আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধারাবাহিক উপন্যাসঃ একটি নদী ও ভাঙ্গা সেতুর গল্প (একবারে নতুন)

(১) বারান্দায় বসে সবে মাত্র আজকের পত্রিকাটি হাতে নিয়ে পড়তে বসলেন জামান সাহেব। ইদানীং তাঁর মেজাজ খুব বেশিক্ষণ ভালো থাকেনা। চাকরি থেকে অবসরে আসার পর থেকে তাঁর এই রগচটা স্বভাব দেখা দিয়েছে। তারউপর পত্রিকার সংবাদ পড়ে আরও বেশি চটে যান। এর মধ্যে কাজের বুয়া হাসিনার মা এসে প্রশ্ন করলো খালুজান, আজকের শেইয়ার এর খবর কি? জামান সাহেব- হাসিনার মা তুমি শেয়ার কে শেইয়ার বলবে না।

হাসিনার মায়ের মুখে লাজুক হাসি, আবার প্রশ্ন খালুজান কইলেন নাতো কি খবর? জামান সাহেব পত্রিকার দিকে মনযোগ দিয়ে বললেন খুব খারাপ হাসিনার মা মাথায় হাত দিয়ে উচ্চস্বরে কাঁদতে লাগল আর বলতে লাগলো “ও খালুজান কি শুনাইলেন মোরে! আমার এখন কি হইবোগো? “। হাসিনার মায়ের চিৎকার কার শুনে জামান সাহেবের স্ত্রী রান্নাঘর থেকে দৌড়ে এসে বুয়াকে এক ধমক দিয়ে বললেন “হাসিনার মা, তুমি চুপ কর। কাজ ফেলে শেয়ার বাজারের খবর নিতে হবে ন এইবার হাসিনার মা কান্না থামিয়ে আবার প্রস্ন করলো “খালাম্মা কি কন? গরীব বইললা কি আমাগো টাকার দাম নাই? হেইদিন আমার পোলা তার জমানো পাঁচ হাজার টাকা দিয়া সেইয়ার কিনছে, আমারে কইছে মা,দোয়া কইরো, পাঁচ হাজার টেকা দিয়া সেইয়ার কিনছি, দুইদিন পর বিশহাজার টাকা লাভ করুম। এইবার জামান সাহেবের স্ত্রী আরও রেগে গিয়ে বললেন “হাসিনার মা, তুমি কাজ ফেলে বেশি কথা বলো, যাও রান্না ঘরে যাও’’। হাসিনার মা এইবার সোজা রান্না ঘরের দিকে চলে গেলো।

হাসিনার মা যাওয়ার পর জামান সাহেবের স্ত্রী জামান সাহেবকে বলতে লাগলেন -তুমি আর মানুষ পাওনা, কাজের বুয়াকে শেয়ার বাজারের খবর শুনাও। এইবার জামান সাহেব বললেন –আমি শুনালাম কই, সেইতো জানতে চাইলো -তুমি তাকে প্রস্ন করার সাহস দিয়েছো, কেন আমার সাথে তো এসব বলতে পারেনা। জামান সাহেব আর কোন কথা বললেন না। তিনি মনোযোগ দিয়ে পত্রিকা পড়তে লাগলেন। লেখক: ফজলে এলাহি (কবি কাব্য ) যারা এই লিখাটি পড়বেন তারা অবশ্যই নিচের এই লিঙ্কটা ক্লিক করবেন।

না করলে পস্তাতে হবে!!!!!!!! https://www.facebook.com/kokbd24 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।