আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভয় ও আতঙ্কে কঠোর প্রধানমন্ত্রী

নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই সব ধরনের ‘জনমত’ উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী ‘ক্ষমতার রশি’ হাতে রেখেই নির্বাচনের পথে অগ্রসর হচ্ছেন। সংবিধানের দোহাই দিয়ে ‘ক্ষমতায় থেকে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন’ করার চেষ্টার নেপথ্যে রয়েছে ‘ভয় আর আতঙ্ক’। ক্ষমতা হাতছাড়া হলে প্রশাসন ঘুড়ে যাবে। মহাজোট সরকারের শাসনামলে পুলিশি তান্ডব, দলবাজি, সারাদেশে ছাত্রলীগ-যুবলীগের জুলুম-নির্যাতন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলদারিত্বে অতিষ্ঠ মানুষ ‘প্রতিশোধপরায়ণ’ হয়ে উঠতে পারে। ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যাতে ‘গণরোষে’ পড়তে না হয় সেজন্যই তত্ত্বাবধায়ক না দিয়ে নিজের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর প্রধানমন্ত্রী।

তিনি ৫ সিটির ভোটারদের ওপর যেমন ক্ষুব্ধ তেমনি সরকারের যারা সমালোচনা করেন তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির বিরুদ্ধে জনমত গঠন এবং নিজের অবস্থানের প্রতি জনমত গঠনে সর্বশক্তি নিয়ে দলকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মহাজোট সরকারের শাসনামলে বিরোধী দল ও আলেম-ওলামাদের পাশাপাশি সারাদেশের মানুষের ওপর যে জুলুম-নির্যাতন করা হয়েছে ক্ষমতা ছাড়লেই নির্যাতিতরা ‘আওয়ামী লীগের ওপর প্রতিশোধপরায়ণ’ হতে পারে মহাজোট সরকারের শীর্ষমহল সে ভয় পাচ্ছে। প্রশাসনকে দলীয়করণ, গোপালগঞ্জকরণের কারণে সচিবালয় থেকে শুরু করে মাঠ প্রশাসনের কর্মরত কর্মকর্তারা সরকারের ওপর বিক্ষুব্ধ। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা ছাড়লেই বঞ্ছিত, অবহেলিত ও নির্যাতিত সরকারি কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ঘুড়ে দাঁড়াবেন এ আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

তত্ত্বাবধায়কের হাতে ক্ষমতা দেয়া হলে প্রশাসনে বঞ্ছিতরা এবং সারাদেশের নির্যাতিত মানুষ সরকারি দলের নেতা ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধপরায়ণ’ হয়ে উঠতে পারে। এতে নির্বাচনের আগে ‘সাংগঠনিকভাবে চরম বিপর্যয়ের মুখে’ পড়বে আওয়ামী লীগ। এটা বুঝতে পেরেই ক্ষমতা হাতছাড়া করতে চাচ্ছেন না আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব। সংবিধানের বাধ্যবাধকতার দোহাই দিয়ে ‘অনির্বাচিত’ কারো হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের পথে অগ্রসর হচ্ছে সরকার। সরকারি প্রচারমাধ্যম বিটিভি এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ডে এখন খবরের চেয়ে বেশি দেখানো হয় ‘জুলুম-নির্যাতনের চিত্র।

মুজিব বন্দনার পাশাপাশি, সন্ত্রাস, হানাহানি, ধ্বংসযজ্ঞ, লিফলেট রক্তাক্ত পোস্টার, বাসাবাড়িতে আগুনের চিত্র দেখানো হয়। ঘাদানিক নেতা শাহরিয়ার কবিরের তোলা এসব ভিডিও ফুটেজ (বিদেশে পাচারের সময় বেনাপোল সীমান্তে ধরা পড়েছিল) প্রচার করা হচ্ছে কিছুক্ষণ পর পর। এ সব ছবি ছবির ধারাভাষ্যতে বলা হয় বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় আসার পর এভাবে সারাদেশের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা করা হয়েছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর জুলুম-নির্যাতন করা হয়েছে বলে প্রচার করা হয়। সরকারি মিডিয়ায় এসব প্রচারের কারণ জানতে চাইলে সুশীল সমাজের এক প্রতিনিধি জানান, বিটিভির এসব প্রচারণা উদ্দেশ্যমূলক।

সবগুলো ঘটনা সত্য এমন নয়। আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় একদিকে বিএনপিকে জনগণের সামনে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিতের চেষ্টা করছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ম্যাসেজ দেয়া হচ্ছে বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে আবার এমন জুলুম নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হবে। নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব সংঘাত ভুলে ঐকবদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। দীর্ঘদিন থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে সবাই চায় তত্ত্বাবাধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।

