আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর কত অনিমেষকে হারাবো আমরা?

কলেজে এতগুলো ক্লাস করার পর বিরক্ত হয়ে গেল অনিমেষ। ১৮ বছর ধরে পড়াশোনা করার পর আর কি স্যারের লেকচার শুনতে ভালো লাগে? এস.এস.সি.তে ভালো রেজাল্ট করে ঢাকার একটা বিখ্যাত কলেজে ভর্তি হওয়াটা কি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল? এরকম অদ্ভুত কিছু চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তার। সেই ভোরবেলা শনির আখড়া থেকে রিকশায় করে আরামবাগে আগমন, সেখানে কেমিস্ট্রি স্যারের এক ব্যাগ লেকচার শুনতে শুনতে সকালের নাস্তায় পানির আণবিক সংকেত দেখতে পাওয়া, তারপর আরও এক ব্যাগ পড়া নিয়ে কলেজে গমন, সেখানে আরও এক ব্যাগ পড়ার বোঝা মাথায় চাপিয়ে মেসে ফেরা- এইরকম বিরক্তিকর ও নিষ্ঠুর সময় কাটছে অনিমেষের, একঘেয়েমি লাগছে সবকিছুই। প্রতিদিন যেন এক ব্যাগ রক্ত শুষে নিচ্ছে কেউ। কলেজ থেকে বের হয়ে রিকশাওয়ালাকে ডাকতে গিয়ে হঠাৎ থমকে দাঁড়ালো অনিমেষ।

পকেটে হাত দিয়ে ১০ টাকার ৩টে খুচরো নোট আর কিছু পয়সা আবিষ্কার করল সে। এই মাসে বাড়ি থেকে যে টাকা পাঠিয়েছে তার বেশিরভাগ অংশই নিউমার্কেট আর নীলক্ষেতে দোকানীদের কাছে জমা দিতে হয়েছে। আর কিছু অংশ গেছে হাবিজাবি কিনতে কিনতে। তাই মাসের ২১ তারিখে রিকশায় করে ঢাকায় যাতায়াত পকেটের জন্য খুব একটা শোভনীয় নয়। টাকা বাঁচানোর জন্য বাসের কোন বিকল্প নেই।

কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে একটা লোকাল বাসে উঠলো সে। বাসের সবুজ রঙটা মনে হয় কেউ একজন ঘষে তুলে ফেলেছে, কিন্তু অদক্ষতার কারণে সেটা মলিন হয়ে বাসটাকে লোকাল বাস হিসেবে পরিপূর্ণতা দান করেছে যেন... বিস্তারিতঃ অর্জুনতলা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।