আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খুব সহজে আপনার পিসিকে করে তুলুন গতিময় !!

নামায-আল্লাহ তা’য়ালার একটি বড় নিয়ামত ও রহমত। কাজেই যে কোন বিপদাপদ বালা মুসিবতের সময় নামাযের প্রতি মনোযোগী হওয়া প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর রহমতের উপর ভরসা করা ব্যতীত অন্য কিছু নয়। আর অসহায় বান্দা যখন সাহায্যের জন্যে মহান শক্তিমান পরম দয়ালু আল্লাহর দরবারে উপস্থিত অবহেলার ফলে অনেকসময় পিসিতে অতিরিক্ত জাঙ্ক ফাইল জমা হয়ে যায় যার ফলে পিসি অনেক স্লো হয়ে পড়ে। আর এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য লেগে যায় হইচই। কলুর বলদের মত খুঁজে বেড়াতে হয় পিসিকে গতিময় করার বিভিন্ন সফটওয়্যার।

কিন্তু সফটওয়্যারের দিকে না গিয়ে নিয়মিত পিসিকে পর্যবেক্ষন করলে আর এই সমস্যা হয় না। কারণ প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমে ডিফল্ট কিছু টুল থাকে যা ব্যবহার করে পিসির গতি বাড়ানো যায়। আর তাই থেকে পরিত্রানের জন্য কয়েকটি জানা কিন্তু প্রয়োজনীয় টিপস। ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্টের ব্যবহার ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট টুলটার প্রধান কাজ হল হার্ডডিস্কে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন টুকরো ফাইল খুঁজে এনে জোড়া লাগানো। পিসিকে প্রতিবার চালুর ফলে পিসিতে থাকা ফাইলগুলোতে বেশ পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।

প্রতিবার পিসি চালুর ফলে হার্ডড্রাইভে থাকা ফাইলের সাইজ কিছুটা বৃদ্বি পায়। এই সুবিধাটি ব্যবহার করার জন্য যেতে হবে Start> All Programs> Accessories> System Tools>Disk Defragmenter সেখান থেকে যে যে ডিস্কগুলো ডিফ্রাগ করতে চান সেটা সিলেক্ট করে ডিফ্রাগমেন্ট বাটনে ক্লিক করতে হবে। ডিস্ক ইররগুলোকে শুদ্ধ করা ডিস্ক ক্লিনআপ ও ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট টুল বাদেও ডিস্কে থাকা বিভিন্ন ফাইলের অখন্ডতা পরীক্ষা করতে ইরর চেকিং ইউটিলিটি টুলটি ব্যবহার করা যায়। টুলটি হার্ডড্রাইভের ক্ষতিগ্রস্ত শাখাগুলোর উন্নয়ন ঘটায়। হার্ডড্রাইভের এই ক্ষতিগ্রস্ত শাখাগুলোর ফলে পিসি স্লো হয়ে পড়ে।

ইরর চেকিং ইউটিলিটি টুলটি সমস্ত ড্রাইভকে স্ক্যান করে ফাইল ইররগুলো দূর করে। এটি ব্যবহারের পথ হল প্রথমত ওপেন করা সমস্ত ফাইলগুলো বন্ধ করে Start>My Computer গিয়ে যে ড্রাইভের ইরর শুদ্ব করতে হবে সেই ডাইভের উপর মাউস রেখে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Properties সিলেক্ট করতে হবে। তারপর টুলসে গিয়ে Check Now বাটনে ক্লিক করে Check Disk ডায়ালগ বক্স থেকে Scan for and attempt recovery of bad sector এ ক্লিক করে স্ট্যার্ট বাটনে ক্লিক করলে ইরর পরীক্ষা শুরু হবে। সফটওয়্যার ইন্সটলের ক্ষেত্রে সতর্কতা সফটওয়্যার ইন্সটলের সময় একটি জিনিস প্রায় সবার মধ্য লক্ষ করা যায় যে,আমরা অনেকে ইন্সটলের সময় না বুঝে কোন কিছু না পড়েই নেক্সট…নেক্সট দিয়ে ফিনিস করে দেই। এর ফলে অনেক সময় সফটওয়্যার ইন্সটলের সাথে সাথে বাড়তি টুল ইন্সটল হয়ে যায় যা সচরাচর আমাদের কাজে লাগে না।