‘সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের’ দাবি করছে দেশের বিশিষ্ট জন, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, পেশাজীবী, দাতাদেশ, সংস্থাগুলো। সরকার কখনো নমনীয় কখনো শক্ত হয়ে সে সব দাবি নিয়ে অভিমত দেয়। কিন্তু ৫ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের পরাজয় সরকারকে অস্থির করে তোলে। অনুগত নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে উলঙ্গভাবে ব্যবহার করেও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ফলাফল অনুকূলে নেয়া সম্ভব হয়নি। জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে অনেকটা বিক্ষুব্ধ হয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ সিটির ভোটারদের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতিবাজ’দের ভোট দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন।

এই সব ভোটারের জন্য কেন উন্নয়ন করবেন তাও জানতে চেয়েছেন। বিক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য সারাদেশের মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। নির্বাচিত কোনো প্রধানমন্ত্রী জনগনের ‘রায় দেয়া’ দেয়া নিয়ে এ ধরনের বিষোদগার করতে পারেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, সরকারের সাজানো সংসার (প্রশাসন) লন্ডভন্ড হওয়ার ভয়ে ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করতে চাচ্ছে। সাড়ে চার বছর দলীয়করণের কারণে নির্যাতিত প্রশাসন সরকারের মেয়াদ শেষে ঘুড়ে দাঁড়াবেই।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, সরকার গণবিচ্ছিন্ন। সাঈদীর ইস্যুতে দেশব্যাপী পুলিশী তা-ব, সহিংসতা এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গণরোষে পড়ে ঘরছাড়া হয়েছিল। ২১টি এলাকা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। মেয়াদ শেষে সরকারী দলের সারাদেশের নেতাকর্মীরা আবার গণরোষে পড়তে পারে সে আশঙ্কা থেকেই শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়কের হাতে ক্ষমতা ছাড়তে চাচ্ছেন না। সরকার জানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি অনেক আসন নিয়ে ক্ষমতায় যাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহাজোটের এক প্রভাবশালী নেতা বলেন, শেখ হাসিনা যদি নিশ্চিত হতেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০ আসন পাবে তাহলে ক্ষমতা ছাড়তে এক দন্ড দেরি করতেন না। তিনি নানা ভাবে জরিপ করে দেখেছেন নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে নৌকার প্রার্থীর ১০ এর বেশি আসন পাবে না। এই জন্যই তিনি সবকিছু উপেক্ষা করে ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করার অস্থির হয়ে পড়ছেন। আদালতের দোহাই দিয়ে দ্রুত পঞ্চদশ সংশোধীন মাধ্যমে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা উঠিয়ে দেয়া হয়। অতপর সংবিধানের আলোকে অন্তবর্তীকালীণ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের কথা প্রচার করা হয়।

বিরোধী দল ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুললে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় দেশী বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক দল, বিশিষ্টজন থেকে শুরু করে দাতাদেশ, সংস্থাগুলো সব দলের অংশগ্রহণের নির্বাচন করার লক্ষ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দেয়। টিআইবি, সিপিডিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও মিডিয়ার জরিপে শতকরা ৯০ থেকে ৯৫ জন মানুষ তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচনের পক্ষে মত দেন। কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নিদলীয় সরকারের রুপরেখাও তুলে ধরে সংলাপের মাধ্যমে সমসা সমাধানের প্রস্তাব দেন। ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশী কূটনীতিকরাও সব দলের অংশগ্রহণের চাপ দেন।

এ সব দাবি আর চাপে আওয়ামী লীগ নেতারা কখনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আবার কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনার কথা বলেন। বিদেশীদের প্রবল চাপে এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জানান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করতে হবে এমন নয়। সংলাপে বসলে এটা নিয়েও আলোচনা হবে। ওই সময় সংলাপের জন্য বিরোধী দলকে চিঠি দেয়ার কথাও তিনি জানান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অনমনীয়তার কারণে চিঠি দেয়া হয়নি।

অতপর যুদ্ধাপরধীদের বিচার ইস্যুতে শাহবাগে মঞ্চ গঠন এবং হেফাজত ইস্যুতে সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেলে সরকার কিছুদিন নীরব থাকে। ৫ মে মতিঝিলের ঘটনার পর সারাদেশের হাজার হাজার আলেম ওলামার বিরুদ্ধে মামলা এবং জুলুম নির্যাতনে আতঙ্কিত আলেমরা কেউ আত্ম গোপন করেন কেউবা নীরবে থাকেন। হেফাজত আর শাহবাগীদের অনুপস্থিতিতে সরকারের নীতি নির্ধারকদের ধারণা ‘সবকিছু ভালোয় ভালোয় সামাল দিতে’ পেরেছে। কঠোর ভাবে হেফাজতকে শায়েস্তা করে সরকার রিলাক্স মুডে চলে যায়। কিন্তু চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় হেফাজত ইস্যু নির্বাচনী প্রচারণায় প্রাধান্য পেলে সরকার নমনীয় হয়।

