আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি ভাম বেড়াল

ভাম বিড়াল হয়ে জন্মেছি এটা আমার গৌরব, মানুষ হলেই জীবনটা খাওয়া, শোয়া, (এবং আরও কিছু গোপনীয় বিষয়) এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত, কিন্তু ভাম বিড়াল হয়ে জন্মানোয় আমার জীবন মানুষের থেকে অনেক বিস্তৃত, অনেক ব্যাপক, মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমি ভাম বেড়াল, সামুতে আসলাম। কিভাবে ব্লগ লিখতে হয় বিশেষ কিছুই জানিনা। তবে লিখি মানুষের থেকে অনে দ্রুত। কারণ আমার চার পা একই সাথে চারটে কলম ধরতে পারে।

মানুষের থেকে আমি চিন্তা ভাবনাতেও অনেক দ্রুত। আমাদের ভামনগরে প্রথম বৈদ্যুতিক যন্ত্র আমার আবিষ্কার। সেটা ছিল একটা টিউব লাইট, যার কন্ট্রোল হবে আপনার চোখ দিয়ে। আপনি চোখ খুললে টিউব জ্বলবে, চোখ বন্ধ করলে টিউব বন্ধ হবে। হ্যাঁ, আমি মানুষ নই, কিন্তু মানুষের থেকে ঢের বেশী ক্ষমতাবান।

আমি প্রচণ্ড দ্রুতগামী জীব। মানুষের সাথে আমার দৌড়ের পাল্লা দিলে ম্যারাথন রেসের পদক আজীবন আমার গর্তেই শোভা পেত। । মানুষের থেকে আমি বহুগুন স্মার্ট। বিশ্বাস হচ্ছে না? আচ্ছা বলুন তো একটা মেয়েকে পটাতে আপনার কত সময় লাগে? জানি এখন অনেকে অনেক চাপা মারবেন।

কিন্তু আমার সময় লাগে মাত্র চব্বিশ ঘণ্টা। কারণ আমরা, ভাম বেড়ালরা মানুষের মত ন্যাকা নই, আমাদের জীবন অনেক বেশী প্রকৌশলী! জীবনে বাঁচার পথে প্রতিনিয়ত চলে আমাদের সংগ্রাম। এবং তাতে হয় আমরা বিজয়ী হই অথবা..... আমরা বিজয়ী হই। ভাম বেড়ালদের পরাজয় নেই। জয় পরাজয় মানুষের জিনিস, ভাম বিড়ালরা এসবের ধার ধারেনা।

আমরা জীবনকে বেছে নিই। আমরা বাঁচতে চাই। অন্য কোন কিছু নয়। কবে মরব আর পরকালে কোন ভগবানের বাচ্ছা আমাদের লোহার শিকের খোঁচা দেবে, ওসবের পরোয়া করি না। আমরা সারা জীবন ঈশ্বরকে ক্যালাতে ক্যালাতে ফিরি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।