আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৫ই অগাস্ট: অনেকগুলো জন্মদিনের, অনেকগুলো মৃত্যুদিনের

বিচ্যুত যৌবনে জোছনা আমায় করেছে উম্মাদ বেগম খালেদা জিয়ার ৬৭ তম জন্ম দিন আজ। শেখ মুজিবের মৃত্যুদিনও আজ। আজ ঐতিহাসিক ১৫ ই অগাস্ট বিভিন্ন কারনে এ দিনটি আলোচিত সমালোচিত। অনেক খ্যাতিমান ব্যাক্তির জন্ম হয়েছে এ দিনে আবার অনেক খ্যাতিমান ব্যাক্তির মৃত্যুও হয়েছে এ দিনে। অনেক স্মরণীয় ঘটনার জন্মও দিয়েছে এ দিনটি।

তাই বলে এ দিনের চেহারা বদলে যায়নি। এ দিন ১৫ই অগাস্ট আছে। এ দিনে জন্ম গ্রহন করা ব্যাক্তিদের মধ্যে রয়েছেন, নেপোলিয়ান বোনাপার্ট, স্কটিশ লেখক ত্যালিসমান বই খ্যাত স্যার ওয়াল্টার স্কট, বিলগেটসের স্ত্রী মেলিন্ডা, বেন আ্যফ্লেক, আছেন বৃটিশ বর্ন পাকিস্তানি শিল্পী আদনান সামীও। এমন শত নামি দামি মানুষের সাথে বাংলাদেশের রাজনীতিক বেগম খালেদা জিয়াও আছেন। আবার এ দিনে মৃত্য হয়েছে এমন ব্যাক্তিদের মধ্যে ম্যাকবেথ (স্কটল্যান্ডের রাজা শেকসপিয়ার যাকে নিয়ে লিখেছিলেন তার ঐতিহাসিক নাটক). চাইনিজ বিপ্লবী লেই ফেং , রোমান সম্রাট ফ্লেভিয়াস ওনারিয়াস, আরো আছেন বাংলাদেশ রাস্ট্রের স্থপতি ও পরবর্তিতে একনায়ক ডিক্টেটর বনে যাওয়া শেখ মুজিবুর রহমান।

আওয়ামীলীগ এ দিনটিকে পালন করে শোক দিবস। পাশাপাশি জামায়াত শিবিরের জন্যও বেদনার দিন, এ দিনে শিবিরের অধ্যাত্মিক নেতা আব্দুল মালেক কে তোফায়েলের নেতৃত্বে একদল দুবৃত্ত লোহার রড দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে মেরেছিলো। তাই শিবিরও এটিকে শোক দিবস হিসেবে পালন করে। গুরুত্বপূর্ন ইভেন্টের মধ্যে ২য় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্ম-সমর্পন, কোরিয়ার স্বাধীনতা দিবস, ভারতের স্বাধীনতা দিবস, মুহাম্মদ আলী জিন্নার পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে শপথ গ্রহন, বাহরাইনের স্বাধিনতা অর্জন বৃটিশদের কাছ থেকে। ১৫ই অগাস্টে কি কি ঘটেছে জানতে এখানে ক্লিক করুন এমন শত শত ঘটনার আবর্তে বইছে ১৫ই অগাস্ট।

কারো জন্ম বা মৃত্যুতে এদিনে সাধারন মানুষের জিবনে বড় কোন ব্যবধান তৈরী হচ্ছেনা। তবে আমাদের প্রতিহিংসা পরায়ন রাজনীতিতে ১৫ই অগাস্ট পড়েছে উভয় সংকটে। সাধারন মানুষ থাকে আতংকের মধ্যে না জানি কি হয়। একদিকে কিছু লোক কালো ব্যাজ লাগিয়ে শিরনী করে আর সারাদিন বক্তৃতার রেকর্ড বাজিয়ে ত্যাক্ত বিরক্ত করে। আর অন্য দিকে কিছু লোক বিশাল আকৃতির কেক বানিয়ে জন্মদিন উদযাপন করে।

