আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদেশে উচ্চশিক্ষা: মাস্টার্স ছাড়া পিএচডি অ্যাপ্লাই- এটা কি ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া? (পর্ব-৪)

সাধারণ মানুষ এটাকে একটা মিনি পোস্ট বলে চলানো যায়। এক ব্লগারের (ধ্রুবমেঘ ) প্রশ্নের লেজ ধরে এই পোস্টের অবতারণা। ধরি, একজন ছাত্র তার স্নাতক শেষ করল। এরপর সে ঠিক করল যে সে দেশের বাইরে পড়তে যাবে। এখন সে ভেবে পাচ্ছে না সে কি মাস্টার্সে না সরাসরি পিএইচডিতে অ্যাপ্লাই করবে? আমরা আরো ধরে নিই যে, পড়াশোনার খরচের জন্য সে ফান্ডিংয়ের উপর নির্ভরশীল।

দেশ হিসেবে আমি ইউএস, কানাডা আর অস্ট্রেলিয়া নিয়ে আলোচনা করব। ইউএস: এখানে বেশিরভাগ ইউনিভার্সিটিতেই সরাসরি পিএইচডিতে অ্যাপ্লাই করার অপশন আছে, তবে সব জায়গায় সব সাবজেক্টে না। এঞ্জিনিয়ারিংয়ে বেশিরভাগ সময়ই সরাসরি অপশনটা থাকে। এখন প্রশ্ন হল, সরাসরি পিএইচডি আর মাস্টার্স করে পিএইচডির মধ্যে পার্থক্যটা কি? এর জবাব এক কথায় বলা মুশকিল। অনেক সাবজেক্ট আছে যেগুলোতে সাধারণত শুধু মাস্টার্সে ফান্ড পাওয়া কঠিন।

সেক্ষেত্রে, পিএইচডি অ্যাপ্লাই করে ফান্ড যোগাড় করতে হয়। অনেক ইউনিতে একটা পরীক্ষা হয়, যেটাকে কোয়ালিফায়ার নামে ডাকা হয়। সেটা পাশ করতে পারলে পিএইচডির দিকে আগানো যায়, সেটাতে খারাপ করলে মাস্টার্স নিয়ে বিদায় নিতে হয় :'( সরাসরি পিএইচডিতে অ্যাপ্লাই করলে কি মাঝখানে মাস্টার্স নেয়া যায়? মাস্টার্স নিয়ে কি পিএইচডি না করে বের হয়ে আসা যায়? মাঝখানে মাস্টার্স নেয়া যায়, যদি সুপারভাইজার রাজি থাকে। অনেকসময় দেখা যায় এই 'মাঝের' মাস্টার্স এমন সময় নেয়া হয় যে, তার এক থেকে দেড় বছরের মাঝেই পিএইচডি হয়ে যায় অনেকের। আর বের হয় অনেকেই যায়, কেউ অন্য ইউনিতে কেউ চাকরিতে।

প্রফেসরের সাথে লাঠালাঠিও হয় অনেকের। বিশেষ করে ফান্ডেড রিসার্চের মাঝখানে কেউ বের হয়ে গেলে সেটা প্রফেসরদের জন্য সমস্যা। সাধারণত: হোয়াইট প্রফেসরদের ফ্যামিলি রিজন দেখিয়ে অনেকে সহজেই বেরিয়ে গিয়েছেন বলে শুনেছি। আরেকটা সমস্য হল চীন, ইন্ডিয়া থেকে অনেকেই নিজের ফান্ডে মাস্টার্স করতে আসছে এখন (কিছু কিছু সাবজেক্টে), তাই ইউনি রা গ্র্যাড স্টুডেন্টডের থেকেও টাকা কামানোর ধান্দায় আছে (অভাবে স্বভাব নষ্ট)। তাই, মাস্টার্সে ফান্ড পাওয়া কঠিন হয়ে গিয়েছে।

( শুনলে অবাক হবেন, ইন্ডিয়ার অনেক স্টুডেন্ট মাস্টার্সের খরচ যোগাড় করে ব্যাংক লোন নিয়ে, পরে চাকরি করে শোধ করে দেয়। ) কানাডা কানাডার বেলায় আপনাকে ৪ বছরের স্নাতকের পর অবশ্যই মাস্টার্সে অ্যাডমিশন নিতে হবে, কোন ব্যতিক্রম আমি দেখিনি। কাজেই, ভুলেও যদি পিএইচডিতে অ্যাপ্লাই করে বসে কেউ, তাকে জানিয়ে তার অ্যাপ্লিকেশন মাস্টার্সের জন্য কনসিডার করে। অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে আমার জ্ঞান আসলেই কম। টুকটাক ঘেঁটে যেটা জেনেছি তা হল, এর সিস্টেমও আমেরিকার মত, সরাসরি পিএইচডিতে অ্যাপ্লাই করা যায়।

সংযোজন: অস্ট্রেলিয়াতে সুপারভাইজারের অনুমতি+সুপারিশ সাপেক্ষে সরাসরি পিএইচডিতে ভর্তি হওয়া যায়। [মো আশরাফুল আলম বলেছেন, ১ম কমেন্ট] সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: আমার জানায় ভুল থাকতে পারে, যেকোনো সংশোধনী সহ মন্তব্য পেলে কৃতজ্ঞ হব। রাগিব ভাইয়ের একটা লিজেন্ডারি পোস্ট আছে মাস্টার্স না পিএইচডি? -এবিষয়ে। আমার পোস্টটা ঐসব হবু ডক্টরেটদের জন্য যারা ঠিক করেছেন পিএইচডি করবেন, কিন্তু অ্যাপ্লাই কোন লেভেলে করবেন সেটা নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন- তাদের জন্য। সবাই ভাল থাকবেন, আমার জন্য দোয়া রাখবেন, শুভেচ্ছা এই সিরিজের বাকি লেখাগুলো: পর্ব ১ পর্ব ২ পর্ব ৩  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।