আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক হিজাবী শহীদের গল্প

অভ্র, যুগান্তকারী বাংলা লেখার সফটওয়ার। জটিল কিবোর্ড লেআউট মুখস্থ করতে না পেরে যারা বাংলা লেখাকে ভুলতে বসেছিলেন, বিদেশী ভাষায় চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলা লেখা, তাদের জন্য, আমাদের সবার জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে ফ্রি সফটওয়ার অভ্র। অভ্রর সহজবোধ্য লেখার উপায় ও ইউনিকোড ভিত্তিক ফন্টের কারণেই আজকের ব্লগিং জগতে বাংলার এই সদর্প পদচারণা। এই গ্রুপটিতে আমরা অভ্র নিয়ে কথা বলবো, অভ্রর এই সঙ্কট মুহূর্তে প্রিয় সামহয়ারইন ব্লগের ব্লগারদের কণ্ঠে ধ্বনিত হবে - "ভাষা হোক উন্মুক্ত"।   মারওয়া।

এক মুসলিম মহিলা। মিশরের আলেক্রান্দ্রিয়া শহরে বাস করতেন। পুরো নাম ছিল ডঃ মারওয়া আল শেরবিনি। জার্মান গিয়েছিলেন ফেলোশিপ নিয়ে পি, এইচ, ডি করতে। জার্মানে তার প্রতিবেশী ছিলেন ২৮বছর বয়সী রুশ বংশদূত এলেক্ উইনস নামের এক ব্যাক্তি।

সে মারওয়াকে প্রায় ইসলামী টেরোরিস্ট বলে উত্যক্ত করতো। একদিন মারওয়া তার স্বামী ও ছেলে মোস্তাফাকে নিয়ে পার্কে যাচ্ছিল। এ সময় উইনস তার মারওয়ার হিজাবটি মাথা থেকে ছুড়ে ফেলে দেয় এবং বিশ্রী ভাষায় গালাগাল দেয়। এনিয়ে মারওয়া আদালতে মামলা করে। আদালত মারওয়ার পক্ষে রায় দেয়।

উইনসকে ৭৮০ ইউরো জরিমানা করে। ছেলেটি উচ্ছ আদালতে আপিল করে। ২৩ ই জুন ২০০৯ ছিল আপিলের শুনানি। শুনানি শুরু হওয়ার পূর্বে উইনস হঠাৎ করে মারওয়াকে ১৮ বার ছুরিঘাত করে। মারওয়া তখন ৬ মাসের অন্তসঃত্ত্বা ছিল।

মৃত্যুর খোলে ঢলে পড়ে মারওয়া। স্বামি আলাভি তাকে বাচাতে এগিয়ে গেলে পুলিশ তাকে গুলি করে। মারওয়া হিজাবের জন্য মৃত্যুকে বরন করে নেয় তবুও সে হিজাব ত্যাগ করেনি। তাই মিশরে জনগন তার নাম দিয়েছে হিজাবী শহীদ। (পুরো লেখাটি এইখান থেকে নেয়া Click This Link) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।