আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গোর.........Buried, The Last residence.

এ সবই থাক তোমাদের, আমি বড় চাই না হতে, ধুলো মাখা পথই আমার, তুমি চোড়ো জয়োরথে। শত লাঞ্ছণা দিও, কোরো আমায় অসম্মান। তবু আমি বোকাই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশান। গোর.........Buried, The Last residence জাহিদের পরিবার খুব একটা সচ্ছল নয়। ২০ পার দিতেই তাই তাকে ঢাকায় চাকরীর সন্ধানে যেতে হয়, আর মাসে ১ বার বৃদ্ধ মা-বাবাকে দেখতে আসে।

সেদিন একটু দেরিই করে ফেললো বাস ধরতে। রংপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় তার বাড়ি। রাত তখন প্রায় ২টা। বাস থেকে নেমে আরও ১৫-২০কি.মি তাকে যেতে হবে। রাস্তার ধারে পান-সিগারেটের একটি দোকান খোলা ছিল।

:মামা, এতো রাতে যাইবেন ক্যামনে? পথও কম না। কিছুক্ষণ দাঁড়ান। ২-১টা মহিষের গাড়ি পাওয়া যেতে পারে, আজকে হাটবার ছিল। দোকানদারের কথায় জাহিদ মিনিট ১৫ অপেক্ষা করে। শীতের দিন।

আবছা একটা শিখা এগিয়ে আসতে লাগলো। মহিষের গাড়ি, লোকটা মুখ পর্যন্ত চাদর জড়িয়ে রেখেছে। কথা না বাড়িয়ে জাহিদ উঠে পড়ল। : ভালই হল আপনাকে পেয়ে, তা না হলে আজ শুধু হাঁটতেই হত। আপনার বাড়ি কোন গ্রামে ?? বাবা, আপ্নে আমার গ্রাম চিনবেন না।

আপনারে মাদ্রাসামোড় পর্যন্ত আগায়া দিমু, ভাড়া যা দেওয়ার দিয়েন। এভাবেই গাড়ি চলতে থাকলো। পথ যেন আর শেষ হয় না। রাত ৪টার কাছাকাছি। চাচা, এতক্ষণে তো চলে আসার কথা।

আমার পথ যে এখনও বাকি...... গম্ভীর কণ্ঠে আওয়াজ। জাহিদ আশেপাশে তাকাতেই দেখে এটা একটা কবরস্থান। সে ভয় পেয়ে যায়। গাড়ি থেকে নামার চেষ্টা করে। নামতেই তার হৃদস্পন্দন থেমে যাওয়ার অবস্থা।

মহিষের পায়ের দিকে তাকাতেই দেখতে পায় এ তো কঙ্কালের পা। আমি এতো দূর আসলাম কি করে তাহলে?? কঙ্কালগুলোর মাথা মহিষের মতই কিন্তু পায়ে মাংস নেই। জাহিদ জানতো কবর পবিত্র জায়গা, সেখানে ভয় নেই। দৌড়ে ছুটে গেল। সেই লোকটিও পিছু ছাড়ল না।

: তোমার বাবার কাছে আমার কিছুই চাওয়ার ছিল না। একটু মাটি দিলে ক্ষতি কী ছিল??? আমি আত্মহত্যা করছিলাম ঋণের টাকা শোধের ভয়ে। তোমার বাবার কাছে ধার চাইছিলাম...দেয় নাই। তুমি তো কামাই রোজগার কর, আমার ৩ টাই মেয়ে। তাই গলায় ফাঁস দিছিলাম।

আমারে কবর দেয়ার সময় তোমার বাবা আসেন নাই, আমার লাশ নাকি নাপাক... আত্মহত্যার লাশ। আজ আমার কবরেই তোমারে থাকতে হবে...... আমি মাটি চাই। জাহিদ কথা বলতে পারে নি। প্রচণ্ড শীতেও টপটপ করে তার ঘাম পড়ছিল। পরদিন সকালে জাহিদের বাবা আব্দুল রফিকের ডাক পরে কবরস্থানে।

সেখানে গিয়েই জাহিদের লাশ দেখতে পায়। পেট পর্যন্ত শরীর কিছুই হয় নি......কিন্তু পায়ে মাংস নেই, শুধুই কঙ্কাল। ছেলের এই বিকট মূর্তি দেখে গ্রামবাসী জানাজানি হওয়ার আগেই তাকে মাটিচাপা দেয়া হয়... কোন একটা পুরানো কবরে... সেটা আর কারো নয়...সেই হামিদের কবর যে ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করেছিল। জাহিদের বাবাকে শেষ পর্যন্ত সেই কবরেই মাটি দিতে হয়। [ঘটনা সম্পূর্ণই কাল্পনিক।

আশা করি অযথা কোন সূত্র দাড় করাবেন না। ধন্যবাদ]  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।