ঘুনে ধরা সমাজ ভাঙ্গো! অনাবৃত দেহের মতো টানছে আমায়
অপ্রাপ্ত ঐ চুমুকের মতো টানছে
ঐ নীল, অগোছালো শুভ্রতায়
আমার দু'চোখ থিতু, নিষ্পলক
অদৃশ্য কোন নির্ভরতায় ভর দিয়ে
বড্ড উড়ে-হারিয়ে যাবার ইচ্ছে।
প্রস্বেদনের এক বিন্দু জল আমার চোখে
অনঙ্কিত সবুজের দিকে বাড়ানো হাত আমার
একটু মাখামাখি আদরে,
ঘাসফুলের ভালোবাসায় ঘুমাবার আকুলতা
সবুজকে ছুঁয়ে নতুন পৃথিবী আঁকবো বলে।
আলোয় মাখা বিকট ভেজা শব্দে হঠাৎ
অদ্ভুত কেঁপে ওঠা ভীত দেহমন;
অবিরাম মুখরিত জলকণার হিল্লোলে
উন্মুখ বসুন্ধরার তৃষিত কামনার তেজ
আমি বড়ো মুগ্ধ হচ্ছি মনে মনে।
প্রতি ভোরে তাইতো নাক উঁচিয়ে হঠাৎ পাওয়া গন্ধ খুঁজি-
অতৃপ্ত বসুন্ধরার স্খলিত সোঁদা গন্ধ
আমার ডূবে যেতে ভালো লাগে।
অসম্পূর্ণ নিশীথিনী বড়ো একা হয়তো,
আঁধারে ঢাকা নিখিল নিশীথসখা
বৃষ্টি হয়ে ঝরছে অখন্ড মেঘ।
আমায় বড্ড টানছে নিরর্জনতা-শীতল শব্দময়
অকলুষ বয়ে যাওয়া অশ্রু চুষে একাকার হবো।
অনাবৃত দেহ তবু ভুলে যাই ব্যস্ততায়,
অপ্রাপ্ত চুমুক হয় এক গ্লাস জল, রোদে।
অদৃশ্য নির্ভরতা থেকে সরিয়ে নিই চোখ
অবিশ্বাসের কানামাছি দেখি এপাশস-ওপাশ।
অনঙ্কিত সবুজে আঁকি ছত্রাকের কদর্যতা, ভয়ে;
অবিরাম বর্ষিত হিল্লোলে তালহীন আলস্য
শুধুই বয়ে যাওয়া প্রবাহ।
অতৃপ্ত বসুন্ধরার বুকেও শকুনের নখের ক্ষত
কালো ছোপ ছোপ মাটিতে রক্তের গন্ধ
তৃষিত বসুন্ধরা রক্তের স্বাদে বড্ড তৃপ্ত আজ।
অসম্পূর্ণ নিশীথিনী একাকী নেই
অনিদ্রীত আমি তার পাশে থাকিনা আর
অযুত মানুষ মিশে যায় আধো ঘুম চোখে
অদৃশ্য জাল বেঁধে রাখে ডোরে।
আমি বড্ড বেশি পান করি এখন
অকলুষ অশ্রু অপাদ্য ঠেকে জবানে
শব্দময় নির্জনতায় আশ্লেষ, হারানোর ভয়।
তবুও, এখনো
অবুঝ হৃদয় ভেসে যেতে চায় স্বপ্নাতুর চোখে
অনন্তকাল গড়তে চায় আলোর প্রতীমা।
অসততার খসড়া খাতায় লিখতে মহাকাব্য
অনিবার্য সত্য অসংকোচে লিখে যাই
অকপট ভালোবাসতে চাই অঃনিশেষ
যাপন করবো বলে অসম্পন্ন জীবন।
২৪ জুন ২০১১ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।