আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেখ হাসিনা'র জনপ্রিয়তা বাড়ছেই :-)

বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসি'র রায় হইছে শুইনা মনে হইছিল, যাক ন্যাজ্য বিচার হইছে। এই রায়ের অপেক্ষায় আছিল গোটা জাতি বিশেষত শহিদ পরিবার বিগত ৪২ বছর। এখন একটা একটা কইরা রায় হইব আর রাজাকারগুলারে ফাঁসিতে লটকাইব। দেইখা চোখ জুড়ামু। ওমা কাদের মোল্লার ফাঁসি হইল না! এইডা কেমনে সম্ভব! কাদিরাতো রাজাকারিতে বাচ্চু রাজাকারের বাপ।

ওর ফাঁসি হয়না কেমনে! তাইলে কি ধইরা নিমু বাচ্চু রাজাকারে ধরা পরেনাই (নাকি পালানোর সুযোগ দেওয়া হইছে) দেইখা ফাঁসি হইয়া গেল? কাদিরায় পলাইতে পারলেতো তাইলে অরও ফাঁসি হইত না! সরকারেতো জব্বর খেইল দিছে! যেইডায় হাতের মুঠায় পইরা রইছে ঐডার হইল যাবজ্জীবন। আর যেইডা পলাইয়া রইছে হেইডার হইল ফাঁসি। সাব্বাস ;-) জামাতে'র বলদগুলি খেইলডা ঠিকমত ধরতে পারলে আর সময় থাকতে (প্রজন্ম চত্বরের জন্মের আগে) আতাত করতে পারলে কাদিরাওতো মনে হয় পার পাইয়া যাইত। মর শালা গর্ধবের দল। পইরা রইছে বেইল ছাড়া বিএনপি'র লগে।

ভাবটা এমুন যে মনেহয় আওয়ামিলীগের সাথে আতাত করলে বিএনপি'র সাথে বেইমানি করা হইব। আরে বেডারা ৮৬তে আওয়ামিলীগের সাথে আতাত করছিলি না? তাতে তগো কোনও ক্ষতি হইছে? বরং তগো লগে আতাত কইরা স্বৈরাচারের পাতানো নির্বাচনে অংশ নিয়া আওয়ামিলীগ জাতীয় বেইমান হইছে। তাতেই বা ক্ষতি কি? জানোসনা রাজনীতিতে শেষ কথা বইলা কিছু নাই? ৯৬এও তরা আওয়ামিলীগের সাথে আতাত করছস। কিন্তু তারপরেও বিএনপি তগো বুকে টাইনা নিছে। মন্ত্রী বানাইছে।

যেই পতাকার লগে বেইমানি কইরা রাজাকার হইছস সেই পতাকা গাড়িতে উড়াইতে দিছে। আর কি চাস? কইছি তো, রাজনীতিতে শেষ কথা বইলা কিছু নাই। ৭১এ রাজাকারি করছোস, মুক্তিযোদ্ধাগুলারে মারছোস, মা-বইনে'র ইজ্জত লইছোস। কিন্তু তাতে কি। ঐগুলা পুড়ান ইতিহাস।

যুদ্ধে ঐরকম হয়ই। তাই বইলা ৭১ ৭১ কইরা গলা ফাটাইলে চলব? প্রয়োজনে আবার রাজাকারি করবি। ক্ষতিত নাই। আওয়ামিলীগ- বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার লাইগা তগরে বুকে টাইনা লইবই। এই গ্যারান্টি আমি দিলাম :-)) কিন্তু ভ্যাজাল একটা বাজছে।

প্রজন্ম চত্বর থিকা যেমনে ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই করতাছে তাতে বাধ্য হইয়া সরকারে দেলু রাজাকারের ফাঁসির রায়তো দিয়াই দিল। এখন জামাত-শিবিরে শুরু করছে তান্ডব। সাথে ছাত্রলিগে'র সোনার ছেলেরাতো আছেই। কেউ খুন হইলেই চালাও জামাত-শিবিরের নামে। জোয়ার চলতাছেতো।

খালি মারো, জালাও-পোড়াও আর নাম দেও "এসব জামাত-শিবিরে'র কান্ড"। ব্যাস, প্রজন্ম চত্বর থিকা হুক্কাহুয়া রব উইঠা যাইব। ঐদিকে চলতাছে সমাবেশে পটকা ফুটাও, আর ডাক দেও হরতাল। সাথে সাথে প্রজন্ম চাত্বরের হুংকার শোন, "আমরা এই হরতাল প্রতিরোধ করব"। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী'র কান্ডটা দেখেন! এমন মিডিয়া কাভারেজের ফাক দিয়া কেমনে বিএনপি'র কার্যালয় থিকা টাপাটপ তাজা বোম বাইর কইরা ফালাইল! মাখোনরে ভাই, পুড়াই মাখোন।

