© তন্ময় ফেরদৌস আডভার্টাইসিং এর স্টুডেন্ট হিসেবে আমাকে গ্রাজুয়েশনের প্রথম দিকে কয়েকটা কোর্স করতে হয়েছিল গ্রাফিক ডিজাইনের উপর। তখন বেশ আগ্রহ থাকলেও দেখা যেত ইজি কাজে বিজি থাকতাম বেশি। কাজের কাজ কিছুই করতাম না। ভার্সিটি লাইফের প্রথম দু এক সেমিস্টারে যা হয় আরকি। তার উপর সরকারি মেডিকেল থেকে চলে এসে ভর্তি হয়েছিলাম প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে।
প্রচন্ড ফ্রাস্টেটেড লাইফ লিড করছিলাম। এখন অবশ্য খুবই মজা পাচ্ছি এই সাব্জেক্ট এ পড়ে। নতুন আর বেশ চ্যলেঞ্জিং একটা সাব্জেক্ট। যাই হোক আমার কয়েকটা কোর্স ছিলো ডিজাইনিং এর উপর। যেমন- আডভার্টাইসিং ডিজাইনিং কন্সেপ্ট, ইমেজ ম্যানিপুলেশন, কম্পিউটার এপ্লিকেশন ইন আডভারটাইজ ইত্যাদি ইত্যাদি।
মনে পড়ে টিচাররা এই সব ক্লাশ নিতে গিয়ে নানা রকম ডিজাইন দেখতো। এত সুন্দর সব ডিজাইন, চিন্তা করেই পেতাম না মানুষ কিভাবে এত ক্রিয়েটিভ চিন্তা করতে পারে। এমন সব পিকচার, এড, কন্সেপ্ট তখন দেখছিলাম যে মাঝে মধ্যে আটকে যেতাম। ছোট্ট একটা ছবিতে কত গভিরতাই না লুকিয়ে থাকতে পারে। দু মিনিটের একটা শর্টফিল্ম হয়তো সারা জীবন ভাবনার খোরাক জন্মায়।
সেই সময় আমার মাঝে নতুন একটা উপলদ্ধি হয়। বুঝলাম, ক্রিয়েটিভিটি আসলে দু ধরনের হয়। একটা ইশ্বর প্রদত্ত বাই বর্ন, আরেকটা শিক্ষা,অভ্যাস আর অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অর্জন করে নেয়া। অবশ্য সৃষ্টিশিলতা যদি শেখানো যেত তবে রবীন্দ্রনাথের পর সবচেয়ে বড় কবি হত তার ছেলে। তবে যাই হোক না কেন, আমার মনে হয় উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে আর প্রাক্টিস করে অনেক কিছুই অর্জন করা সম্ভব।
আপনি যত বেশি দেখবেন, যত জানবেন, ততই আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ হবে, সৃষ্টিশিলতার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে।
এই ধারনা থেকেই শুরু করলাম নতুন উদ্যমে আকাআকি, ছবি তোলা, মুভি দেখা। নতুন নতুন কন্সেপ্টের চিন্তাও করা শুরু করলাম। জানিনা ক্রিয়েটিভ হতে পেরেছি কিনা, কিন্ত এটুকু নির্দ্বিধায় বলতে পারি, শিখার আগ্রহ বেড়ে গেছে অনেক।
সে সময়ে কালেক্ট করা কিছু ছবি নিয়ে আজকের পোস্ট।
স্যরি স্মৃতিচারন করে আপনাদের বোর করার জন্য।
ক্রিয়েটিভ ডিজাইনিং এর দুনিয়ায় আপনাদের স্বাগতম।
ভালোবাসার গল্পকে কি সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দেখুন
সময় যখন থমকে থাকে।
ডেভলপমেন্ট কমিউনিকেশন খুবি দরকারি একটা জিনিস, তাই না? দেশ,ভাষার বাধা ভেদ করে।
নিউজ মিডিয়ার এড।
খবরের ভিতরের খবর।
বন্ধ করুন নারী নির্যাতন।
মনের কথা বলিতে ব্যকুল।
অস্ট্রেলিয়ান একটা প্রিন্ট মিডিয়ার এড।
প্লাস্টিক সার্জারি করবেন ?
নিজের ভাষায় প্রকাশ করুন।
মুখের টেস্ট কি চায় ?
চিপ্সের এড। আপনাকে জাগিয়ে রাখবে প্রতি কামড়ে।
লায়ন সিটি।
সবকিছু করুন প্লান করে। না হলে এই অবস্থাই হবে।
মিল্ক ??
আমার চয়েস আমিই করবো।
ক্যামেরার এড। সময়কে ধরে রাখে লেন্সে।
এইটাও ক্যমেরাপ্রেমীদের জন্য।
কিভাবে ভালোবাসবেন এটাও শিখতে হবে?
নিজের পৃথিবী সাজান নিজের মত করে।
এইটা আমার জন্য। চিকন হওয়া দরকার
তৈরি করুন নিজের পথ।
কফি খান আর তাগড়া ঘোড়া হয়ে যান।
বনসাই।
জীবনের ভার সামলানো এত কষ্ট ?
এইটা সাহস করে দিয়ে দিলাম।
ছবিটা আমার তোলা। ডিজাইনটাও আমার করা। ইহাকে বলা হয় টাইপোগ্রাফি। প্রিন্ট মিডিয়ার এডের জন্য তৈরি করা।
ভালো হয়নাই বেশি।
----------------------------------------------------------
পোস্ট উৎসর্গ 'এ টিমের' সকল জীবিত ও ঘুমন্ত মেম্বার ও সাপোর্টারদের। আমার মনে হয় ব্লগে নির্ভেজাল একটা এটিম তৈরি করার সময় হয়ে গেছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।