আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৭ই মার্চ বনাম ২৫শে মার্চ।।

জীবনকে এমন ভাবে সাজান যেন আপনার ব্যক্তিগত ডায়েরীটা কখনো লুকাতে না হয়। কর্তন, মার্জন ও বর্ধন হবে জেনে পড়া শুরু করি নাই এতোদিন। পান্ডুলিপিটা বঙ্গবন্ধুর লেখা হলেও বইটা প্রকাশ ছিল শেখ হাসিনার হাতে। যে মানুষটাকে আমি বিশ্বাস করতে পারি না। যাহোক অবশেষে আজ পড়া শুরু করলাম "অসমাপ্ত আত্মজীবনী - শেখ মুজিবর রহমান" বইটি।

ভূমিকা পড়া শুরু করলাম, ভূমিকার ২য় পৃষ্টাতেই আমার চোখ আটকে গেল। ২য় পৃষ্টার ৩য় প্যারাটা শুরু হয়েছে এইভাবে - "১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়ার পরপরই আমাদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে (পুরাতন), (বর্তমান সড়ক ১১,বাড়ি নম্বর ১০) পাকিস্তানী সেনাবাহিনী হানা দেয় এবং আমার পিতাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। " এই লাইন পড়ে আমি বুঝে উঠতে পারি নাই, কমপক্ষে ৫০ বার লাইনটা পড়লাম। ছানাবড় চোখ ছোট করে একটা মুচকি হাসি নিজের অজান্তেই বের হয়ে আসল। কেন প্রশ্ন করতে পারেন, উত্তর দেয়ার আগে অনুরোধ করব লাইনটি আবার পড়ে নিন।

"১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়ার পরপরই.........। ­" শেখ হাসিনা নিজেই লিখেছেন ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে স্বাধীনতা ঘোষণা হয়েছিল। তাহলে এখন আপনারা ৭ই মার্চ, ৭ই মার্চ বলে মুখে ফেনা উঠান কেন?? শেখ হাসিনা দুমুখো সাপ সেটা প্রমাণ হয়ে গেল। ৭ই মার্চ স্বাধীনতার কোন ঘোষণা নয় সেটাও শেখ হাসিনা স্বীকার করেছে অতি মূল্যবান একটি বইয়ের ভূমিকায়। ৭ই মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা হয়েছিল এইটা বাংলার ইতিহাসে জঘন্য মিথ্যাচার যার প্রমান শেখ হাসিনা নিজেই দিয়ে দিলেন।

ধন্যবাদ আপনাকে। আমার লেখাটি কোনভাবে প্রকাশক বা শেখ হাসিনা পর্যন্ত পৌছালে পরের সংস্করণে লাইনটি আর থাকবে না। ৭ই মার্চের ভাষণ অবশ্যই স্বাধীন বাংলা সৃষ্টিতে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে, তবে সেই ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণা নয়, ছিল স্বাধীনতার প্রস্তুতির ঘোষণা। "ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলুন, যার যা কিছু আছে তাই নিয়েই শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে" - "করতে হবে"র স্থলে "কর" হলে সেটা হত স্বাধীনতার ঘোষণা। করতে হবে ভবিষ্যত কাল।

করতে হবে দ্বারা বুঝাতে চেয়েছেন সামনে করতে হবে। ২৫শে মার্চ রাতে জিয়াউর রহমানই করতে হবের অবসান করে করার ঘোষণা দেন। "আসুন,বসুন,আলোচ­না করে সমস্যা সমাধান.........­..." - স্বাধীনতার ঘোষণায় আলোচনার কোন সুযোগ নাই, কিন্তু ৭ই মার্চ ভাষনে আলোচনার একটা ইচ্চা প্রকাশ ছিল। আমি ছোটকাল থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে এসেছি জিয়ার কণ্ঠে অন বেহালফ অফ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। আমি সারা জীবন মনেপ্রাণে বিশ্বাস করব জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক।

বিএনপির গুলোকে হাততালি দেওয়ার দরকার নাই, দেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শেখ মুজিবের অবদানই সবচেয়ে বেশী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালী। গোলাম আজম ৩৮ নাম্বারে ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।