হেফাজতের সঙ্গে পর্দার আড়ালে সমঝোতার চেষ্টা করা গয়। এমনকি হেফাজত চাইলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৫০ আসন দেয়া হবে বলেও প্রস্তাব দেয়ার খবর পত্রিকায় প্রকাশ পায়। কিন্তু হেফাজত ‘ইসলামবিদ্বেষী’ হিসেবে অবিহিত করে সরকারের সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। সিটি নির্বাচনে ফলাফলে সরকার সমর্থিত প্রার্থীর ভরাডুবি ঘটে। ৪ সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর সরকার গাজীপুর সিটি নির্বানে বিজয়ী হয়ে দেশের মানুষকে ‘ম্যাসেজ’ দেয়ার চেষ্টা করে যে জনগণ আওয়ামী লীগের পক্ষেই রয়েছে।

গাজীপুর নির্বাচনে বিজয়ী হতে প্রশাসনকে ব্যবহার করা হয় এবং নির্বাচন কমিশনকে আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানের পরিণত করা হয়। কিন্তু জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নির্বাচনে সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থীর ভরাডুবি ঘটে। ‘মানুষের সম্মিলিত শক্তি যে সব চেয়ে বড় শক্তি’ সেটা প্রমাণ হয় গাজীপুর নির্বাচনে। সুত্রের দাবি ৫সিটিতে পরাজয়ের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই সারাদেশে জনমত জানার চেষ্টা করেন। বিভিন্ন পন্থায় দেশের মানুষের মতোভাব বুঝতে পেরে ‘কঠোর অবস্থান’ গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেন।

সারাদেশের মানুষ প্রশাসনে দলীয়করণ, শেয়ারবাজার, হলমার্ক, পদ্মা সেতু, ডেসটিনি, ইউনিপে টু, যুবক, রেলওয়ের কালো বিড়াল, রেন্টাল কুইন রেন্টাল বিদ্যুতের নামে হাজার হাজার হাজার কোটি টাকা দলীয় ব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠানকে দেয়া এবং ছাত্রলীগ যুবলীগের জুলুম-নির্যাতনে সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ। এ অবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০ আসনের বেশি পাবে না। সারাদেশের মানুষ সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও স্থানীয় নেতাদের ওপর এতোই ক্ষুব্ধ যে তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের অনেকেই ভোটের প্রচারণায় মাঠে নামতে পারবেন না। প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে দলীয় প্রার্থীরা গণপ্রতিরোধের মুখে পড়তে পারে। ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগকে ভোটের সময় ‘গণবিচ্ছিন্নতা’র মধ্যে পড়তে না হয় সে জন্যই কঠোর অবস্থান নেয়ার কৌশল গ্রহণ করেছে সরকার।

মুলত বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচনের পথে হাটছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ অবস্থান নিয়েছেন অনির্বাচিত কারো হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন না। দেশি বিদেশী চাপে পড়লেও মেয়াদ শেষে সংবিধানের দোহাই দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের উদ্যোগ নেয়া হবে। এতে বিএনপি চাইলে সমান সংখ্যক উপদেষ্টা দিতে পারবে। তবে সে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা।

বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে অন্যান্য সব দলকে ‘সুযোগ সুবিধা’ দিয়ে নির্বাচনে আনার কৌশল গ্রহণ করা হবে। মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে এইচ এম এরশাদকে ম্যানেজ জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনের মাঠে রাখা হবে। রওশন এরশাদ এবং কাজী জাফর আহমদ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর পাতানো নির্বাচনে না এলে জাতীয় পার্টিকে দ্বিখন্ডিত করে হলেও নির্বাচনে আনার চেস্টা করা হবে। কোনো চাপেই প্রশাসনকে হাতছাড়া করে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনে যাবেন না শেখ হাসিনা। তবে বিএনপিও ঈদের পর কঠোর অবস্থানে যাবে বলে জানা গেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ঈদের পর শুরু হবে আন্দোলন। সরকার এক মাসের মধ্যে দাবি মেনে না নিয়ে এককভাবে নির্বাচনের চেষ্টা করলে নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। তারপরও সরকার সে চেষ্টা করলে দেশ অনিশ্চয়তার দিকে যাবে Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।