আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সালিসে নির্যাতনের শিকার সেই মেয়ে ও তাঁর বাবা ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে.....

মাদারীপুরের শিবচরে সালিসে নির্যাতনের শিকার সেই মেয়ে ও তাঁর বাবা ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সালিসে ওই ছাত্রীকে দোররা মারা ও তাঁকে বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র (টিসি) দেওয়ার ঘটনায় জড়িত প্রধান শিক্ষক ও ইউপি চেয়ারম্যান তাঁদের মীমাংসা করার জন্য হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, ‘সালিসকাররা আমারে তাগো লগে মীমাংসা অইতে চাপ দিতাছে। তারা আমারে নানাভাবে ভয় দেখাইতাছে। আমি এহন তাগো ভয়ে বাড়িতেই থাকতে পারি না।

মাইয়াডারে নিইয়া অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিছি। পুলিশ স্কুলে যাওয়ার ব্যবস্থা করলেও এখন যাওয়া বন্ধ হইয়া গেছে। ’ ওই ছাত্রীর বাবা আরও অভিযোগ করেন, তিনি ২৯ জুন সালিস বৈঠকে তাঁর মেয়েকে দোররা মারা ও স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ের পাশাপাশি ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ শুধু ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা নিয়েছে। পুলিশ সুপার মো. নজরুল হোসেন বলেন, ‘সালিসকারদের বিরুদ্ধে ভিন্ন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

বখাটে রাসেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার তদন্তে যদি তাঁদের (সালিসকার) দোষ প্রমাণ হয়, তবে তাঁদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। ’তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েটির পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা এখন বাড়ি থাকতে পারে না, ব্যাপারটি আমি শুনি নাই। তবে এমন হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

’ ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান ও প্রধান শিক্ষক সুলতান মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। শিবচর উপজেলার চরজানাজাত ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গত ৯ জুন বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ইরাই হাওলাদারের কান্দি এলাকার দিপু গাছির ছেলে রাসেল গাছি ধর্ষণের চেষ্টা করে। এমন অভিযোগ তুলে বিচার চাওয়ায় ২২ জুন গ্রাম্য সালিসে স্থানীয় চেয়ারম্যান বজলুর রহমান ও প্রধান শিক্ষক মো. সুলতান মাহমুদ ‘চরিত্রহীন’ অপবাদ দিয়ে ওই ছাত্রীকে ৫০টি দোররা মারা ও তাকে টিসি দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই ছাত্রীর বাবাকে দিয়ে তাকে দোররা মারা হয়। এ নিয়ে গত ১ জুলাই প্রথম আলোয় ‘মাদারীপুরের পল্লিতে ছাত্রীকে দোররা, স্কুল থেকে বহিষ্কার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে হওয়া মামলার আসামি রাসেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।