আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাম্বা-জামায়াতের মধুর প্রেমঃ লেটেস্ট ভার্সন

বাধা পেলেই সৃষ্টি হয় গণজোয়ার। চিকিৎসায় অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগে ইবনে সিনা হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও পরিচালকদের গ্রেপ্তারে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। এ আদেশ স্থগিতের জন্য ইবনে সিনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে। তাদের পক্ষে আইনজীবী হিসাবে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, আব্দুল বাসেত মজুমদার, আব্দুল মতিন খসরু, আহসানুল করিম। আব্দুল বাসেত মজুমদার- বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। শেখ হাসিনার খুব আস্থাভাজন এবং কাছের লোক বলে পরিচিত। আব্দুল মতিন খসরু- ১৯৯৬ সালের আওয়ামীলীগের আইনমন্ত্রী এবং বর্তমান এমপি। আর এডভোকেট আহসানুল করিম, পরিচিত ভিয়াইপি মানুষের আইনজীবী হিসেবে। শেখ সেলিম, তারেক জিয়া, বসুন্ধরা চেয়ারম্যান আকবর সোবহান উনার নিয়মিত ক্লায়েন্ট।

আজকের ইবনে সিনার আইনজীবী প্যানেলের তালিকা দেখে দুটি বিষয়ে ব্যাপক আমোদিত হইলাম। ১ নাম্বার আমোদ হবার কারন, যেদিন ইবনে সিনার মালিক-পরিচালক, গাড়ির ড্রাইভার-আয়া-দারোয়াঙ্কে ধরে আনার জন্য বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চে আদেশ দেন সেদিন আমাদের এই সম্মানিত বিচারক মহোদয়গন বলেছিলেন, ""ইবনে সিনা কর্তৃপক্ষের অনেক টাকা রয়েছে। তাদের একজন (জাহের) তো ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তাদের কাছে বিক্রি হয়ে যাবেন না। পুলিশের পোশাক যে সব কিছুর উর্ধ্বে তা প্রমাণ করুন।

" হুম আহুম, কি ইয়া বিচারপতি গোবিন্দ ঠাকুর-শামসুদ্দিন কে বেচা গেছে জামায়াতের কাছে? আওয়ামীলীগ না পুলিশ?? আর ২য় আমোদের কারন যুদ্ধাপারাধ বিচার নিয়ে তামাশা দেখে। প্রথমে বলা হল এটাকে যুদ্ধাপারাধিদের বিচার, এখন হয়েছে মানবতাবিরধিদের বিচার। প্রথমে এটা ছিল আন্তজাতিক আদালত, এখন হ্য়চে নরমাল দেশী আদালত। যে হারে রূপ বদলাচ্ছে বিচারের নাম আর আদালতের সেক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের এইসব আইনজীবী নিজামি- সাইদির আইনজীবী হওয়াও বিচিত্র কিছু হবেনা। ক্ষমার সাগর মাননীয় রাষ্ট্রপতি ***এই পোস্টের ব্যাপারে রুল জারির সম্ভাবনা কতটুকু ভাইয়েরা? সুত্র-View this link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।