আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১ মাসেও ধরা পড়েনি পলাতক স্কুল পিওন থানায় মামলা দিয়েও দুশ্চিন্তায় ভোগছেন স্কুল শিকিা

আমি সততা ও স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অর্থ আত্মসাৎকারী পিওনের বিরোদ্ধে থানায় মামলা দিয়েও দুশ্চিন্তায় ভোগছেন এক স্কুল শিকিা। এদিকে টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ১ মাস অতিক্রম হলেও এখনো পর্যন্ত ধরা পড়েনি স্কুল পিওন সুয়েব আলী (৫০)। বিষয়টি নিয়ে স্কুল শিকিা শান্তা কানু ক্রমশ দুশ্চিন্তায় ভেঙ্গে পরছেন। অপরদিকে প্রশাসনের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে জনমন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে।

স্কুল কর্তৃপ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তায় অনেকভাবে চেষ্টা করেও যখন পলাতক পিওনের সন্ধান পাওয়া যায়নি তখন বাধ্য হয়ে শিকিা শান্তা কানু থানা পুলিশের দারস্থ হন এবং একটি অভিযোগ জমা করেন। থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল্লাহ অভিযোগপত্রটি ফিরিয়ে দিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেন। নিরোপায় হয়ে শিকিা গত ১৩ জুন থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলার স্মারক নং- ২১৪৪০/১ তাং- ১৩/০৬/১১)। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে মামলাটি অদ্যাবধি থানার এজাহারবন্দী রয়েছে। ‘মামলার কাগজে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে এসআই মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি কোন ধরণের তদন্ত কাজ চালিয়েছেন কিনা জানেন না’ এমন অভিযোগ করেছেন শিকিা শান্তা কানু।

ফলে আসামী গ্রেফতার ও মামলা পরিচালনার বিষয়টি নিয়ে মারাত্মক দুশ্চিন্তায় ভোগছেন তিনি। এদিকে ব্যাক্তিগতভাবে পিওন সুয়েব আলীর বোন ও বোনের জামাতার দুইটি মোবাইল নম্বরে অনবরত ফোন করে সুয়েব আলীর অবস্থান সম্পর্কে ধারণা নিতে চাইলে ফোন রিসিভ করেই কেঁটে দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। পুলিশ ইচ্ছে করলেই সুয়েব আলীকে ধরতে পারে। কিন্তু কেন ধরা পড়ছে না, এ নিয়ে শুধু শান্তা কানুই নয়, ভাবছেন এলাকাবাসীসহ স্কুল কর্তৃপ। ‘থানায় পয়সা দিলে সব হয়’ এমন উক্তি করে অনেকে আবার শান্তা কানুকে পুলিশের পেছনে টাকা খরচের বুদ্ধিও দিচ্ছেন।

একদিকে জীবনের শেষ সম্বল হিসেবে প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে তোলা টাকার চিন্তা অন্যদিকে নানান মানুষের নানান পরামর্শ আর থানার অসহযোগীতাপূর্ণ মনোভাব। সব মিলিয়ে শিকিা শান্তা কানু ক্রমশ ভেঙ্গে পরছেন। যাকে দেখছেন তাকেই তার ফোন নম্বর (০১৭১২-৪২৫২১৬) দিয়ে বলছেন, ‘সুয়েব আলীকে পেলেই আমাকে একটু জানাবেন প্লিজ’। উল্লেখ্য, শ্রীমঙ্গল উপজেলার উদয়ন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিওয় শিকিা শান্তা কানু স্বারিত প্রভিডেন্ট ফান্ডের একটি চেক (চেক নং-৫৯৩৫৫৮৬) দিয়ে ৬ জুন স্থানীয় পুবালী ব্যাংক হতে উনপঞ্চাশ হাজার টাকা উত্তোলন করে পালিয়ে যায় একই বিদ্যালয়ের পিওন মো. সুয়েব আলী। পলাতক সুয়েব আলী শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের বিরাইমপুর এলাকায় একটি কলোনীতে পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করতো।

গত ৬ জুলাই থেকে সে স্বপরিবারে পলাতক রয়েছে। পলাতক সুয়েব আলী কমলগঞ্জ উপজেলার কেরামতনগর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মৃত ছোবহান আলীর ছেলে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।