আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘আমি আমার বাচ্চাটাকে দেখতে পাচ্ছি না’

www.sometimeinblog.com ‘আমার পৃথিবীটা অন্ধকার করে দিল। আমি আমার বাচ্চাটাকে দেখতে পাচ্ছি না। ’ দেশে ফিরে এই কথাটুকু বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন রুমানা মনজুর। গতকাল সোমবার ভারত থেকে ফিরে আবারও ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। হাসপাতালের কেবিনে শুয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুমানা কেবল কেঁদেই গেলেন।

চিকিৎসকেরা রুমানাকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দুটি চোখই পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। বাঁ চোখটা বন্ধ হয়ে আছে, ডান চোখ আধখোলা। সবাই আশা করেছিল, ডান চোখটায় হয়তো কিছু করা যাবে। কিন্তু ভারতের চিকিৎসকেরাও কোনো আশার কথা শোনাতে পারেননি। রুমানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপনারা দেখবেন, অপরাধীর যেন শাস্তি হয়।

আপনারা আমার পাশে থাকুন। আমি নয় মাস পর দেশে ফিরে আমার বাচ্চাটাকেও ঠিকমতো দেখতে পেলাম না!’ রুমানার বাবা মনজুর হোসেন এবং উপস্থিত স্বজনেরাও অঝোরে কেঁদেছেন, কেউ কেউ শোক চেপে রেখে রুমানাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। রুমানার বাবা মনজুর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ১৪ জুন রাত একটায় তাঁরা ভারতে চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে পৌঁছান। তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বললেন, রুমানার চোখে অস্ত্রোপচারের কোনো সুযোগ নেই। চোখে আলো ফেললে যদি বিন্দুমাত্র প্রতিক্রিয়াও হতো, তাহলে চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করতেন।

রুমানার দুটি চোখেই আলো ফেলে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। চিকিৎসকেরা বলেছেন, কখনো কখনো চোখে প্রতিক্রিয়া না হলেও মস্তিষ্কে আলো পৌঁছায়। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, চোখে আলো ফেললে তা রুমানার মস্তিষ্কে পৌঁছাচ্ছে না। তার পরও তাঁরা পদুচেরির অরবিন্দ আই সেন্টারে যান বলে জানান মনজুর হোসেন। সেখানেও চিকিৎসকেরা তাঁদের কোনো আশার কথা শোনাতে পারেননি।

শুধু সান্ত্বনা দিয়েছেন। রুমানার একজন স্বজন বললেন, তাঁরা এখনো মেনে নিতে পারছেন না যে রুমানা অন্ধ হয়ে গেছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, আজ তাঁরা রুমানার জবানবন্দি নেবেন। রুমানার স্বামী হাসান সাইদকে আবারও রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে আজ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।