আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

On The ওয়ে To মাই Beautiful বাংলাদেশ

এতটুকু বুঝি জীবনের কাছে আবেগ নস্যি। আজ থেকে দু বছর আগে কোন একদিন রাতে সামুতে এই পোষ্টটি দিয়েই পাড়ি জমাই অজানার দেশে। একটু একটু করে দিন-সপ্তাহ-মাস গিয়ে দু বছর শেষ হয়ে আজ আসল সেই ক্ষন যখন একবুক উচ্ছাস নিয়ে ফিরছি আমার অপরুপ মাতৃভূমিতে, ফিরছি মায়ের কোলে, ফিরছি আপনজনদের কাছে। প্রবাসের এক-একটি ক্ষন এক-একটি দিন কিভাবে কাটে তা শুধু যারা জন্মভূমি ছেড়ে যোজন যোজন দুরে থাকে তারাই উপলব্ধি করতে পারে। এখানে মানব জীবনের সুযোগ সুবিধার সবটুকুই তো ঠিকই আছে তবুও বড় একটা কিছুর অভাববোধ বুকের ভেতরে চিন-চিন ব্যথার সুর তোলে প্রতিটি মুহুত্ব।

বিশ্বাস হবে কিনা জানিনা এখানে আসার পর আজপর্যন্ত ১ মিনিটের জন্যও ইলেক্ট্রিসিটি যেতে দেখি নি, কখোনই পানির অভাবে কাক ভেজা হয়ে গোসল করতে হয় নি, কখোনই পাব্লিক বাসে বাদুড় ঝুলে চলতে হয়নি, চলার পথে কখনই হাইজ্যাক অথবা পকেট মারের পাল্লায় পড়তে হয় নি, এখানে অফিস আদালতে কখনও অনিয়ম দেখিনি, আসলে জীবনের নিরাপত্তা বলতে সবকিছুই যেন এখানে বিদ্যমান। তবুও এখানে কেন পৃথিবীর কোথাও নেই সেই অনুভুতি একমাত্র আমার মাতৃভূমি ছাড়া। ভোর বেলায় সতেজ ঘাসে ঘুমিয়ে থাকা শান্ত শিশির বিন্দুর উপর সূর্য উদয়ের প্রথম কিরনে যে, অভূতপূর্ব ভাল লাগা আছে তা কি করে বুঝাব? অথবা শেষ বিকেলে গোধুলীর আলোয় আমার রুপসী বাংলা যে, আরো অপরুপা হয়ে উঠে তা কোথায় পাব? আমি বাংলাদেশী হিসাবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। হায়-হুতাস না করে এখনও স্বপ্ন দেখি আমরা একদিন সব সমস্যার সমাধান করবই, নতুন প্রজন্মের জন্য রেখে যাব নিরাপদ আবস্থল। আমার দেশটিতে যত সমস্যাই থাকুক, তার মধ্যেও যতটুকু ভাল লাগা আছে, সামাজিকতায় ভালবাসার যে বন্ধন আছে, বিরত্বগাথার যে ইতিহাস আছে , তার জন্য আরো হাজার বার বাঙালী হয়ে জন্মানের ইচ্ছা রাখি।

Leave Application Sign করার পর থেকেই যেন সময়গুলো মন্থর হয়ে গেছে শুধু মনে গুন গুন করে কত দুর আর কত দুর??? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।