এগুলোও কিন্তু পিসির জায়গা নষ্ট করার জন্য দায়ী এবং এগুলোর ফলে পিসি স্লো হয়ে পড়ে। তাই ইন্সটলের সময় সফটওয়্যারের সাথে যদি কোন অপ্রয়োজনীয় টুল থাকে তা আন-চেক করে ইন্সটল করা উচিত। ডেস্কটপকে যত সম্ভব জঞ্জালমুক্ত রাখুন ডেস্কটপে প্রয়োজনীয় শটকার্ট ফাইল ছাড়া আর কিছু না রাখা ভালো। কারণ ডেস্কটপে অতিরিক্ত ফাইল-ফোল্ডার থাকলে পিসি প্রচুর স্লো হয়ে যায়। ডেস্কটপের ওয়ালপেপারও হালকা হওয়া উচিত।

ডেস্কটপকে জঞ্জালমুক্ত রাখতে পারলে কম্পিউটার ব্যবহারের সময় নিজে্র সাচ্ছন্দবোধ হবে। তানাহলে একবার ভেবে দেখুব কম্পিউটার ছাড়ার পরেই যখন চোখের সামনে এক গাদা ফাইল-ফোল্ডার থাকবে তখন নিজের কাছে কেমন মনে হবে। স্টার্ট আপের সময় কমিয়ে নিন কম্পিউটারে আমরা অনেক ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করি যা স্টার্ট আপের সময় লোড হয়। যার ফলে এতে প্রচুর সময় লাগে। এই সমস্যা থেকে আপনি খুব সহজে মুক্তি পেতে পারেন।

আপনার কম্পিউটার স্টার্টের ক্ষেত্রে দ্রুততার জন্য প্রথমে start>run এ গিয়ে msconfig কমান্ডটি লিখুন। এবার একটি বক্স আসবে যাতে স্টার্টআপে গিয়ে আপনার যে প্রোগ্রামগুলো দরকার তা রেখে অন্যসব আনচেক করে দিন। এখন ওকে দিয়ে রিস্টার্ট করুন। এরপর দেখুন অনেক কম সময়ে আপনার কম্পিউটার স্টার্ট হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় ফাইল দূর করুন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে হার্ডডিস্ক ড্রাইভে অনেক অপ্রয়োজনীয় ফাইল জমা হয়।

এসব ফাইল কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়। অপ্রয়োজনীয় ফাইল পরিষ্কার করতে Start>Run এ গিয়ে cleanmgr লিখে এন্টার চাপুন। এখন একটি মেন্যু আসবে, এখান থেকে যে ড্রাইভ পরিষ্কার করতে চান, সেটি নির্বাচন করে ওকে দিন। এখন যেসব অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে ফেলতে চান, সেগুলোতে টিক চিহ্ন দিয়ে ওকে করলেই ড্রাইভ পরিষ্কার হয়ে যাবে। ডিস্ক ক্লিনআপ টুলের ব্যবহার ডিস্ক ক্লিনআপ টুল ব্যবহারের ফলে প্রতিটি ডাইভ থাকে ঝঞ্ঝালমুক্ত।

