আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেখ হাসিনার এখন যা করা উচিত !(ব্যাক্তিগত উপলব্ধি)

uব্লগিং করলে নাকি জাতে উঠা যায় !জাতে ওঠার তীব্র আকুলতায় আমি আওয়ামীলীগকে কেন সমর্থন করি ? কারন একমাত্র আওয়ামীলীগই হল নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে তৃনমুল পর্যায় হতে গঠিত একটি রাজনৈতিক দল । বিএনপি আর জাতীয় পার্টি ভুমিষ্ট হয়েছে জলপাই রংয়ের উর্দির গায়েবী ইশারায় । আর জামায়াত তো বাংলাদেশের অংশই না । এছাড়া ডান বাম ডিঙ্কা চিকা কিছু দল আছে ক্ষমতায় বসার চেয়ে ক্ষমতায় যাবার সিড়ি হতেই বেশী পছন্দ করে । মেনে নিলাম হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ! দ্বিতীয় কারন হল, আওয়ামীলীগ অন্তরে কি ধারন করে জানি না তবে অন্তত মুখে মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করে ।

আর অন্য দল ধারন করা তো দুরের কথা প্রকান্তরে এই চেতনায় বারন করে । যেহেতু আমি নিজেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করি তাই মন্দের ভালো হিসাবে আওয়ামীলীগকে সমর্থণ করি । ৫ সিটি কর্পোরেশনে পরাজয়ের পর এটা স্পষ্ট প্রতিয়মান যে, কেবল মাত্র উন্নয়নই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট নয় । খুলনা বরিশাল সিলেট রাজশাহী গাজীপুর (টঙ্গী) এর বিদায়ী মেয়রগন নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে যথেষ্ট ভুমিকা রাখার পরেও তুলনামুলক কম জনপ্রিয় এবং যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যাক্তিরাই জয়লাভ করেছে । সোজা কথায় বলতে গেলে অধিকাংশ মানুষ এখন আওয়ামীলীগকে পছন্দ করছে না ।

বিশেষ করে দোদুল্যমান ভোটারদের আওয়ামীলীগ নিজের দখলে আনতে পারছে না । সাধারন মানুষ বিম্পি জামাতকে ভালবেসে ভোট দিচ্ছে না তারা দিচ্ছে আম্লিগের উপর ঘৃনা করে বিশ্বাস হারিয়ে । এই নেতিবাচক ভোটারই নির্বাচনি ফলাফলে চরম প্রভাব ফেলছে । আম্লিগ এখন যাই করবে কোন কিছুই মানুষ গ্রহন করবে না । শেখ হাসিনা যদি এখন ঘরে ঘরে সবাইকে ১ কেজি করে সোনাও খাইয়ে আসে তাহলেও তারা সন্দেহ করবে ।

সাধারন মানুষ প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে আওয়ামীলীগের নেত্রী শেখ হাসিনাকে বেশী পছন্দ করে । আমাদের সরকার গুলো হয় দলভিত্তিক । রাজনৈতিক দল এবং সরকার এই দুটো জিনিসকে আমরা পৃথক করতে পারি নি । সার্বিক ভাবে দেশের উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে আওয়ামীলীগের বিকল্প নেই । যদিও কথাটি তালগাছবাদী হয়ে গেল তারপরেও এটাই সত্যি ।

জাতি হিসাবে আমাদের ভরসার জায়গা খুব কম । বিকল্পগুলো তুলনামুলক বেশী খারাপ । দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে যখন বেশীর ভাগ মানুষই বিভিন্ন প্রচার প্রপাগান্ডায় বিভ্রান্ত হয়ে নিজেদের প্রতি বিশ্বাস হারাচ্ছে তখন জননেত্রী হিসাবে শেখ হাসিনার আরো একবার এগিয়ে আসতে হবে । যদি আওয়ামীলীগ তথা দেশকে কোন ভবিস্যত ভয়ংকর অবস্থার হাত থেকে বাচাতে হয় তবে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে এখনই সরে আসতে হবে । যদিও সময় কম তারপরেও নির্ভরযোগ্য কারও কাছে মন্ত্রিত্বের ভার দিয়ে তাকে দলের হাল ধরতে হবে ।

আশরাফ কিংবা হানিফ দিয়ে কতটুকো কি হয়েছে তা ইতিমধ্যেই প্রমানিত । আম্লিগের পরাজয়ে বিদ্রোহীদের ভুমিকা কম নয় । আর পত্রিকার কল্যানে জাহাঙ্গীর,আইভি রহমান,কিংবা পানু জাতীয় নেতা বনে গেছেন । শেখ হাসিনা দায়িত্ব নিলে এই বিভক্তিগুলো খুব দ্রুতই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে । তাছাড়া ক্ষমতা ছেড়ে সাধারন কাতারে নেমে আসলে বাঙ্গালীর চিরাচরিত অহংবোধ কমে যাবে ।

এসি রুমে বসে কেউ উন্নয়নের বাম্পার ফলনের গল্প শোনালে মানুষ শুনবে না । রাজপথে পথে নেমে মাথায় হাত বুলিয়ে তাকে শোনাতে হবে । তার ভবিস্যতের স্বপ্ন দেখাতে হবে । মানুষ বিম্পি জামাতকে ভালবাসে না কিন্তু আম্লিগকে এখন ঘৃনা করে । এই ঘৃনাটুকো দুর করলেই হবে ।

আর সেটা করতে হবে সাধারন মানুষের কাতারে । দেশের জন্য,মানুষের জন্য এইটুকো আমাদের নেত্রী করবেন বলেই আমার বিশ্বাস ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।