারের মত পড়বে। অবশ্য স্থানীয় বাজারে এই কাঠাল একশ টাকা দরে বিনিকিনি হয়। চুক্তি করা শেষ,এইটাই ন্যায্য হিসাব। অন্যথা হলে মোড়োল লাঠিয়াল নিয়ে হামলাও চালাতে পারে কিন্তু! গনি মিয়া ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। আসেন আমরাও হা করে তাকিয়ে থাকি!! ফাউ হিসেবে পুরানো সেই বানরের গল্পটা একটু মনে করিয়ে দেইঃ অই যে দুই ইদুর এক টুকরা রুটি পেয়ে বাদরের কাছে নিয়ে গেলো ভাগ করে দেয়ার জন্য।

বাদর দুইটা অসমান ভাগ করে বললো , ‘এহ হে সমান তো হইলো না,আমি বড়োটা থেকে একটু খাই……’ তারপর কি হয়েছিলো তা সবারই মনে থাকার কথা, ইদুর নয় বান্দরে পেটেই গিয়েছিলো সবটা খাবার। পুনশ্চঃ ১ম গল্পটা আমার নিজের বলে দাবি করি। জুমার কারণে বেশি আলোচনা সম্ভব না হওয়ায় আবার পোস্ট করলাম। অনেকের রুপক বুঝতে সমস্যা হচ্ছে তাই কয়েকটা ব্যাখ্যা করে দিলাম এই বারেঃ কাঠাল= খনিজ সম্পদ, চল্লিশ বছর= স্বাধীনতার চল্লিশ বছর, গাছে উঠা= খনিজ সম্পদ উত্তোলন , পাঠশালায় খুচাখুচি= বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানচর্চা না করে সন্ত্রাসে মেতে থেকে জাতিগত ভাবে চিরতরে পরনির্ভরশীল থাকাকে বুঝাচ্ছে , মোড়লের চামচা= বিদেশী কোম্পানী বাকিগুলা নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, দরকার হলে প্রথম থেকে আবার পড়ুন। বিঃদ্রঃ এরপরেওগল্পের সাথে সমাজে চলমান লূটপাটের ঘটনার মিল বা অমিল খুজ়ে পেলে আমি দায়ী না।

এমনকি না বুঝলেও মন খারাপ করার কিছু নাই। বেশী করে আয়োডীনযুক্ত লবণ খান, আল্লাহ একদিন আপনার উপর সদয় হবেই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।