ডিস্ক ক্লিনআপ মূলত টেম্পরারী ইন্টারনেট ফাইলগুলোকে মুছে ফেলে, হার্ডড্রাইভের গতি বাড়ায়, অব্যবহৃত ও অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ফাইল মুছে ফেলে। তাছাড়া এটি ত্রুটিপূর্ণ সংকেতবাহী ফাইলগুলোকে মুছে কম্পিউটারকে গতিময় করে। আর টুলটি ব্যবহার করতে এক্সপি ব্যবহারকারীদের যেতে হবে Start> All Programs> Accessories> System Tools> Disk Cleanup। তারপর নির্দিষ্ট ড্রাইভ সিলেক্ট করে দিলে টুলটি তার কাজ করে নেবে। অপ্রয়োজনীয় সফটগুলো আন-ইন্সটল করুন কম্পিউটারে ব্যবহৃত সফটওয়্যারগুলোই মূলত ড্রাইভের প্রচুর জায়গা খায়।

অতিরিক্ত সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে পিসি অনেক ধীর গতিতে চলতে থাকে। তাই অব্যবহৃত সফটওয়্যারগুলো আন-ইন্সটল করে দিলে প্রথমত জায়গা খালি হয় দ্বিতীয়ত কম্পিউটার গতিপ্রাপ্ত হয়। আন-ইন্সটলের জন্য পিসিতে ডিফল্ট আন-ইন্সটলার থাকে। তাতে খুশি না হলে থার্ড পার্টি আন-ইন্সটলার সফটওয়্যারও পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক ডকুমেন্টস ও টেম্প পরিষ্কার রাখুন পিসি ওপেন করার পর প্রতিটি ফোল্ডার বা ফাইলের ক্লিকের রেকর্ডগুলো একটি ফোল্ডারে সংরক্ষিত থাকে যা মাই রিসেন্ট ডকুমেন্টস নামে পরিচিত।

ক্লিক প্রায় প্রতিটি ফাইলই এই ফোল্ডারে জমা হয়। তবে আসল ফাইল-ফোল্ডারগুলো জমা হয় না,জমা হয় শুধু শটকার্ট ফাইল। অতিরিক্ত জমা হয়ে গেলে তখন সেই ফাইল-ফোল্ডার গুলো ডিলিট করার প্রয়োজন হয় নতুবা পিসি স্লো হয়ে যায়। আর কাজটি করতে Start>Run>recent documents এ গিয়ে যত ফাইল আছে ctrl+a চেপে ডিলিট চাপ দিলেই কাজ খতম। একইভাবে Run থেকে temp লিখে এন্টার চাপ দিন তারপর ধরে ডিলিট দিন।

আবার &#xte;mp% লিখেও একই পদ্বতিতে কাজিটি করতে হবে। অনেকসময় ইরর মেসেজ আসতে পারে,সেগুলো বুঝে অগ্রসর হওয়া ভালো। সফটওয়্যারের ব্যবহার যদি আপনি সফটওয়্যার প্রেমী হোন আর এসব পদ্বতিতে কাজ সারতে নারাজ তাহলে তাদের জন্য সফটওয়্যারই একমাত্র সম্বল। পিসিকে গতিময় করার অনেক ভালো সফটওয়্যার আছে। সফটওয়্যার ভালো মানের হওয়া আবশ্যক নাহলে অনেক সময় গতিময় করতে গিয়ে দেখা গেল কোন সিস্টেম ফাইলকেই মুছে ফেলল।

তবে আমার মতে সফটওয়্যার ব্যবহার করতে নিচের এই তিনটি সফটওয়্যারই শ্রেষ্ঠ যা আপনার পিসিকে সকল ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে পারবে। * TuneUp Utilities * CCleaner * Uniblue Registery Booster আশা করি এই তিনটি ব্যবহারকারীদের চাহিদা মেটাবে। অন্তত দিনে একবার না হলেও সপ্তাহে একবার না হলে মাসে একবার এগুলো মেইনটেইন করা উচিত। যদিও অ্যাডভান্স ইউজাররা সচরাচর অ্যাডভান্স সফটগুলোর প্রতি ঝুঁকেন বেশী। তবুও নতুনদের জন্য এগুলো খুবই কাজ দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।