আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৩৪ আঙ্গুল বিশিষ্ট শিশু - প্রতি হাতে ৭টি এবং প্রতি পায়ে ১০টি করে মোট ৩৪টি আঙ্গুল

মানুষের জীবনে রোগ-শোক-জরা-ব্যাধি-মৃত্যু-হারানো থাকবেই... কিন্তু সবকিছু থেকে বড় হলো 'বেচেঁ থাকা' ... এই বেচেঁ থাকা দিয়ে সব কিছু জয় করতে হবে । অনেকে জন্ম নিয়েই রেকর্ড করে ফেলে গিনেস বুকে নাম উঠে যায় এমনই এক শিশু জন্মের এক বছর পরই বিশ্ব রেকর্ড করেছে হাত ও পা মিলিয়ে মোট ৩৪টি আঙ্গুল নিয়ে জন্মগ্রহণ করে সে ভেঙেছে বিশ্ব রেকর্ড আক্সাত সাক্সেনা নামের এ শিশুটির জন্ম ভারতের উত্তর প্রদেশে। তার প্রতি হাতে ৭টি এবং প্রতি পায়ে ১০টি করে মোট ৩৪টি আঙ্গুল রয়েছে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের মুখপাত্র এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে এত আঙ্গুলের মাঝেও সাঙ্নোর বৃদ্ধাঙ্গুলি খুঁজে পাওয়া যায় না।

অর্থাৎ হাতে ৭টি করে আঙ্গুল থাকলেও তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নেই। শল্যচিকিৎসকরা সিরিজ অপারেশন করে তার অতিরিক্ত আঙ্গুল কেটে ফেলেছেন। চিকিৎসকরা কেটে ফেলা এ আঙ্গুল দিয়ে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নির্মাণের চেষ্টা করছেন। সাক্সেনার মা জানান, প্রথম সন্তান হিসেবে আমার সন্তানকে দেখে আমি বেশ খুশিই হয়েছিলাম। কিন্তু তার ৩৪ আঙ্গুল দেখে আমি রীতিমত বিস্মিত হয়ে গেলাম।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় পলিড্যাক্টাইলি। এটা একধরনের জেনেটিক ডিজঅর্ডার। যা এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে সঞ্চারিত হতে পারে। সাক্সেনার মা জানান, তার এক পারিবারিক বন্ধু জানিয়েছেন যে তিনি ইন্টারনেটে ৩১ আঙ্গুল বিশিষ্ট চীনা শিশু দেখেছেন। কিন্তু সাক্সেনা তার থেকেও স্পেশাল।

তখন তিনি জানালেন যে, আমার সন্তান বিশ্ব রেকর্ড ভেঙেছে। প্রথমে আমি মোটেই বুঝতে পারিনি। আমার সন্তান বিশ্ব রেকর্ড করেছে এটা বিশ্বাস করা কঠিন ছিল। কিন্তু পরে আমার ওই বন্ধুটি ও আমার স্বামী মিলে ইন্টারনেটে সাঙ্নোর ডাটা নিবন্ধন করে। এর আগে এক চীনা শিশু হাতে ১৫টি ও পায়ে ১৬টি মোট ৩১ আঙ্গুল নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিল।

ওই শিশুটিরও অতিরিক্ত আঙ্গুলগুলো অপারেশনের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে তার ২০টি আঙ্গুল রয়েছে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।