খালেদা জিয়া সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন আমি জানিনা কোনটা উদযাপন করতে কত খরচ হচ্ছে। তবে মোদ্দা কথা এই সব শিরনী ভুরিভোজ আর কেক কাটায় দেশের মানুষের কোন উপকার হচ্ছেনা। এসব তামাশা বন্ধ করা কি উচিত নয়? কিন্তু কিভাবে বন্ধ হবে এই উপহাস বন্ধ হবার কোন লক্ষন আসলে নেই। কারন একশ্রেনীর নেতা কর্মি আছে তারা এটাকে জিইয়ে রাখতে চাইবে। না হলে বিভেদের রাজনীতি করা সম্ভব নয়।

এক দল কে রাজাকার, রাজাকারের দোসর, আরেক দলকে দেশ প্রেমিক ইত্যাদি বানিয়ে দেশের মানুষকে বিভক্ত না রাখলে এরা রাজনীতির নামে ব্যাক্তগত ফায়দা নিতে পারবে না। তাইতো ভাবি শুধু মাত্র একটা নাম জিয়া এর প্রতি কতটা প্রতিহিংসা থাকলে হাজার কোটি টাকা খরচ করে বিমানবন্দর থেকে এ নামকে পরিবর্ত করতে হবেই। আর এর সমস্ত খরচ ইন্ডিয়া দেয়নি, দেয়নি হাসিনার কোন রাজাকার বেয়াই বা উপদেষ্টাকুল শিরোমনি দরবেশ। এর সমস্ত খরচ দিতে হয়েছে এদেশের খেটে খাওয়া ১৬কোটি দরিদ্র মানুষগুলোকে। তবে কেন এই অনুরোধ জিয়ার নাম পরিবর্তন না করার জন্য শুধু রাজনীতিকরাই নয় দেশের সমস্ত মানুষ অনুরোধ করেছিলো।

শুধু রাজনীতিতে প্রতিহিংসা বেড়ে যাবে তার জন্যই নয় বরং দরিদ্র দেশের হাজার কোটি টাকাকে বিনাশের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সবাই অনুরোধ করেছিলো নাম নিয়ে যেনো রাজনীতি করা না হয়। যারা রাস্ট্রের টাকা খরচ করে ব্যাক্তিগত প্রতিহিংসা তৈরি করেন তাদের মুখে কি মানায় কোন রাজনীতিককে বলা তিনি যেনো তার জন্মদিন পালন না করেন। শুধু তাই নয় পাশা পাশি বলা হয় এটা নাকি তার ভুয়া জন্মদিন। কার জন্মদিন কি হবে সেটা কে ঠিক করে দেবে? আমি কবে জন্মদিন পালন করবো তাকি আওয়ামীলীগকে ঠিক করে দিতে হবে। তাহলে আমার প্রশ্ন থাকবে আওয়ামীলীগের গুরু রাস্ট্র ইন্ডিয়ার জন্মদিনও কিন্তু ১৫ই অগাস্ট।

এ দিনে তারা মহা জাঁকজমক করে উদযাপন করে, পারবে আওয়ামীলীগ ইন্ডিয়াকে রিকোয়েস্ট করতে ১৫ই অগাস্টে যেন তারা স্বাধীনতা দিবস পালন না করে। যদিও শুনেছি শেখ মুজিবের জন্য এদেশের চাইতে ভারতীয় জনতার মায়া মহাব্বত অনেক বেশী। আপনাদের নেতার মৃত্যুদিনে অন্য কোন নেতার জন্মদিন পালন করা যাবে না এমন কোন আইনওতো দেশে নাই। যদিও আপনারা চাইলে এখন বানাতে পারেন। তাই বেগম জিয়ার বিরোদ্ধে অপপ্রচার না করে আপনাদের নেতার জন্য আপনারাই শোক পালন করুন।

বেগম জিয়াকে খোচাখুচি না করলে আপনাদের নেতার জন্যই বরং মংগল। তাছাড়া খালেদা জিয়া কখনোই ঘটা করে রাস্তা ঘাটে মাইক বাজিয়ে জন্মদিন পালন করেন নাই। কিন্তু আওয়ামীলীগ যে পরিস্থিতি সৃস্টি করেছে তাতে হয়তো আগামীতে এমন হতেও পারে। যা খুব খারাপ হবে। তাই প্রতিহিংসা না বাড়িয়ে নিজ নিজ কর্মসূচীতে সীমাবদ্ধ থাকুন আর দেশেকে মুক্তি দিন।

উপপাদ্যের ব্লগ পড়তে হলে ক্লিক করুন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।