আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ মহৎ গুনের প্রকাশ তিনি না ঘটালেও পারতেন!

...............................................................................................................................................................। এ ঘটনা আজ কারো কাছে অজানা নয়। গত কয়েকদিনের তুলকালামে এ ঘটনা আজ সাধারন মানুষের ও কানে পোছে গেছে। সবার ধিক্কারের সহিত একটাই কথা-‘খুনিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা’। ছোট বেলায় আমরা ‘পন্ডশ্রম’ নামে একটি কবিতা পড়েছিলাম যেখানে চিলে কান নিয়ে গেছে বলে চারিদিকে হইচই পড়ে গিয়েছিল।

কি হয়েছে কাউকে জিজ্ঞেস করলে সবার একটাই উত্তর চিলে কান নিয়ে গেছে। শেষে জানা গেল তা ছিল পন্ডশ্রম। আর এখন চারিদিকে হইচই পড়ে গেছে খুনিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা এই বিষয়টি। যার শেষটা যে চিলে কান নেয়ার মত মিথ্যে নয় এ বিষয়টি এখুনি সুস্পষ্ট বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ ঘটনা সমগ্র দেশ এমনকি বহির্বিশ্বেও বিরাট প্রভাব ফেলবে বলে আমি মনে করি।

রাষ্ট্রপতির খুনিকে ক্ষমা এ কোন সাধারন কথা নয়। এ এক বিরাট অশনিসংকেত। এ ঘটনা শুধু যে সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করেছে তা নয়,সরকারের উপর জনগনের যে চাওয়া বা আশা ছিল তাও আজ নিভায়মান প্রায়। জনগন যখন নিরাপত্তার আশায় সরকারের পানে চেয়ে থাকে,নিরাপদে বাস করার একটু নির্মল পরিবেশ চায় আর তখন এমন একটা ভয়ংকর কান্ড ঘটিয়ে সরকার জনগনকে হুমকির মুখে পাঠিয়ে দিল,নিরাপত্তার চাদরে ঠুকে দিল সন্ত্রাসের পেরেক,জনগনের মধ্যে গভীর ভাবে ভয়ের সঞ্চার করে দিল। যা কখনোই আমাদের কাম্য ছিল না এমনকি স্বপ্নের ত্রিসীমানায় ও না।

সব সম্ভবের বাংলাদেশের পরিচয় এখন আরেকটু দৃঢ় হল আর কি!বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে যাদের ধরা হয় অন্যতম দল,স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল,মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার যেটুকু প্রতিফলন ঘটে তার অধিকাংশই এ সরকারের আমলে,…,…,…। আজ তারাই জনগনের সাথে এত বড় প্রতারনা করল। এ নিয়ে অনেক বিজ্ঞজনেরা ইতমধ্যে পত্রিকার পাতায় নিজেদের মতামত দিয়ে সরকারকে অবহিত করেছেন। আমি নিশ্চিত তা সরকারের দৃষ্টিকে এড়াতে পারেনি। এবং সরকারের বর্তমান অবস্থা কি তা আমরা জানিনা।

তবে ভিতর মহলে যে একটা মাছবাজারের মত অবস্থা হয়ে যাচ্ছে তা মোটামুটি নিশ্চিত বলা যায়। না হলে সরকার এখনো চুপ থাকতে পারেনা। এ ঘটনার নৈপথ্যে কারা রয়েছেন কিংবা কোন অপশক্তি রাষ্ট্রপতিকে এত বড় স্বিধান্ত নিতে বাধ্য করেছেন তাদের মুখোশ উম্মোচন করেন বা নাই করেন অন্তত পক্ষে এ ক্ষমা ফিরিয়ে নিন,জনগনকে ভীতির হাত থেকে বাচিয়ে একটু স্বস্তির নিশ্বাস নিতে দিন,নিজেদের ভুল স্বীকার করে জনগনের উপর নিজেদের আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুন এবং সরকারের উপর ঐ তৃতীয় শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে নিজেদের মুক্ত করুন এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিন। আমি রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কোন খারাপ মন্তব্য করবো না,তবে তার বার্ধক্যকে কেন্দ্র করে হয়ত কোন ভাবে তার দৃষ্টি এড়ানো হয়েছে বা ভবিষ্যতে এড়ানোর সুযোগ যাতে নিতে না পারে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেয়া যেতে পারে। আমি জানি আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াসে কিছুই হবে না।

তবে তারুন্যের মনে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে তাই বা কম কিসে?তারুন্যের শক্তি একহলে সব কিছুই তাদের দখলে একথা সবার জানা। সুতরাং এ বিষয়ের সুষ্ঠ পরিসমাপ্তি যদি অতিশীঘ্রই না ঘটে তবে তারুন্যের একতা হয়ত এর বিরুদ্ধে মাঠে নামবে। এ কোন হুশিয়ারি নয় এ আপনারই স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ,ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে বিভোর একদল স্বপ্নযাত্রী। কিছুদিন আগে প্রথম আলোরই এক ম্যাগাজিনে এক প্রবাসী বাঙ্গলীর ক্ষমার মহৎ দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হল। তাকে যে খুন করতে চেয়েছিল তিনি তার পক্ষে অবস্থান নিয়ে আইনি লড়াই চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন,তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন,স্থাপন করেছেন এক বিরল দৃষ্টান্ত,যেটি প্রবাসে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছিল।

আমাদের রাষ্ট্রপতি কি সে প্রবাসী ভদ্রলোকের পথ অবলম্বন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চেয়েছেন কিনা জানিনা। আর সে হিসেব করলে বোধহয় ফাসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত কারাগারে সব আসামীকেও ক্ষমা করে দেয়া উচিত ছিল। তবে রাষ্ট্রের কর্তার আসনে বসে এ মহৎ গুনের প্রকাশ তিনি না ঘটালেও পারতেন!!!!!!!!!!!!!! [বিঃদ্রঃ-মহামন্য রাষ্ট্রপতির মনঘাত হলে ক্ষমা প্রার্থী] ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।