আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রড-সিমেন্ট নয়, আস্ত সেতু খুলে নিয়ে ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

Wed, Aug 24th, 2011 11:07 pm বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বরিশাল প্রতিনিধি বরিশাল, অগাস্ট ২৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রড-সিমেন্ট নয়, আস্ত সেতু খুলে নিয়ে ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। আর এ কাজে তিনি ব্যবহার করেছেন নিলামের ভুয়া কাগজপত্র। বরিশালের বানারিপাড়ার লবণসাড়া এলাকায় হালিমা খাতুন মহিলা মাদ্রাসার সামনে খালের উপর ছিলো পাকিস্তান আমলের এই বেইলি সেতু। র‌্যাব সদস্যরা বুধবার সেতুটির কিছু অংশ ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাহাত আহমেদ ননীর উপস্থিতিতে ৪-৫ জন শ্রমিক সেতুটি খুলে নিয়ে যায়।

এ সময় তিনি সেতুটি নিলামে কেনার কাগজপত্রও দেখান স্থানীয় বাসিন্দাদের। অবশ্য সেতুটি নিলামে বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইব্রাহীম। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে বানারিপাড়া ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী সেতুটি কেনার জন্য তার কাছে আবেদন করেন। পরে বিষয়টি জেলা পরিষদের সভায় তোলা হয়। তবে সভায় নিলামে না দিয়ে, বানারীপাড়ার শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের বাড়ির পাশের খালের ওপর এটি পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।

"নিলামের কথা বলে ওই ছাত্রলীগ নেতা ১৩ এপ্রিলের যে স্মারক দেখিয়েছেন তার নম্বর ৮২৬। অথচ ওই দিনের সর্বশেষ স্মারক নম্বর ছিলো ১৯৯। " র‌্যাব সদস্যরা বুধবার সেতুটির কিছু অংশ ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার করে বলেও জানান তিনি। র‌্যাব-৮ এর এক নম্বর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর রাশিদুল হাসান খান জানান, সন্ধ্যায় হাটখোলার গাজী কালু স্টোরের মালিক মো. মন্টু মিয়ার গুদাম থেকে সেতুটির ১৪টি ইস্পাতের চ্যানেল ও ১১৮টি পাত উদ্ধার করা হয়। ভাঙারি ব্যবসায়ী মন্টু মিয়া বলছেন, ছাত্রলীগ নেতা ননীই তার কাছে সেতুর ইস্পাত বিক্রি করেছেন।

"বানারীপাড়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাওলাদ হোসেন সানার ভাই ছাত্রলীগ নেতা ননীর কাছ থেকে ৬৮ হাজার ১০০ টাকায় আমি এগুলো কিনেছি। " অবশ্য রাহাত আহমেদ ননী বলছেন, নিলামের ওই কাগজ ভুয়া কি-না তিনি তা জানেন না। সেতুটি খুলে নেওয়ার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী সৈয়দ জাকির হোসেন ও মিলন মুন্সি উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান তিনি। "ঘটনার পর লবণসাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আমার বাড়িতে এসে বিষয়টি জানতে চান। আমি তাকে নিলামের কাগজপত্র দিয়েছি।

সেটি নকল কি না আমার জানা নাই," বলেন ননী। উপ-পরিদর্শক রফিকুল জানান, মঙ্গলবার সকালে জেলা পরিষদ থেকে সেতু চুরির বিষয়টি থানায় জানানো হয়। স্থানীয়রা বিষয়টি স্বীকার করলেও কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সে বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছে না তারা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।