আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডা. জাকির নাইকের সাক্ষাৎকার/৩

সবাইকে আমার নিজস্ব ব্লগ ভিজিট করার আমন্ত্রন রইলঃ www.islameraalo.wordpress.com মুহাম্মাদ তাওহীদ আহমেদঃ স্যার, আপনার একটা ব্যাক্তিগত ব্যাপারে কিছু জানার জন্য খুবই উদ্গ্রীব আমরা । অনুগ্রহ করে আমাদের জানান আপনি কিভাবে এত দ্রুত ক্ষিপ্রগতিতে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ হতে নানাবিধ উদ্ধৃতি আপনার স্মৃতি পট থেকে সমান তালে পরিবেশন করে যান ? এটা সত্যিই বিস্ময়াভিভুত করে ফেলে প্রত্যেক দর্শক শ্রোতা মাত্রকেই । এর পেছনে আখীর কোন ধরনের স্বতন্ত্র গোপন রহস্য রয়েছে ? ডা. জাকির নাইকঃ দেখুন, প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে, এই ব্যাপারটা অদৌ কোনো রহস্যই নয় । কোনো গোপনীয়তা নেই এতে, কেননা স্বয়ং আল্লাহই তো তাঁর পবিত্র উন্মুক্ত বাণী সমুহে বারবার স্পষ্টত প্রকাশ্যভাবে ব্যাক্ত করেছেন তাতে আমরা দেখতে পাই যেমন সুরা আল ইমরানের ১৬০ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন যে, ‘আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করলে কেউ তোমাদের অসফল করতে পারবে না, আর আল্লাহ সাহায্যকারী না হলে কেউ তোমাদের সাফল্য মন্ডিত করতে পারবে না…” । সুতরাং আপনি যদি প্রকৃতই আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী হন, ভরসাকারী হন তবে আপনার পক্ষে সমস্ত বৈধ কাজই সম্ভব ।

আল্লাহ আবার বলেছেন, সুরা আনকাবুতের ৬৯ নং আয়াতে, ‘যারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম (চেষ্টা চরিত্র) করে চলে, তিনি তাদের পথ খুলে দেন (সহজ করে দেন) এবং নিশ্চয় আল্লাহ সতকর্মশীলদের সাথে আছেন’ । আতএব আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার নির্নায়ক মানদন্ডের নীতিই হল যে, আপনি আল্লাহর পথে চেষ্টা চরিত্র করা জারি রাখবেন । আর যদি আপনি আল্লাহর সাহায্য না পেয়ে থাকেন, তবে এটার অর্থ হল যে, আপনি ঠিক আল্লাহর (বাতলানো) পথে তাঁর নীতি অনুযায়ী সংরাম (চেষ্টা চরিত্র) করছেন না । হ্যাঁ, আমরা শিক্ষার দর্শন মুতাবিক এতটুকু নিশ্চয় স্বীকার করব যে, যে কোনো ব্যাপারে অভ্যাসগত প্রণালী সম্পাদিত কার্যনীতি রুপে নিশ্চয় এক গুরুত্ব পুর্ন ভুমিকা রাখে । আর যেহেতু আমাদের মগজখানিই এমনভাবে কার্যক্ষমতা সম্পন্ন, যা আবেগ ও বাস্তবের সম্বনয়ে ভীষন বলশালী এবং যা কেবল দৈহিক অভ্যাসের বলবিদ্যায় সাধিত হওয়ায় এমন অনেক কিছু ধারন করতে পারে, যা সত্যিই প্রগাঢ় ও ফলপ্রদও বটে ।

যদি তা আসলেই আল্লাহর বাতলানো নিয়ম নীতি অনুযায়ী তাঁর পথেই কার্যকারী থাকে । মুহাম্মাদ তাওহীদ আহমেদঃ যাইহোক, এই সাক্ষাতকারে আপনার সদিচ্ছায় অন্তিমচরণে সমাপ্তিসুচক কোন বার্তা যদি আমাদের প্রতি থাকে, তো প্লিজ………. ডা. জাকির নাইকঃ হ্যাঁ, অবশ্যই আমার বার্তা হল এইটুকু যে, যাকিছু অভিজ্ঞতালবদ্ধ জ্ঞান আপনারা এই দুনিয়ায় হাসিল করেছেন ,করবেন তা যদি সত্যিই আপনাদেরকে আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্তিতে সাহায্য করে, তবেই জানবেন যে সেই জ্ঞান হল একমাত্র ফলপ্রদ জ্ঞান । এবং এই জ্ঞানটাই হল প্রকৃত সাফল্যপুর্বক কৃতকার্যতা হাসিল করার অভ্রান্ত মাধ্যম, এই দুনিয়া এবং অখেরাতেও । আর যদি ঐ তথাকথিত জ্ঞান আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্তিতে সাহায্য না করে, তাহলে তা এমনভাবে বাজে খরচের তালিকায় ঢুকে যাবে যে, তা তো আখেরাতে অকেজো হবেই এমনকি এই দুনিয়াতেও তা কাজে আস্তেও পারে আবার নাও আস্তে পারে । দেখুন না বহু চর্চিত প্রতিপত্তি(?) বহনকারী ডিগ্রিধারীদের অনেকেই আজ বেকার ।

সুতরাং যে জ্ঞানই হাসিল করা হোক না কেন, তা যেন আপনাদেরকে আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্তিতে সহায়তা করে সে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন । সমাপ্ত ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।