বাংলা ভাষােক ভালবািস ছারপোকা বিশ্বব্যাপী এক সমস্যা। ছারপোকার জ্বালায় ঘুম পাড়া দায়। এর ওপর যদি এদের কীটনাশকের কার্যকারিতা প্রতিরোধের ক্ষমতা বেড়ে যায়, তাহলে তো ঘুম হারাম! আর কোনো ছারপোকা যদি হয় ‘নীলকণ্ঠ’ অর্থাৎ কীটনাশক হজম করে ফেলার ক্ষমতা রাখে, তাহলে তো কথাই নেই। ঠিক তেমনটাই ঘটেছে বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।
বাসাবাড়িতে উপদ্রব করে, এমন ২১ প্রজাতির ছারপোকার ওপর গবেষণা শেষে বিজ্ঞানীরা
বলেছেন, প্রচলিত কীটনাশক এখন আর ছারপোকা ধ্বংসে কাজ করছে না।
কারণ এগুলোর ১৪টি জিনে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এসব পরিবর্তনের ফলে এদের চামড়া মোটা হয়ে গেছে। এ কারণে কীটনাশক এসব কীটের শরীরে ঢুকতেই পারে না। জিনগত কিছু পরিবর্তনের ফলে ছারপোকার স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত করতে পারছে না কীটনাশক। কোনো কোনো প্রজাতির ছারপোকা আবার কীটনাশক হজম করে ফেলার শক্তিও অর্জন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কেন্টাকির পতঙ্গবিশারদ ও সংশ্লিষ্ট গবেষক সুব্বা পালি জানান, কষ্টসহিষ্ণু ছারপোকাগুলোর শরীরে ঘটে যাওয়া নানা পরিবর্তন এদের কীটনাশক থেকে রক্ষা করছে। তবে ছারপোকার জিনগত পরিবর্তনের ওপর সাম্প্রতিক এই গবেষণা নতুন এবং আরো কার্যকর কোনো কীটনাশক উদ্ভাবনের উপায় বাতলে দেবে বলে তিনি আশা করছেন। তবে যত দিন না তেমন কোনো কিছু তৈরি করা যাচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত উপদ্রুত জায়গায় ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ দিয়ে ছারপোকা মারাটাই সবচেয়ে কার্যকর হবে বলে তাঁর অভিমত। তা ছাড়া বাসার আসবাবগুলো রোদে দিয়েও ছারপোকা মারা যায়। কারণ রোদের হাত থেকে বাঁচার উপায় এখনো ‘আবিষ্কার’ করতে পারেনি ছারপোকা-সমাজ! সূত্র : বিবিসি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।