আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের অতি মানবীয় ইতিহাস ( বিশেষায়িত বাংলাদেশ)।

এসো আবার চড়াই উৎড়ই.......... কোন একবার লিখেছিলাম আমাদের রোমাঞ্চিত মূহুর্তের সময়গুলোতে যে সমস্ত বিশেষণে আমরা নিজেদের বিশেষায়িত করি তা আমাদের ভিতর থেকে উঠে আসা । আসুন নতুন একটি শব্দ তালিকা তৈরী করি............. বেসমেন্ট অব সোসিওলজিঃ (অনেকে হয়ত হায় হায় করতে পারেন যে আমি ইংরেজী নামকরন কেন করলাম, জেনে রাখুন শুধুমাত্র এই জন্য যে, এই নামকরণটি একটু জোড়ালো মনে হচ্ছে "সামাজিকতার ইতিবৃত্ত" হতে। আদিম গুহামানবের থেকে যদি দেখি, তাদের দলবদ্ধতা ছিল্, পরবর্তিতে শক্তি-সামর্থ এবং বুদ্ধি তৈরী করেছে নেতৃত্বদানকারী একজন, যাকে আমরা নেতা বলে অবিহিত করি, আরও নামকরন হতে পারে যেমন ( সর্দার, ইমাম, পাদ্রী, পুরোহিত, ভিক্ষু ( এখানেও কেউ কেউ ক্রমবিন্যাসের মৌলবাদ খুঁজে পেতে পারেন))। আরও পরে পরিবারতন্ত্র হতে গড়ে উঠা সামাজিকতার সংঘর্ষ শুধুমাত্র অযোগ্য ব্যক্তিকেই বার বার মনোনীত করেনি সেই সাথে ধ্বংস করেছে সামাজিকতাকে, একগাদা আচাঁর-অনুষ্ঠান, পারস্পরিক ধ্বংসাত্মক সমালোচনা, আত্মদম্ভ, তৈরী করেছে ক্ষমতার লড়াই এবং যোগ্যতার অপব্যবহার এবং তৈরী হয়েছিল সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার। বেসমেন্ট অব পলিটিকস্: পারিবারিক ক্ষমতা দখলের লড়াইকে বুদ্ধিবৃত্তিক কূটতায় পরিণত করে পলিটিকস্।

ক্লাসিক্যাল গণতন্ত্রের চর্চা হয়ত এই নোংরামীকে সারিয়ে তুলতে পারত, কিন্তু সক্রেটিস্, যিশু/ঈসা, রামকৃষ্ণ, চন্ডিদাশ বা মুহাম্মদ যতই চেষ্টা করেন না কেন....... যুগে যুগে, সভ্যতাকে অপব্যবহারের জন্য এসেছে ট্রিলিয়ন গুণ মানুষ। নারীর মত প্রকৃতি চেয়েছে ক্রমাগত ভোগ্য হতে, তার পসরা সাজিয়ে বসে থেকে থেকে। বিধ্বংসী নারী ধর্ষনের অবমাননায় জন্ম দেয় সহস্র যারজের যারা ধ্বংসের রূপে হানা দেয় নগরী, লোকালয় ও সভ্যতাকে লক্ষ্য করে। যদি প্রকৃতির সাথে বিজ্ঞানকে তুলনা করা যায়, তখনও দেখা যায় একই রূপ। ধর্ষিত বিজ্ঞান একে একে জন্ম দেয় হিরোসিমা, নাগাসাকি, সশস্ত্র সেনাবাহিনী, মর্টার শেল............ একদিন হয়ত একটা ব্ল্যাকহোল জন্ম দিয়ে বসবে এই পৃথিবীর বুকেই।

সেই দিনটাতে ইশ্বর তার প্রিয় বান্দাদের সেমাই বানাবেন না নুডলস্ তা শুধুমাত্র চিনি বা মরিচ প্রাপ্যতার উপরই নির্ভর করে। বেসমেন্ট অব ল্যাঙ্গুয়েজ: আমার একটি সন্তানকে মাঝে মাঝে মেরে ফেলা যায় যদি সে সময়ের অপচয় করে, বিচিত্রতায় চিড়িয়াখানা বানিয়ে তো কোন লাভ নেই............ (বিধ্বংসী পাতন)। কিন্তু, এই সময়টাতে এটাও চিন্তা করতে হবে যে, আমাদের হাতে অতটা সময় নাও থাকতে পারে, তাই আর একটি ইন্ডিভিজুয়্যাল ওয়ার্ল্ড অব গায়া জন্ম দিতে একটি ভাষাতেই সমস্ত বৈচিত্রতাকে সমন্বিত করার প্রয়াসকে সাধুবাদ জানাতেই হবে। বেসমেন্ট অব ড্রাগ: গড হয়তো জানতেন মানুষ তাকে একদিন ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবে, আর তাই গডকে ভাবতে হয়েছে মাদকের কথা, একজন ইভ বা হাওয়া একাই নাচিঁয়ে দিবে, সেই সাথে নিষিদ্ধ ফলের রাজনীতি। মাঝে মাঝে ভাবি স্বর্গ আর নরকের মাঝে একটা পাণ দোকান দিলেই ভাল হবে, তাতে গড প্রদর্শিত স্বর্গের লোভে সাধু হলাম না আবার নরকের ভয়টাও গেল, সেই সাথে সমস্ত মাদক চেখেও দেখা যাবে........... হুর বলো আর মেরিলিন মনোরো বলো, সবাইতো টয়লেটে যায় না! ( যারা নারীরূপী মানুষ বেয়াদবি নিয়েন না দেইখা আমার ভাণ।

) মিউজিক অব সোল: যখন একেকটা স্বর্গ তৈরী হয় চরম শীৎকারে, কিংবা কখনও নুপূরের ঝংকারে তন্ময়তায় নাঁচতে ইচ্ছে হয়, কখনওবা দু-একটা নতুন শব্দ যোগ করে দিয়ে ভাবি এটাই কি চেয়েছিলাম যা হল, অথবা খুব সহজেই ভাবতে পারি আর একটা কি রং কোন চিপায় বসিয়ে দেয়া যায়, আত্মাটা নেচেঁ উঠে, আমি নিজেকে ফিরে পাই, আমরা নিজেদের ফিরে পাই, কোন এক দেবতা এসে জানতে চান প্রমিথিউসকে কি স্বর্গচু্ত করা হয়েছিল? অকোটপাশের মতো আকঁড়ে ধরে মহাজনেরা আর মৈালবাদীরা................ সমস্ত কিছু অন্ধকারাচ্ছন্ন মনে হয়, এক বিন্দু ঘুমের জন্য হাজার মাইল দৌড়ে ফিরি, যদি আমার হরমোনের ঘ্রাণে জেগে উঠে তার(!!!) স্বর্গীয় সত্ত্বা। আমরা দৌড়াই আমাদের পিছনে পড়ে রয় আমাদের আত্মা, আমাদের বেটার হাফ, আমাদের প্রকৃতি(!!!), আমাদের শিল্প-সাহিত্য, বিচক্ষণতা, সঙ্গীত, আবিষ্কার ও উদ্ভাবণের নেশা, সমস্ত কিছুই...........। এরপরও ঘুম থেকে জেগে উঠে নপুংসকদের দল ভারী করা স্বার্থলোলুপদের দল, আর লুসিফারের মত ক্রোধে মাতে জন্মধাত্রীকেই ধর্ষনের চেষ্টায়...............। বিদ্রোহী রণক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত, যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ ভূমে রণিবে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।