দেশ চালাইতাছে সব মাখোনেরা, আর আমরা অন্ধ :-) কিন্তু রাজিবরে বলে জামাতে মারে নাই! পত্রিকায় এইডা কি কয়? আর ত্বকি'রে বলে মারছে আওয়ামিলীগে'র ৫ খলিফার এক খলিফা শামিম ওসমানে? আমি অবস্য বিশ্বাস করিনা। এইগুলা মানি লোকের মান হানির চেষ্টা। নারায়নগন্জের মেয়র আইভি আপা বিশ্বাস করতে পারে। আমি করিনা ;-) জয়নাল হাজারিরে আমগো বুবুজানে দেশ প্রেমিক কইছিল। আমি কিন্তু ভুলি নাই :-)) মরার উপরে খারার ঘা! সামনে আইতাছে গোলাম আজমের বিচারের রায়।

কি বিপদ। ৯৬এ আমাগো বুবুজানে তার পা ধইরা ছালাম করছিল আর দোয়া নিছিল। বদমাইস পত্রিকাগুলা দিল তা ছাপাইয়া। এইবার ঠেলা সামলাও। একমাত্র মাইয়ার দিকের নিকট আত্বীয়।

প্রজন্ম চত্বরের বখাটেগুলার চিল্লানিতে তো মনেহয় তারেও ফাঁসি দেওন লাগবো। এই বিপদ কেমনে সামলাই। তার চাইতে টালটি বালটি কইরা কোনও রকমে মেয়াদ উত্তীর্ন করতে পাড়লে এই মুলা ঝুলাইয়া আবার ক্ষমতায় আসা যায়। অবস্য তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন মানেতো হইলো আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি (কাকে খুশি) তাকেই দিব। আর ক্ষমতায় আবার আসলে ততদিনে এইসব প্রজন্ম চত্বর ফত্বর কই মিলাইয়া যাইব।

তখন আবার চিন্তা করা যইব কারে ফাঁসি দিলে পাবলিকের কি প্রতিক্রিয়া হয়। কিন্তু বেকুব খালেদা জিয়া। জামাত-শিবির-ছাত্রলীগ-পুলিশে'র মারামারি। মানুষ মরে পাখির মত। জামতে পুলিশ মারছে ৭ টা।

পুলিশে জামাত-শিবির মারছে ৭০টা আর সাধারন মানুষ মারছে ১০টা (সরকারি হিসাব। আসল হিসাব? মাফ চাই)। এইডারে কি গনহত্যা কওয়া যায়? ভাই গনহত্যা হইছে ৭১এ। ৩০ লক্ষ মানুষ মরছে। আর এইখানে মরছে ৮০ টা।

ছ্যা! লাখ খানেক মরলেও একটা কথা ছিল। তার উপরে পুলিশের বন্দুক হইলো ফিক্সড্। বুকের নিচে নামেনা আর মাথার উপরে উঠেনা। পুলিশ তো মানুষ মারতে চায় নাই। কিন্তু ফিক্সড বন্দুক।

কেমনে কি করে ;-) আর এই হত্যারে খালেদায় চালাইতে চায় গনহত্যা কইয়া। ছি! তার উপরে আবার প্রজন্ম চত্বররে কথা শুনায়। আরে ভাই প্রজন্ম চত্বরে এখন আর আসল উদ্দক্তারা নাই, মানলাম। কিন্তু প্রজন্ম চত্বর না জাগলে দেলু রাজাকারের ফাঁসি হইত? এইডা কি কোনও সাফল্য না? আর আপনে তা মানেন না! তাইলে তো বুবুজানে যে কথায় কথায় কয় আপনে যুদ্ধাপরাধীগো দলে মিশা যুদ্ধাপরাধীগো বাচানের সকল চেষ্টা করতাছেন সেইডাইতো সত্য হইল। প্রজন্ম চত্বর ও একই কথা কইছে।

আপনে চান গনহত্যার বিচার আর বুবুজানে চায় যুদ্ধাপরাধীগো বিচার। জনপ্রিয়তা তো বুবুজানের বারবোই! তাইলে আপনেই কন, প্রজন্ম চত্বর এখন কে চালায়; সরকারে নাকি পাবলিকে? ইমরান এইচ (সরকার) কি পাবলিক না ;-) তার আশেপাশে সব সরকারি লোক সেইটা মানতে রাজি আছি। কিন্তু তবুও। প্রজন্ম চত্বররে সরকারে যতই কলংকিত করুক ভিতরে খুইজা দেখেন, ৯০% লোক ন্যজ্জ দাবি আদায় করতেই বইয়া রইছে। তারা হয়ত জানেনা কি চাল চলতাছে ঐখানে।

জানার দরকারও নাই। তারা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চায়। এইডাই শেষ কথা। ১০%রে অপমান করেন, কিছু কমুনা। কিন্তু ঐ ৯০%রে অপমান করার অধিকার আপনের নাই।

জয় বাংলা..................... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।