আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাইক বাটন আনলাইক জার্মানীতে...।

মন ভাল নেই... জার্মানির তথ্য সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ ফেসবুকের ‘লাইক’ বাটন নিষিদ্ধ করেছে। শ্লেসেভিগ হোলস্টাইন রাজ্যের তথ্য সংরক্ষণ কমিশনার টিলো ভাইশার্ট শুক্রবার রাজ্যের ওয়েবসাইট মালিকদের সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলো থেকে সব ফ্যান পেজ এবং ‘লাইক’ বাটন বাদ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। শুক্রবারের এই আদেশের পর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা ইউরোপীয় তথ্য সংরক্ষণ আইন পুরোপুরি মেনে চলে। ভাইশার্ট শুক্রবারের ওই বিবৃতিতে বলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের সার্ভারে তথ্য পাচার করে জার্মান এবং ইউরোপিয়ান তথ্য সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘যদি কেউ ফেসবুক ব্যবহার করেন, তাহলে ফেসবুক কোম্পানি তাকে দুই বছর ধরে নজরে রাখে।

এমনকি তারা শুধু এই কাজের জন্য স্বতন্ত্র বোর্ডও তৈরি করেছে। ’ ফেসবুকের একজন মুখপাত্র তাদের কোম্পানির নীতি অনুয়ায়ী নাম না প্রকাশ করার শর্তে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা শুধু ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট ঠিকানা (আইপি অ্যাড্রেস) দেখতে পাই এবং যারা লাইক বাটনটি ক্লিক করছেন তাদের আইপিও দেখতে পাই। আমাদের কৌশলগত তথ্য ৯০ দিনের মধ্যে ধ্বংস করে ফেলি। ভাইশার্ট শ্লেসেভিগ হোলস্টাইনের সকল ওয়েবসাইট মালিকদের অতিসত্ত্বর যুক্তরাষ্ট্রে তথ্য পাচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা যদি তা না করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয়।

এছাড়া ভাইশার্ট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেন, আপনারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে থাকবেন এবং ফেসবুকে একাউন্ট খুলবেন না। কিছুদিন আগেই ক্রিশ্চিয়ান ফন বোয়েটিশের নামে একজন পার্টি সদস্য পদত্যাগ করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি রাষ্ট্রীয় অনেক তথ্য ফেসবুকে দিয়ে দিয়েছেন যা রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। এরপর সামাজিক যোগাযোগ সাইটের ভূমিকা নিয়ে জার্মানিতে ব্যাপক বিতর্কের ঝড় ওঠে। জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলো অভিযোগ করা শুরু করে দেয়, পার্টি সদস্যরা ফেসবুকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে দেয় এবং তারা কাজের সময়ের চেয়েও বেশি সময় দেয় ফেসবুকে।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া লন্ডন দাঙ্গায় লন্ডনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। লন্ডনের দাঙ্গা বিস্তারে ফেসবুক-টুইটারের মতো যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ভূমিকা রেখেছে বলে তিনি দাবি করেন। অপরদিকে মধ্যপ্রাচ্যের অনেকগুলো দেশে হওয়া সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের পেছনে শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছে ফেসবুকের মতো যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।