আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কবি নজরুলের অকৃত্রিম রসিকতা- প্রাণখেলা কবির সরলতা

তরুণ নামের জয়মুকুট শুধু তাহার, বিপুল যাহার আশা, অটল যাহার সাধনা কবি নজরুল তখন থাকেন কৃ নগরে। তার বন্ধু মঈনুদ্দীন থাকেন বেচু ঠাকুরের গলিতে কারমাইকেল কলেজের হোস্টেলের পেছনে। তিনি একদিন দাওয়াত করলেন কবি নজরুলকে। সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। কবিবন্ধু মইনুদ্দীনের বাসায় আয়োজন।

খুব আহামরি কিছু নয়, তবে অন্যদিনের চেয়ে ভালো। নজরুল এলেন। সোজা ঘরের ভেতর ঢুকে গেলেন। তারপর ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকলেন মঈনুদ্দীনের ঘর। কবি জিজ্ঞেস করলেন, এটা কিরে? বন্ধুর উত্তর- রান্নাঘর।

-আর ওটা? -ওটা হলো পায়খানা। কবি বলে উঠলেন, দূর শয়তান! পায়খানা কিরে? বল যায়খানা। খানাতো ওখান দিয়েই যায় রে!!’ এটুকু বলেই হাসি। সে কী বিরাট প্রাণখোলা হাসি কবির। তার হাসির আওয়াজে জানালার কার্ণিশের আড়ালে বসে থাকা কবুতর পাখা মেলে ঝটপট করে উড়ে গেল।

কবির বন্ধু মঈনুদ্দীনের স্ত্রী তখনো ছোটখাটো কিশোরী। তাকে দেখে বললেন, ‌আরে, এত ছোট বিয়ে করেছিস তুই? দেশ থেকে আনতে ওর হাফটিকিট লেগেছিল?’ বন্ধুর স্ত্রী লজ্জায় ঘোমটা টেনে হাসি লুকিয়ে রাখলো। তারপর আহারের পালা। কবি খেতে বসে বললেন, কৈ রে ডাল কোথায়! তুই যে বললি, ডাল ভাত খেতে হবে। ’ মঈনুদ্দীন বললেন, পোলাওয়ের সাথে আমরা ডাল খাইনে।

গোশতের সুরুয়া দিয়ে গলা ভিজিয়ে নিন। ’ আবারও হো হো করে হেসে উঠলেন কবি। তারপর বললেন, অনেক দিন মুসলমানি খানা খাইনি রে, আজ খেয়ে ভারী আরাম পেলাম। ’ বাংলার বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এভাবেই অকৃত্রিম সরলতায় মিশে যেতেন তার বন্ধুদের সাথে। এমন আরও কিছু ঘটনা আসবে সামনের পর্বগুলোতে।

প্রিয় কবির ব্যক্তিজীবনের নানা অধ্যায় নিয়ে ধারাবাহিকের আগের পর্বগুলো চালচলনে কবির রুচি ও সৌন্দর্যবোধ ভদ্রতা দেখাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন কবি নজরুল কেন এবং কীভাবে এ ধারাবাহিক.. চলুন, কাজী নজরুলকে দেখে আসি কলকাতা থেকে.. নজরুলের রক্ত নেয়া হলো না... কিন্তু কেন?? পাগলের গলায় গান ধরালেন কবি নজরুল কবি কাঁদলেন এবং বদলে গেলেন যে ঘটনায় কবি নজরুলের অদ্ভূত কান্ড কারখানা যেভাবে তৈরী হতো তার গান-গজল.... কাজী নজরুলের খেয়ালখুশী কবির ঢাকা ভ্রমণের বিচিত্র কান্ড কারখানা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন কবি কিন্তু ফলাফল!!! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।