আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এসব অশুভ দিনের শেষ কোথায়?

আমাদের দেশ আমাদের সম্পদ শ্যালিকার প্রেমে স্ত্রীকে কীটনাশক পুশ করে হত্যা! ঝিনাইদহ: ‘স্ত্রীর ছোট বোনকে ভালোলাগার কারণে স্ত্রী আয়েশার শরীরে কীটনাশক পুশ করি। কিছুক্ষণ পর বিষক্রিয়ার ছটফট করতে থাকলে আমি তার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করি। ’ এভাবেই শত শত গ্রামবাসীর সামনে নিজ স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ইদ্রাপুর গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম। স্ত্রীকে হত্যার ২১ দিন পর রোববার রাতে কোর্টচাঁদপুর উপজেলার পারলাট গ্রামে শ্যালিকা ও শ্বশুর-শাশুড়ির মন গলানোর জন্য তাবিজ-কবজ করতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়ে শ্রীঘরে গেছেন এই স্ত্রী হন্তারক শরিফুল। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এবিষয়ে কোর্টচাঁদপুর থানার অফিসার ইন-চার্জ আকরাম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ৪ মাস আগে কোর্টচাঁদপুর উপজেলার পারলাট গ্রামের ওহিদুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা খাতুনের সঙ্গে মহেশপুর উপজেলা ইদ্রাপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর শরিফুল বেশ কয়েকবার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এরই মধ্যে শরিফুলের নজর পড়ে স্ত্রীর ছোট বোন আসমার ওপর। স্ত্রী হত্যাকারী শরিফুল পুলিশকে জানান, তার স্ত্রী আয়েশাকে প্রথম প্রথম ভালো লাগলেও পরে আর ভালো লাগতো না। সেজন্য তিনি তার স্ত্রীর ছোট বোন আসমাকে স্ত্রী হিসেবে পাওয়ার চিন্তাভাবনা করেন।

কিন্তু স্ত্রী বেঁচে থাকলে সে আশা পূরণ হবে না বুঝতে পেরে স্ত্রী আয়েশাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন শরিফুল। সে মোতাবেক বিয়ের ৪ মাসের মাথায় গত ৫ জুন রাতে নিজ বাড়িতে ভিটামিন ইনজেকশন বলে স্ত্রী আয়েশার শরীরে শরিফুল নিজে ‘মর্টার’ নামে এক ধরনের কীটনাশক পুশ করেন। এর কিছুক্ষণ পর বিষক্রিয়ায় আয়শা ছটফট করতে থাকলে খাটের ওপর আয়েশার মুখের ওপর বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন তিনি। হত্যা নিশ্চিত করে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের তিনি জানান, ‘আয়েশা কেমন যেন করছে। ’ সবাই ছুটে এসে শরিফুলের ঘরে গিয়ে দেখেন আয়েশা মারা গেছেন।

এরপর আয়েশা হৃদরোগে মারা গেছে বলে প্রচার চালানো হয়। কিন্তু আয়েশার বাবা-মার সন্দেহ হলেও সবকিছু মেনে নিয়ে আয়েশার দাফন সম্পন্ন করেন। এদিকে, আয়েশা মারা যাওয়ার ২১ দিন পর রোববার রাতে শরিফুল শ্বশুর বাড়িতে এসে হাজির হন। রাতে ঘরের দরজার সামনে মাটি খুঁড়ে তাবিজ রাখতে গেলে শাশুড়ির হাতে ধরা পড়েন যান তিনি। বিষয়টি পরিবারের সদস্যসহ প্রতিবেশীদের মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলে সবাই রাতেই শরিফুলকে ডেকে তাবিজ পুঁতে রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, আসমাকে (মৃত স্ত্রী আয়েশার ছোট বোন) তার খুব ভালো লাগে।

তাকে বিয়ে করতে চান তিনি। সে জন্য আসমাসহ শ্বশুর ও শাশুড়ির মন গলাতে যশোরের কলারোয়ার এক কবিরাজের কাছ থেকে ৩শ টাকা দিয়ে তাবিজ কিনে এনেছেন। এ কথা শোনার পর আয়েশার মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে সবার মধ্যে সন্দেহ আরো বেড়ে যায়। এরপর তারা সবাই মিলে শরিফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কোনোরকম মারধর ছাড়াই শরিফুল স্ত্রী আয়েশাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরদিন সোমবার সকালে এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ মহেশপুর থানায় একটি হত্যা মামলা গ্রহণ করে।

নিহত আয়েশার লাশ উত্তোলনের জন্য পুলিশ সোমবার আদালতের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে। অপরদিকে, স্ত্রী হত্যার দায়ে শরিফুল এখন শ্রীঘরে উঠেছেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে ২/১ দিনের মধ্যে ওঠানো হতে পারে বলে মহেশপুর থানার ওসি খলিলুর রহমান জানান। সূত্র : Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।