আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাঘ মারলে ১০ বছর আর মানুষ মারলে ৩ বছরের কারাদণ্ড!!!!!

When you become detached mentally from yourself and concentrate on helping other people with their difficulties, you will be able to cope with your own more effectively. Somehow, the act of self-giving is a personal power-releasing factor. নাহ, এতো দুঃসময়ে কোন রকম মশকরা করছিনা আপনার সাথে। সত্যি সত্যি বাংলাদেশের আইনে এম্নটাই বলা আছে। তাও কিন্তু শুধু বলাটাই ছাড়। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও আমার মনে হয় না কোন সড়ক বা নৌপথের হত্যার (যেগুলোকে আমরা গাল ভরে দুর্ঘটনা বলি.!!!) কোনো বিচার হয়েছে। এই নুন্যতম শাস্তিও পার পেয়ে যায় এসব হন্তারকেররা।

গত দুদিন দেশের দুই সূর্যসন্তানকে হারিয়ে পুরো দেশ শোকাতুর। এমন নয় যে এবারি প্রথম আমরা এমন কোন দুর্ঘটনায়(!?) কোনো মেধাবিকে হারিয়েছি। লিস্টি করতে বসলে তো সেই লিস্ট শেষই হবে না। কিন্তু আর কত। একের পর এক, একের পর এক মৃত্যুর মিছিল দেখতে দেখতে আজ আমরা বড় ক্লান্ত।

লাশের বোঝা আমাদেরকে ডুবিয়ে দিচ্ছে কোন অতল গহবরে। আর এসব মানুষগুলো যেভাবে যাচ্ছেন, সেটাতো কোনো শান্তনাতেও মেনে নেবার নয়। যখন এই মানুশগুলো জ্ঞানে, প্রজ্ঞায় আর অভিজ্ঞতায় রিদ্ধ হচ্ছেন, যখন তারা প্রস্তুত হচ্ছিলেন দেশ ও জাতিকে তাদের সবটুকু নিংড়ে দেবার জন্য। ঠিক সে সময় আমরা তাদেরকে হত্যা করছি। যখন আমাদের দেশ একটু একটু করে আগাচ্ছে।

যখন আমাদের খুব অল্প কজন ভালো মানুষ আমাদেরকে আমাদের শেকড়ের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছেন; তখনই আমরা আল বদর, আল সামসের ভুমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছি। একে একে যেনও আমরা সমুলে দেশকে মেধাশুন্য করে দিচ্ছি। গত দুদিনে আমাদের সরকারের কাছ থেকে আমরা কোন সঠিক পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। শুধু কথা দিয়ে মানুষকে শান্তনা দেবার প্রয়াসও তারা এখন করেন না। যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন আহত জলিকে দেখতে এসে বলেছেন, ‘আপনাদের ড্রাইভারের দোষ ছিল, সে ওভারটেক করতে গিয়েছিল।

’ শাহজাহান সিরাজ বললেন (যিনি একি সাথে মন্ত্রি এবং পরিবহন শ্রমিক নেতা!!) চালকদের দোষ দেওয়া ঠিক হবে না। খুব জানতে ইচ্ছে করে তিনিকে মন্ত্রি হিসেবে শোকসন্তপ্ত জাতিকে কথাটা বলেছিলেন নাকি আমরা শ্রমিক নেতার মুখ থেকে এক হত্যাকারীর জন্য সাফাই শুনলাম! আমাদের দেশে এই রোজার সময়, যখন সারা দেশ ছুটেছে নাড়ির টানে, তখন রাস্তা ঘাটের বেহাল দশার জন্য পরিবহন মালিকেরা বাস চালানো বন্ধ রেখেছেন। আজ ৪ দিন হয়ে গেলো কোন বিকার নেই আমাদের মন্ত্রিদের। এভাবে দেশ চলে??? তাদের কিছু জিজ্ঞাস করলে তারা আমাদেরকে সপ্ন দেখান এলিভেটর সড়ক আর ৪ লেনের হাইওয়ের। এসব কাজে তারা কেনো এতো উৎসাহী আমারা বুঝিনা? বড় পরজেক্ট মানেই বড় অঙ্কের দাও মারার সুযোগ।

ছোট খাত গর্ত ভরাট করে বড়জোর কয়টা মানুষ বাঁচবে, তাতে তাদের পকেটের লাভ কি? আজকে প্রথম আলোতে আমাদের মন্ত্রি মহদয়ের এক সাক্ষাৎকারে পড়লাম, সড়কগুলো ঠিক করতে খুব বেশি হলে ৬ মাস সময় লাগবে। তাহলে ৬ মাসের কাজ এই আড়াই বছরেও কেন হোলো না? এতো যে সচ্ছতা আর জবাব্দিহিতা জন্য আমরা গলা ফাটাই এগুলো আসলে কি?? একটা সাধারন পোষ্টের জন্য ও তো আজকাল চাকরীর বাজারে কত রকম যোগ্যতা লাগে। আর এমন একটা দেশে আমরা আছি জে দেশে সবচেয়ে বড় অযোগ্যরাই দেশ চালায়। এভাবে আর কত দিন? আমাদের নৌপরিবহন মন্ত্রীর সুপারিশে যে হাজার হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হলো তাদেরকে আজরাইলের সহযোগী ছাড়া কিছু বলা যায় না। আর এইসব লাইসেন্সপ্রাপ্তরাও জানে তারা একটা কেন, দশটা খুন করলেও বিচার হবে না।

একদিন যদি তারা এই মন্ত্রিদের চাপা দিয়ে চলে যায় তখন কেমন হবে? মন্ত্রিরা কি নিজেদেরকে অমর ভাবেন? এভাবে আর কত দিন, আর কত? খুব জানতে ইচ্ছে করে যে গদিতে বসে মন্ত্রিগন দেশ চালান সে গদি নিংড়ালে কত গ্যালন রক্ত বের হবে! প্রতি ৫৪ মিনিটে ১ জনের মৃত্যুর জন্য দায়ি থাকার পরেও আপনারা ঘুমান কি করে? আপনাদের কি নুন্নতম খারাপ লাগা নেই? অনেক তো হলো, এবার অন্তত পদত্যাগ করুন। প্লীজ! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।