আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর দৃষ্টি ফিরে পাবেন না রুমানা

যুক্তি আনে চেতনা, আর চেতনা আনে সমাজ পরিবর্তন সম্ভাবনার শেষ আলোটুকুও নিভে গেল। কানাডার ভ্যানকুভার জেনারেল হাসপাতালে তার দু'চোখে অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা জানালেন, রুমানা মঞ্জুরের চোখে আলো ফেরার কোনো আশা নেই। কোনোদিনই দেখতে পাবেন না তিনি। শুক্রবারই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হলেও বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল রুমানার কাছে। গতকাল শনিবার তিনি দুঃসংবাদটি জানার পর ভীষণভাবে মুষড়ে পড়েন।

রুমানার স্বজনদের সূত্রে এ খবর জানা গেছে। রাজধানীর ধানমণ্ডির বাসায় গত ৫ জুন স্বামী হাসান সাইদের নির্যাতনের শিকার হন রুমানা। রুমানার আত্মীয় রাশেদ মাকসুদ সমকালকে বলেন, কানাডায় বৃহস্পতিবার রাতে ডান চোখে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ছয় সদস্যের একটি দল চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এ অস্ত্রোপচার করেন। এরপর হতাশ কণ্ঠে তারা জানান, চোখটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।

গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অপটিক নার্ভ, যা কোনোভাবেই সারিয়ে তোলা সম্ভব নয়। এর আগে মঙ্গলবার রুমানার বাঁ চোখে অস্ত্রোপচারের পরও একই মত ব্যক্ত করেন চিকিৎসকরা। সূত্র জানায়, রুমানার বাঁ চোখ পুরোপুরি নষ্ট ও ডান চোখ সেরে ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে আগেই মত দিয়েছিলেন বাংলাদেশের চক্ষু বিশেষজ্ঞরা। পরে ভারতের চেন্নাই ও পণ্ডিচেরীর দুটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেন, অলৌকিক কিছু না ঘটলে ডান চোখেও আলো ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই। এরপর রুমানার চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে পাঠানো হয়।

তাদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার দুটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা একবার অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। এর ভিত্তিতে রুমানার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার (ইউবিসি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভ্যানকুভার হাসপাতালে চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করেন। ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক রুমানা মঞ্জুরকে নির্যাতনের ঘটনায় তার স্বামী হাসান সাইদকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। চার দফায় ছয় দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রিমান্ডে তিনি নির্যাতনের কথা স্বীকার করলেও আদালতে কোনো জবানবন্দি দেননি।

বর্তমানে মামলাটির অভিযোগপত্র (চার্জশিট) তৈরির কাজ চলছে। লিঙ্ক ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।