"আকাশে নক্ষত্র দেখে নক্ষত্রের মতন না হয়ে পারিনি আমি / নদী তীরে বসে তার ঢেউয়ের কাঁপন, / বেজেছে আমার বুকে বেদনার মত / ঘাসের হরিৎ রসে ছেয়েছে হৃদয়"। _আহমদ ছফা শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের প্রায় সব কবিতাই তুলে দিতে মনে চায় ...
সংসারে সন্ন্যাসী লোকটা
যুদ্ধে যেতে হয়নি, তবু গায়ের ক্ষতচিহ্নে
লোকটা মধ্যযুগের যোদ্ধা -- সঠিক মনে হবে
তরবারির খর আঘাত কোনখানে পড়েনি?
একটি চোখ রক্ত-ঢেঁড়শ, চলচ্ছক্তিহীনও
লোকটা যদি পাগল হতো, বাতিল করা যেতো
পাগলও নয়, ছাগলও নয়, অভিসন্ধিমূলক
সে দোষে দোষী নয়, বরং পরের উপকারী
স্বেচ্ছাচারী স্বাধীনচেতা, মদ্যপায়ী, ভেতো!
অসুখ এক উদাসীনতা, অথচ সামাজিক
লোকটা কিছু রহস্যময়, লোকটা কিছু কালো
নিজের ভালো করেনি, তাই, অন্যে ক'রে ভালো
সংসারে সন্ন্যাসী লোকটা কিছুটা নির্ভীকই।
গাছের নিচে
গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে গাছের মতন
ফুল ফুটেছে সেই মানুষের বুকের ধারে
পাতায় শাখায় হারিয়ে গেছে মুখটি তাহার
গাছের কাছে পারলে হারে
গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে গাছের মতন
ফুল ফুটেছে সেই মানুষের বুকের ধারে।
শুকোয় না তার ফুলগুলি আর সবুজ পাতা
ডালপালাতে মৃত্যু এসে রাখে না পা
শিকড়গুলি কাঁকরমাটি জড়িয়ে ধরে
প্রেমের দুটি হাতের মাঝে মুখের গড়ন
গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে গাছের মতন
ফুল ফুটেছে সেই মানুষের বুকের ধারে।
পাতায় শাখায় হারিয়ে গেছে মুখটি তাহার
গাছের কাছে পারলে হারে।
ছেলেটা
ছেলেটা খুব ভুল করেছে শক্ত পাথর ভেঙে
মানুষ ছিল নরম, কেটে, ছড়িয়ে দিলে পারতো।
অন্ধ ছেলে, বন্ধ ছেলে, জীবন আছে জানলায়!
পাথর কেটে পথ বানানো, তাই হয়েছে ব্যর্থ।
মাথায় ক্যারা, ওদের ফেরা ... যতোই থাক রপ্ত
নিজের গলা দুহাতে টিপে বরণ করা মৃত্যু ...
ছেলেটা খুব ভুল করেছে শক্ত পাথর ভেঙে
মানুষ ছিল নরম, কেটে, ছড়িয়ে দিলে পারতো।
পথের হদিশ পথই জানে, মনের কথা মত্ত ...
মানুষ বড়ো শস্তা, কেটে ছড়িয়ে দিলে পারতো!
সহজ
ছেড়ে দিলেই পারি
এই যে বাগান, ফুলের বাগান -- বকনো সরা হাঁড়ি
ছেড়ে দিলেই পারি।
সিংদরজা, পদ্মপুকুর, ভাঙা হৃদয়, বাড়ি
ছেড়ে দিলেই পারি।
ছাড়া তো খুব সহজ
এবং ছাড়া তো খুব সহজ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।