আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গেম রিভিউঃ ডার্কসাইডারস

জীবনের পথে চলা নবীন এক পথিক... 1. পাব্লিশার : THQ 2. ডেভেলাপার : Vigil Games 3. প্লাটফরম : PC ; PS3 ; Xbox 360 4. প্রকৃতি : Hack n Slash, Action Adventure 5. রিলিজ : জানুয়ারি ৫, ২০১০ ( নর্থ আমেরিকা ) PS3 Xbox 360 সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১০ ( নর্থ আমেরিকা ) PC 6. ধরণ : Single Player; Third Person প্রথম দৃষ্টিতে গেমটি হয়তবা অনেকের কাছে আকর্ষণীয় নাও লাগতে পারে , বিশেষ করে যারা PC তে গেম খেলে। আমি সাধারণত Hack n Slash গেম পছন্দ করি । তাই আমি সব কন্সোলের খবর রাখার চেষ্টা করি। যখন গেমটি প্রথম দেখেছিলাম তখন খুব মন খারাপ হয়েছিল । কারণ গেমটি তখন শুধু প্লেস্টেশনে রিলিজ পেয়েছিল।

অনেকদিন পর পিসির জন্য গেমটি বাংলাদেশের মার্কেটে দেখে বেশ খুশি হলাম। একটু দেরিতে বের হয়েছে বলে গেমটি অনেকের নাও খেলা হতে পারে। গেম কিনার ব্যাপারে প্রথম জিনিস যা আমাকে আকৃষ্ট করে তা হল এর গ্রাফিক্স ও গেমপ্লে। গেমটি বাহ্যিকভাবে প্রথমেই Hack n Slash সবার মনে এর এক্ আমেজ এসে পরে । তবে এর ব্যতিক্রমও দেখতে পেয়েছি ।

প্লট শত বর্ষ ধরে চলা, স্বর্গ ও নরকের মধ্যে যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার জন্য , সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য দ্য চার্ড কাওন্সিল আপকালিপ্সের চারজন হোরস্ম্যানকে পাঠায়। চার্ড কাওন্সিলের ধারনা , সন্ধির যুগযুগান্তকাল পরে মানব জাতি শেষ আপকালিপ্টিক যুদ্ধে এক বড় ভূমিকা পালন করবে । আর এ যুদ্ধ শুরু হবে দ্য সেভেন্থ সীল ভাঙ্গার মাধ্যমে । বর্তমানে, পৃথিবিতে এঞ্জেল আর ডিমনেরা যুদ্ধ করছে । ‘ওয়ার’ , চারজন হোরস্ম্যানের মধ্যে একজন উপস্থিত হয় হেভেন আর হেল এর মধ্যবর্তী এই সংঘাত বন্ধ করতে।

কিন্তু সে নিজেকে খুজে পায় যুদ্ধ ও রক্তারক্তির মাঝে । অন্য হর্সম্যান্দের দেখতে না পেয়ে সে বুঝতে পারে না কি করবে । এক সময় স্বর্গের দলপতি অ্যাবাডনের দেখা সে পায়, যে তাকে বলে যে তাকে ডাকা হয় নি এবং চারজন হর্সম্যানদের বাকি তিন জনই আসেনি আর দ্য সেভেন্থ সীলও কেউ ভাঙ্গে নি । এমন সময় স্ট্রাগা, এক শক্তিশালী ডিমন, পাতাল থেকে উঠে আসে এবং অ্যাবাডনকে মেরে ফেলে । ওয়ার স্ট্রাগার সাথে ফাইট করে হেরে যায় ।

ওয়ারকে মারার পরিবর্তে চার্ড কাউন্সিলে পাঠানো হয় । সীল ভাঙার পূর্বে অ্যাপোক্যালিপ্টিক যুদ্ধ শুরুর জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু ওয়ার তা অস্বীকার করে এবং দাবী করে যে কেউ ষড়যন্ত্র করে তাকে জাগিয়েছে। সে তার ষড়যন্ত্রকারিকে খুজে বের করার জন্য পৃথিবীতে আসতে চায় ও সে পৃথিবীতে ফেরার সু্যোগ পায় । পৃথিবীতে ফিরে সে দেখে অনেক দেরি হয়ে গেছে এবং নরকের নেতা ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধে জিতেছে।

পৃথিবীতে ভারসাম্য আনতে সে ডেস্ট্রয়ারকে মারার পণ করে। এভাবে কাহিনী এগিয়ে যায়। গ্রাফিক্স : গেমের গ্রাফিক্সের ব্যাপারে সামাঞ্জস্যতা দেখা যায়। খানিকটা কারটুনিশ টাইপের গ্রাফিক্স এর আগেও ( প্রিন্স অফ পারসিয়া ২০০৮) দেখা গেছে। বিভিন্ন পরিবেশের ডিটেইল বিবরণ দেওয়ার চেস্টা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার রাখে।

গেমসটির গ্রাফিক্স যে উন্নত এ ব্যাপারে কেউ দ্বিমত পোষণ করবে না । void(1); গেমপ্লে : যারা গড অফ ওয়ার খেলেনি তাদের উচিত এই গেমটি খেলা । গেমের শুরুতে ওয়ারের বেশিরভাগ পাওয়ার নিয়ে নেওয়া হয় , শুধু কেওয়াসইটার সোর্ড ছাড়া । ধীরে ধীরে সোউল সংগ্রহ করে কম্বো আপডেট করতে হয় । পুরো গেমে তিন্ ধরণের অস্ত্র পাওয়া যায় ।

প্রত্যেকটির কম্ব যেমন ভিন্ন তেমনি প্রত্যেকটির ফিনিশিং মুভ ভিন্ন । আবার প্রত্যেক শ্ত্রুর ক্ষেত্রে ফিনিশিং ভিন্ন । এছাড়া শুরিকেন জাতীয় অস্ত্র আছে যা দূরের শ্ত্রু মারতে সহায়ক । গেমটিতে পাযল , এক্সপ্লোরিং ও ফ্রি রানিং এর ব্যাবস্থা আছে । এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন এনহান্সমেন্ট যা ওয়েপনের সাথে লাগিয়ে সোর্ডফাইটিং এর স্টাইল আরো উন্নত করা যাবে ।

ডেভিল মে ক্রাই ৪ এর ডেভিল ট্রিগারের মত র্যাথ মোড আছে, যার মাধ্যমে সহজে শত্রুকে মারা যায়। গেমে কালেক্টেবল আইটেম হিসেবে অনেক কিছু পাওয়া যাবে । void(1); রিভিউটি আমার এক ফ্রেন্ডে। অনুমতি নিয়েই লিখা। অনেকেই বলছিলেন রিসেন্ট কোন গেমসের রিভিউ দিতে তাই এটি নিয়ে লিখলাম।

আরো রিভিউ দেখতে ও মন্তব্য জানিয়ে সাহায্য করতে আমার ব্লগে আসতে আমন্ত্রন রইল। ভাল থাকবেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।