আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাভ ইস নাথিং জাস্ট মিসিং ০২

তবু তুই রয়েছিস বলে, ঘাসফুলে জল দোলে... সকালে অফিসে যখন আমার ডেস্কে বসলাম, তখন থেকেই শুরু। খুব পরিচিত একটা গন্ধে ভিতরটা কেমন কেমন করে উঠছিলো। ঘ্রাণটা পেতাম তোমার মুখের খুব কাছাকাছি গেলে। তোমার ঠোটে ঠোট রেখে যখন চোখ দুটো স্বর্গ সুখে বন্ধ করে দিতাম, তখনও পেতাম ঘ্রাণটা। ঘ্রাণটা পেতাম একসাথে গোসল করার সময়ও।

কিন্তু এখন এই অফিসে সেই ঘ্রাণ কোত্থেকে! বুকের ভিতর ধক ধক করে। সাউন্ডও হয় হয়তো! আমি ঘ্রাণের উৎস পাইনা। এয়ার কন্ডিশনড রুমে বসে টুকটাক কাজ করছিলাম। আর ভাবছিলাম তোমাকে। মাথার ভিতরে তোমার পোকারা পরিচিত যন্ত্রণায় কিটকিট করে কাটছিলো ভাবনাদের।

ভাবতে মন চাইছিলো- তুমিও কি এমন আবেলায় আমাকে একটু আধটু ফিল করো? মিস করো? হঠাৎ সেলফোনটাতে টুটু টুট টু টুট করে এসএমএস একটা এসেই পড়ে কিনা! Just missing u jan! নাহ, ভাবনাদের আজ আর এতোদূরে নিয়ে যেতে পারিনা। অবশ্য আলোকবর্ষের দূরত্ব ভাবনাদের দূর্বল শক্তিতে অতিক্রম করা সম্ভবও না। আমি যাই-ই না ওদিকে... ঘ্রাণটা মাথায় ভূত চাপিয়ে দেয় একেবারে! আমার হাতের তালুতে-পিঠে নিজের অজান্তেই চুমু দিয়ে ফেলি কয়েকটা। এই হাত ধরেই তো ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতে তুমি। এই হাত-ই তোমার সারা দেহে খুজে ফিরতো অচেনা রাজ্যের হাজার মণি মাণিক্য।

হাত দুটোকে হঠাৎ করেই আপন লাগে খুব! পরম মমতায় হাত দুটোকে বুকের উপর টেনে আনি। মনে হয় যেনো, তুমি ই তো আমাকে হাত দুটো গিফট করে গেছো! তোমাকে একটা ফোন দেবার জন্য ভিতরটা আক্ষরিক অর্থেই ছটফট করে। ফোনটা হাতে নিয়ে তাকিয়ে থাকি স্ক্রীনে। ফোন কি দিব? দিলে কি তুমি ধরবে? নাকি- ব্যস্ত আছি। ফোন করছো কেনো আমাকে? এসব বলে তুমি খটাস করে কেটে দিবে লাইন? ফোন আর দেয়া হয়না আমার।

হয়-ই না। ইচ্ছাটাকে গলা টিপে মারতে পারিনা। তবে পা ধরে বুঝিয়ে সুঝিয়ে থামাতে পারি। এখন অবশ্য দিনে কয়েকবারই এরকম হয়। ইচ্ছাদের সাথে তাই অনেক অভিমান জমে যাচ্ছে।

ইচ্ছাদের দমিয়ে রাখতে পারলেও ঘ্রাণটা ভুলতে পারিনা। কিভাবেই বা ভুলবো! নাকের ছিদ্রপথে ঘ্রাণটা যে আসছেই! আমি ভাবতে বসি কোত্থেকে আসে ঘ্রাণটা। ... ওহ হো! আজ তো সকালে আমি ডাভ সাবান দিয়ে গোসল করেছি। তরিকের সাবান ছিলো। আর সেই সাবানের ঘ্রাণই এটা।

তুমি তো সব সময়ই ডাভ ইউস করতে...! কিন্তু গোসল করার সময় তো পেলাম না এই ঘ্রাণ! বহু কষ্ট করে, সাধনা করে তোমাকে ভুলতে চাই আমি- কিন্তু বারবার তুমি কোনো না কোনোভাবে চলেই আসো... ভিতরটা গভীর শূন্যতায় হুহু করে উঠে। আচ্ছা, তুমি কি এখনো ডাভ ইউস করো? আমি এখন থেকে করবো। তোমার ঘ্রাণটা পেতে আমার খুবই ভালো লাগে। দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাতে না পারলাম, জলের তো আর অভাব নেই! ০২ তুমি ভালো থেকো। আমি সুন্দর আছি।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।