আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

!! অনাহারে নাহি খেদ, বেশি খেলে বাড়ে মেদ !! (রম্য লেখা)

আমরা খুব সহজে বলি, কিন্তু করতে গিয়ে পিছলে পড়ি ! কোন কথা আমরা মটিতে পড়তে দেই না যেন ক্রিকেট খেলায় স্লিপে ফিল্ডিং করতেছি। সবাই যেন মুখিয়ে থাকি, কে কখন কোন ভুলভাল কথা বলবে আর তা নিয়ে রসালো কথার গল্প সাজাবো। আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী না হয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির জন্য বলেছে “কম খান, ভালো থাকবেন” তাই বলে তাকে নিয়ে এতো কথা কেন ভাইরে? তিনি তো ভুল কিছু বলেন নাই। তারপরও কেউ কেউ ব্যাঙ করে বলছেন- যখন কাপড়ের সংকট হবে তখন কম কাপড় পড়তে হবে, যখন লেখা পড়ার খরচ বেড়ে যাবে তখন কম লেখাপড়া করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। তিনি নাকি ১৯৭৪ সালের মতো দেশে দুর্ভিক্ষ আনার ষড়যন্ত্র করছেন।

আফসুস, কম খাওয়া তো সবার জন্যই ভালো; ডায়াবেটিকস এর বিজ্ঞাপনে অভিনেতা এ,টি, এম শামছুজ্জামান তো বলেছেন- খাইলে মানুষ বাঁচে না, মরে। তখন কিন্তু কেউ কিছু বলেন নাই। তাছাড়া একটু ভেবে দেখেন আপনি শরীর টাকে ফিট রাখার জন্য কত কি করছেন; জিম করছেন, সোনা বেল্ট পরছেন, না খেয়ে ডায়েট কন্ট্রোল করছেন, প্রতিনিয়ত নিজেকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য সদা ব্যস্ত থাকছেন। কিন্তু আপনার এই সমস্যার সমাধান খুব সহজেই হতে পারে শুধু আপনি একটু কম খেলে। কারন, অনাহারে নাহি খেদ, বেশি খেলেই বাড়ে মেদ।

বানিজ্যমন্ত্রীর চিন্তাভাবনা কিন্তু অনেক সুপ্রসারিত। তিনি শুধু বাংলাদেশের কথাই ভাবেননি। সারাবিশ্বের জন্য ভেবেছেন কারন তার এই ভাবনাটাকে কাজে লাগিয়ে সারাবিশ্ব উপকৃত হতে পারবে বিশেষ করে যে সমস্ত দেশ খাদ্য সমস্যায় জর্জরিত তাদের জন্য তো বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। সারাবিশ্বে আনাচে কানাচে কত মানুষ যে দুবেলা দুমুঠো খেতে পায়না তার খবর কজন বলেন রাখে কিন্তু দেখেন বানিজ্যমন্ত্রীর ভাবনায় তারা সবাই আছেন। এবার আপনি বলেন তার মতো এমন মহান চিন্তাবীদ দেশে আর কয়জন আছেন? আশা করি এতোক্ষনে আপনারা সবাই একমত যে, বানিজ্যমন্ত্রীর কথাটা মোটেই হাসি বা তামাশা করার মতো না বরং অনেক বেশি গবেষনা লব্ধ।

একটা গল্প দিয়ে শেষ করিঃ- “মন্টু মিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে বিষয়ে কোনো দিন গবেষণা হয়নি, সেই বিষয় নিয়ে সে পিএইচডি করবে। বিষয়টি নিয়ে ভাবতে ভাবতে একদিন টেবিলের ওপর একটি তেলাপোকা দেখে সে ভাবল, এই তেলাপোকা নিয়েই গবেষণা করতে হবে। মন্টু মিয়া তেলাপোকাটা ধরে টেবিলের ওপর ছেড়ে দিয়ে বলল, ‘দৌড়াও’। অমনি তেলাপোকা সজোরে দৌড়াতে শুরু করল। এরপর মন্টু মিয়া আবার তেলাপোকাটিকে ধরে তার একটি পা কেটে দিয়ে বলল, ‘দৌড়াও’।

আবারও তেলাপোকা দৌড়াতে লাগল। আরও একটি পা কেটে দেওয়ার পর দৌড়াতে বললে যথারীতি বেচারা তেলাপোকা দৌড়াল। এভাবে মন্টু মিয়া তেলাপোকার সব কটি পা কেটে দিয়ে দৌড়াতে বলল। কিন্তু এবার তেলাপোকা আর কিছুতেই দৌড়ায় না। তা দেখে মন্টু মিয়া বলল, ‘ইউরেকা! আমার গবেষণা সফল!’ তারপর সে তার থিসিস পেপারে লিখে দিল—‘যখন তেলাপোকার সব কটি পা কেটে ফেলা হয়, তখন তেলাপোকা আর কানে শুনতে পায় না।

“ প্রিয় ভাই ও বোনেরা প্লিজ কম খান, যদি আপনারা ভালো থাকতে চান !! সতর্কীকরনঃ তবে লো প্রেশারের লোকজনের জন্য কম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।